লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
১৯৭৫ সালের ১৫ ই আগষ্ট জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্ব পরিবারে হত্যার পর বিশ্বের সব চেয়ে নিরাপদ স্হান সরকারের হেফাজত কারাগারের চার দেয়ালের মধ্যে হত্যা করা হলো ১৯৭১ সালে ২৫ মার্চ লেট নাইট বঙ্গবন্ধু মুজিব কে পাকিস্তানি মেজর জেড এ খান রাত দেড়টায় গ্রেফতার করার পর মুক্তি যুদ্ধে নেতৃত্ব দানকারী চার নেতাকে লাইট মেশিন গান ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে মুজিব হত্যার মাত্র ২ মাস ১৮ দিনের মাথায় বর্বরোচিত ভাবে ! এই ঘাতক টীম প্রেসিডেন্ট মোস্তাক, কর্নেল ফারুক, লেঃ কর্নেল আঃ রশীদ আগেই গঠন করে রেখেছিলেন! যে টীমের মূল ভূমিকায় ছিলেন ১৯৭৫ সালে শেখ মণির বাড়ী হত্যার দায়িত্বে থাকা কর্নেল ফারুকের আস্থাভাজন “রেসালাদার মোসলেহউদ্দিন!” উল্লেখ্য, বিনা কারনে মুজিব হত্যার পর ২২ আগষ্ট বাসা থেকে এই জাতীয় চার নেতাকে গ্রেফতার করা হয়!
প্রখ্যাত সাংবাদিক আ্যান্হটনি তার বইয়ে বিস্তারিত বলেছেন যা অনেক আগের পড়েছিলাম তার যতটুকু মনে আছে!
জাতির জনক হত্যার পর এ হত্যা দ্বিতীয় কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করে এবং ইংল্যান্ডে সরকারি হেফাজতে এমন বর্বরোচিত হত্যা তদন্তের জন্য একটা তদন্ত টীম গঠিত হয় “স্যার টমাসের” নেতৃত্বে যা ততকালীন ১৯৮০ সালের সরকারের অসহযোগিতার জন্য বাংলাদেশ সফরে আসতে পারে নাই!
১৭৮৮ সালে এই কারাগার তৈরির পর সরকারি হেফাজতে জেলখানার অভ্যান্তরে দেশের প্রেসিডেন্টের পাঠানো অস্ত্র ধারীদের দ্বারা কয়েদী হত্যা এটাই প্রথম !
ততকালীন জেলার আমিনুর রহমান বিবিসিকে বলেছিলেন, “৩ রা নভেম্বর রাত দেড়টার দিকে কিছু সেনা পিক-আপে জেলগেটে নেমে আসে,
আইজিপি প্রিজন ফোন পান, অপর প্রান্ত থেকে বলা হয়, ” প্রেসিডেন্ট কথা বলবেন,” হাত বদল হয় টেলিফোন রিসিভার, প্রেসিডেন্ট বলেন,” “সেনা অফিসারেরা যা করতে চায় সেটা তোমরা করো!” কারা পরিদর্শক আমিনুরের হাতে একটা চিরকুট ধরায় দেয়া হয় যেখানে চারজনের নাম ছিলো! চার জনকে এক জায়গায় করে মিঃ আমিনুর আলোচনার জন্য পরিচয় করতে যান, প্রথমে মনসুর আলীকে পরিচয় করতে “ম–বলার সাথে সাথে লাইট মেশিন গান গর্জে ওঠে —
বাকী তিন জনকে একই ভাবে হত্যা ও পরে বেয়নেট খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নিস্তেজ না হওয়া পর্যন্ত নৃশংসতা চলে!
সেনানিবাসে মেজর জিয়া, কর্নেল তাহের, মেজর খালেদ মোশাররফ ও খুনি চক্রের ব্যাংকক পলায়ন নাটক এখানে আর টেনে আনলাম না! পূর্বে অনেকবারই এ ইতিহাস লিখেছি, বলেছি কে আহাম্মক কে ধূর্ত কে মিথ্যা প্রোপাগান্ডা লিফলেট ছড়িয়ে ‘খালেদ সাফাত জামিল কর্নেল হুদা কে ভারতের চর বানায় দিলো” সেই ভারত বিদ্বেষ স্বাধীনতার সাহায্যের আক্রোশ থেকে আজও ভারত রাশা যুগোস্লাভিয়া রেহাই পায় নাই!”
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন মানবতা মনুষ্যত্ব তাকওয়া পূর্ণ জীবন ই ধর্ম! ওপারে সারাজীবনের কর্মের হিসাবে বেহেশতে দোযখ, মক্কা মদিনা গয়া কাশি ঘুরে আসলেই স্বর্গ বেহেশতে পাওয়ার কোন সম্ভবনা নাই!