কবি ইয়াকুব আলী তুহিন
মানবের মৌলিক অধিকার,
যা জন্মগত অবিচ্ছেদ্য,
কিন্তু কেন আজও লঙ্ঘিত?
নির্যাতিত মানুষ, অবমানিত প্রাণ।
কথা বলার অধিকার,
মাথা উঁচু করে বাঁচার অধিকার—
এসব তো আমাদের মৌলিক চাহিদা,
তবে কেন চলছে অমানবিকতা?
পৃথিবীর প্রান্তে প্রান্তে,
শোষণের দাগ, অত্যাচারের চিহ্ন,
নিরপরাধ প্রাণের রক্তে রাঙা হয়ে যায়,
শুধু একটি সন্ত্রাসী সিদ্ধান্তে।
কেউ স্বেচ্ছায় শান্তি চায়,
কেউ যুদ্ধের আগুনে পুড়ছে,
অথবা গোপনে বহন করছে কষ্ট,
অশ্রু শুকিয়ে গেছে, কাঁদছে অন্তর।
মুক্তির জন্য লড়াই—
শোষিতের কণ্ঠে ওঠে প্রতিবাদের সুর,
ধর্ম, বর্ণ, জাতি নির্বিশেষে,
আমরা সবাই এক— মানবতার সমুদ্রে।
যখন শাসকেরা অন্যায় করে,
জাগো, জাগো, মুক্তির জাগরণ,
তোমাদের কথা শুনুক সারা বিশ্ব,
মানবাধিকারের জয় হোক প্রতিটি প্রাণে।
লাঞ্ছিত, নিপীড়িত, আমরা আমাদের পথে,
যুদ্ধ হবে, সংগ্রাম হবে,
সাধারণ মানুষের অধিকার রক্ষায়,
আমরা দাঁড়াবো সাহস নিয়ে।
বাঁধা থাকবে না কোনো দেয়াল,
শাসকের বন্দুকের মুখে,
শ্রেণি বৈষম্যের বিপক্ষে,
মানবাধিকার রক্ষায় জেগে উঠবো।
একটি হাতের ধাক্কায় ভেঙে যাবে,
অন্যায় আর অবিচার—
তবুও মুখ বাঁচাতে পারবো না,
বাক স্বাধীনতা হবে আমাদের অধিকার।
আমরা গড়বো নতুন পৃথিবী,
যেখানে মানবতা থাকবে অটুট,
কেউ থাকবে না নিপীড়িত,
প্রেম ও শান্তির আলোয় জ্বলে উঠবে প্রতিটি জাতি।
মানবাধিকার রক্ষা হোক আমাদের লক্ষ্য,
প্রতিবাদের তেজে জ্বলে উঠুক আমাদের পথ,
আসুন সকলে একসাথে দাঁড়াই,
এই অধিকার নিয়ে যেন কেউ হয় না সংকীর্ণ!
বিশ্বের সকল কণ্ঠে গুনগুন করুক—
“মানবাধিকার রক্ষা, মানবতা সুরক্ষিত!”
এটাই হবে আমাদের সংগ্রামের সেরা সুর।