সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৯ অপরাহ্ন

৩ রা নভেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার!

Coder Boss
  • Update Time : সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩০ Time View

লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

৩ রা নভেম্বর রাত দেড়টায় একটা পিকাপে কয়েকজন সেনা (রেসালদার মোসলেম, দফাদার মারফত, দফাদর হাসেম সহ ৫ জন) স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রে (হালকা মেশিন গান সব গুলো) সজ্জিত হয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে নামে! প্রেসিডেন্ট খন্দকার মোশতাক জেলার আমিনুর রহমানকে বলেন,” সেনা সদস্যরা যা করতে চায় সহযোগিতা করো”! (Ref. B B C সাক্ষাৎকার আমিনুর রহমান), তিনি বঙ্গবন্ধুর চার সহচর সৈয়দ নজরুল, তাজউদ্দীন, মুনসুর আলী ও কামরুজ্জামান কে একজায়গায় একত্রিত করেন! রাত তিনটায় ঝাঁঝরা করে দেয়া হয় তাদের বুক! কুরআন পাঠ রত তাজউদ্দীন ঝাঁঝরা হয়ে যান কয়েক মিনিট পরেই। আল্লাহ প্রদত্ত সর্বশ্রেষ্ঠ গ্রন্হ
কোন সাহায্য করলো না বাঁচতে?

বঙ্গবন্ধুর খুনি চক্র বিমানে উড়ে গেলো ব্যাঙ্কক (সম্ভবত),
তখন খালেদ মোশাররফ সেনাপ্রধান, মোস্তাক তাকে সেনা প্রধান স্বীকৃতি দিয়ে ফেলেছেন, সেটা ছিলো মোস্তাকের নিজে বাঁচার ষড়যন্ত্র,
১. তার বিনিময়ে কি ৩ রা নভেম্বর খালেদ জেল হত্যার ষড়যন্ত্রের হোতা ও বঙ্গবন্ধুর হত্যাকরীদের নির্বিঘ্নে দেশ ছাড়তে দিলেন?
২. কেন খালেদ মোশাররফ তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের সরিয়ে দিলেন না বরং নিরাপদ হেফাজতে রাখলেন? জিয়া কি ৭ ই নভেম্বর তাকে
নিরাপত্তা হেফাজতে রেখেছেন নাকি ন্যায়পরায়ন অকুতোভয় গেরিলা বাহিনী প্রধান, ২ নাম্বার সেক্টর কমান্ডার ও K Force হেড খালদ কে তার সহযোগী আরও দুইজন সেক্টর কমান্ডার “মেজর হুদা ও মেজর হায়দার সহ হত্যা করালেন ব্রিগেডিয়ার মীর শওকত কে হত্যার দায়িত্ব দিয়ে “দশ বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেসে”!

প্রিয় পাঠক, হায়দার প্রথম সেক্টর কমান্ডার যিনি ঢাকায় প্রবেশ করেছিলেন সবার আগে এবং রমনা রেসকোর্সে সারেন্ডার্ড দলিল সই করা অনুষ্ঠানে তাকে যৌথ বাহিনী পূর্ব সেক্টর হেড মিঃ জ্যাকব (ইহুদি) দায়িত্ব দিয়েছিলেন ” অস্ত্র হীন একজন পাক সেনা কেউ কোন ভাবে গুলি করে মারতে না পারে। ধর্মপ্রাণ খাঁটি বাঙালী মুসলমান ১৯৭১ এ যে পাকসেনা মারতে
পাগলছিলেন সেই হায়দার মানুষ, পাকসেনাকে পূর্ণ হেফাজতে রেখেছেন! তাকে জীবন দিতে হলো জিয়ার লেলিয়ে দেয়া নিজ দেশের সেনার ব্রাশ ফায়ারে!

“মেজর হুদা” আর একজন সেক্টর কমান্ডার যিনি বঙ্গবন্ধুর সাথে আইয়ুব মোনায়েম খানের সাজানো আগরতলা ষড়যন্ত্রে মামলার আসামি ছিলেন! এমন সব দেশপ্রেমিক সেনাদের হত্যা করেছেন, যখন জিয়া সর্বময় কর্তা!
১০ বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেসে “জিয়া শওকতের ” লেলিয়ে দেয়া সেনারা পৌছালে মেজর খালেদ মোশাররফ বলেছিলেন, “তোমরা আমাকে জিয়ার কাছে নিয়ে চলো, তিনি বলুন আমার অপরাধ কি?” শিখানো সেনাদের উত্তর ছিলো,”নাহ্ আমরা তোমার বিচার করবো”, খালেদ বুঝেছিলেন, বলেছিলেন, ” Do your job,” এই বলে দু-হাত চোখে ঢাকলেন, ব্রাশ ফায়ারে ঢলে পড়লেন খালেদ, একই পরিনতি হলো হায়দার হুদার! জিয়া সাকসেসফুলি ৩ জন মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডার দুনিয়া থেকে সরাতে পারলেন!

সেক্টর কমান্ডার জাসদ পন্হী গণবাহিনীর প্রধান কর্নেল তাহের কে সরালেন ফাঁসি দিয়ে! তার বেঈমানীর শাস্তি হলো, তিনি লিফলেট ছড়ালেন, “জিয়া দেশপ্রেমিক, খালেদ মোশাররফ ভারতের চর, ব্যর্থ হলো খালেদ মোশাররফ! তার ব্যর্থ হওয়ার আরো কারন তিনি সেনাপ্রধান হতে মোশতাকের সাথে দরকষাকষি তে সময় কাটালেন ৫/৭ ঘন্টা, আরে বাবা ক্যূ যদি করে থাকিস তা হলে খন্দকার মোশতাক হত্যা করলি না কেন? কিল বাস্টার্ড মোস্তাক এ্যান্ড আদার বঙ্গবন্ধু কিলার —– এ কিলিং বিষয় জিয়াকে আমি মরণোত্তর নোবেল পুরস্কার দিতে সুপারিশ করি! ডক্টরেট ছিলেন তিনি, বুঝতেন শত্রুর শেষ রাখতে নাই!
বঙ্গবন্ধু অনেক আহম্মক পালন করেছেন! যারা বঙ্গবন্ধু কে হত্যা করলো তারা ছিলো “সাফাত জামিলের” কমান্ডে কর্মরত ৫ বছর, তাদের এ ষড়যন্ত্রের কিছু তিনি জানেন না! এই সাফাত জামিল “মোস্তাককে” হত্যা করতে গেলে কর্নেল ওসমানী “বুক চেতিয়ে (মনে হয় জামা খুলে)” সামনে এসে দাড়ালে “জামিল” সন্মান করে ফিরে আসেন(Ref: নির্মলেন্দু গুণের লেখা পৃঃ ২২) আরে বাবা আপনার তো উচিত ছিলো Killing both! প্রশ্ন যদি করেন, কেন? তখন তো ওসমানী সাহেব টোপ পেয়েছেন, জিয়া সেনাবাহিনী প্রধান এবং ওসমানী সাহেব সেনা উপদেষ্টা, জিয়া সমান বেতন ভাতা সুযোগ সুবিধা ভোগী ওসমানী!

জিয়া লেলিয়ে দিলেন “ব্রডকাস্টিং টিভি” মুক্তিযুদ্ধের পক্ষ শক্তি নির্মূল করতে “! বাগেরহাটের মোল্লাহাট থানার নায়েব সুবেদার মাসুদ কে একটা টীম দিয়ে হত্যা করতে!
তার আগেই একজন ক্যাপটেইনের অধীনে বাংলাদেশ টেলিভিশন, একজনের অধীনে রেডিও ও একজনের অধীনে এফডিসি & মাইক্রোওয়েভ —
আগেই ক্যাপটেইন কে নির্দেশ দিয়ে বন্দী করা হয় Programme Director, Account director আকমাল সাহেবকে যার সহধর্মিণী প্রথম বুয়েটের রসায়ন ইঞ্জিঃ,
Admin director সিদ্দিক আহমেদ ও গোপালগঞ্জের ফিরোজ ক্যামেরা ম্যানকে, ফিরোজের অপরাধ সে
গো পা লী! মাসুূদ বলেছিলো, আজ রাতে এই চারজন স্যুট করার পর আমি দশজনের টিম নিয়ে পূর্বের স্হানে ফিরে যাবো!আর আপনার সাথে দেখা হবে না! পরদিন অফিসে এসে জানলাম রামপুরা টিভি ভবন থেকে কিছু দূরে ব্রিজের উপর গুলি করে চারজন কে ইট বেঁধে নিচে লাশ ফেলে দিয়েছে যা জেলেদের জালে পাওয়া গেছে!

শত্রুর শেষ রাখতে নাই এটা জিয়া যেমন বুঝতেন তার সমর্থক রা ও বুঝেন! বোকা খালেদ মোশাররফ দু’বার ডালিম হুদার সাথে দেশ ছাড়ার জন্য negotiation করেছেন,তিনি তাদের দেশ ছাড়া মেনে নিয়েছিলেন এবং দেশ ছাড়ার আগেই তারা জেল হত্যাকান্ড ঘটায়, হতে পারে খালেদ তা জানতেন ও পারেন, তাহলে খালেদ, মুজিবের লোক হলো কি ভাবে, ভারতের চর হয়ে মরতে হলো মিথ্যা অপবাদ নিয়ে কেন!

ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালবাসেন।
“কেউ সত্যি সত্যি ই সৎ, নীতিবাদী, মনুষ্যত্ব পূজারি, সত্যবাদী, ধার্মিক হবেন না ” সব কিছুই হবেন কিন্তু “ভন্ড হবেন, লোক দেখানো হবেন ” আপনি এ দুনিয়ায় সাকসেসফুল একজন হবেন! ভালোমানুষ হলেন তো মরলেন! চুরিচামারি সুদ ঘুষ কালোবাজারি করে বেয়াদব ধর্ষক হয়ে অর্থবিত্তের মালিক হন, একদিন মক্কা মদিনা গয়া কাশি বৃন্দাবন যাবেন, আপনাকে পায় কে?
ওপারে কি হবে তা বলতে পারি, বললে কেউ মানে না!

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102