গল্প: কলেজের গেটে (প্রথম পর্ব)
কলমে: আয়না আফরোজা
এলাকার চেয়ারম্যান এর ছেলে সাথে সবার ক্রাস ফারহান ভাইয়ের গালে চর বসিয়ে দিলো আরাবি।
তারপর তাকে আর পায় কে??
বাড়ির রাস্তা ধরে দেয় দোর।
এই একটা লোক যাকে যমের মতো ভয় পায় আরাবি।
আর তাকে কি না চর মেরেছে সে। ভাবতেই কেঁপে উটছে।
কি হবে কে জানে।
সাহিদা বেগম (আরাবির মা) — কিরে এভাবে কেন দোওরাচ্ছিস ককুরে তারা করলো না কি।
বাড়ির সামনে আসতেই আরাবির মা জিজ্ঞেস করলেন কথাটা।
আরাবি – এএ,,,হ্যা অনেক বড়ো কুকুর মা। অনেক ভয়ানক ও।
সাহিদা বেগম — তুই ঠিক আছিস তো মা। কোথাও ব্যাথা পাস নি তো, আবার কামড়ে দেয়নি তো।
সামনে এগিয়ে এসে চিন্তিত কন্ঠে আরাবির হাত টেনে বললো,
আরাবি – হ্যা তুমি চিন্তা করো না আমি ঠিক আছি।
দি এখনো আসেনি মা।
সাহিদা বেগম — নাহ আসে। তুই ঘরে যা।
আরাবি ঘরে গিয়ে গোসলে ঢুকলো।
ওহ সরি আপনাদের কে তো পরিচয় ই দেওয়া হলো না।
ও আরাবি আফরিদা রাখি।
সবাই ছোট করে আরু বলে ডাকে। বয়স ১৭ র মাঝখানে দাঁড়িয়ে। কিছুদিন আগে sscদিয়ে কলেজে উঠেছে তিন মাস।
বড়ো বোন আরিয়া আনিয়া । এবার অনাস এ। মা সাহিদা বেগম। বাবা আশরাফ সরকার, পেশায় একজন শিক্ষক তারা ২ ভাই ১ বোন, চাচা শহরে থাকে পরিবার নিয়ে বাবা যায় নি তার বাবা মা এর বাড়ি ভিটে ছেরে।
পরিচয় দিতে দিতে আরাবি গোসল সেরে উঠোনে এসে দাড়িয়েছে।
সাদা ও গোলাপির সংমিশ্রণ এ তৈরি একটি কামিজ তার সাথে ফুল গেয়ারের সাদা প্লাজু। সাদা জরজেট এর ওরনা, সদ্য গোসলের ফলে, চুল থেকে পানি পরছে, গায়ের দুধে আলতা রংটা রোদের আলোয় চমকাচ্ছে,
আরাবি এতটাও সাদা নয় কিন্তু চেহারায় অন্যরকম একটা মায়া আছে।
যা কোররি চোখ এরায় না। হাতের টাওয়াল টা দড়িতে নেরে দিয়ে ঘরে এসে বসতেই।
আরায়া চেঁচাতে চেঁচাতে ওর সামনে আসে।
আরাবি তো ভয়ে শেষ যাদি আরিয়া সবটা যেনে যায়।
ভয়ে ফাঁকা ঢোক গিলে জিজ্ঞেস করলো,
আরাবি – কি হয়েছে দি চেচামেচি কেন করছো।
আরিয়া – তো কি করবো, শুনি। {রেগে}
আরাবি – কিছু কি হয়েছে
আরিয়া – তুই আমাকে তা জিজ্ঞেস করছিস।
আরাবি – দি সরি আসলে আমি,,,,আমিিি ই,,চ,,ইচ্ছে করে মমম,,,মারি নি তো,
আরিয়া – তো কিভাবে মেরেছিস, তুই সবার সামনে চর মারলি তাও ফারহান ভাইকে, মন সম্মান সব ধুলয় মিসিয়ে দিলি তার, ভাইয়া তোকে কি করবে আল্লাহ ই যানে,
আরাবি – আআআ,,,আসলে ওরাই তো আমাকে ডেয়ার দিলো আর আমি কি জানতাম নাকি যে ওটা ফারহান ভাইয়াই ছিল। এটা তো পরে দেখেছি যে সেটা উনি।
আরিয়া একটা দীর্ঘ নিঃস্বাস ছেরে বললো,
আরিয়া – ভাইয়া বাইরে দাড়িয়ে আছে, যা আর আমি রিকুয়েষ্ট করেছি যেন মা বাবা কে না বলে, আর শোন ভালো করে ক্ষমা চাবি, তুই যা করেছিস আমারি তো ইচ্ছে করছে তোকে ঠাস ঠাস বসিয়ে দেই.
বলেই চলে গেল এ কেমন বোন রে বাবা ভাবছে আরাবি,
সত্যি ওর বোন তো,
আবার ভাবছে আরে ও কি ভাবছে ফারহানের হয়েই তো কথা বলবে ক্রাস বলে কথা,
আরাবি একটা ভেংচি কেটে,
বাইরের দিকে হাটা ধরলো,
বুকের ভেতর ভয়ে ধুকপুকানি বেরেই চলেছে না
যানি ফারহানা ওকে কি করবে,
আল্লাহ কে ডাকছে বার বার,
ও যেতে যেতে
চলুন ফারহান কে যেনে আসি,
এলাকার চেয়ারম্যান মিজান চৌধুরী র এর ৩ ছেলে বড় ছেলে ফাহাদ চৌধুরী, বয়স ৩২, পেশায় এমবিবিএস ডাক্তার , বিয়ে হয়েছে ৫ বছর বউ তানিয়া চৌধুরী,
দেখতে আগুন সুন্দরী,
মেজো ছেলে ফারহান চৌধুরী, বাবা ও মামার রাজনৈতিক দলের নেতা
এলাকা সহ আসেপাশে সব গ্রাম তার বসে,
শহরেও তার বেশ নাম ডাক, কারন সেখানে মামা এমপি।
মামার কোন ছেলে নেই তাই সে ই সব দেখাশোনা করে মামার পর সেই তো তার পদে এমপি হবে,
বয়স ২৮, দেখতে পুরোই মাশাআল্লাহ, সবার ক্রাস বলে কথা।
আর বাকি রইলো ছোট ছেলে।
ফাহিম চৌধুরী, বয়স ২৫
ভাইদের মতোই সুন্দর সবসমই ফারহানের সাথে থাকে, যেমন ছায়া আর শরীর,
পরিচয় দিতে দিতে আরাবি বাড়ির পাশে পুকুরের সামনে এসে দেখলো ফারহান দাড়িয়ে পিছনে ফিরে থাকায় মুখ দেখা যায় না, ও ভায়ে ভয়ে সামনে এগোতে থাকে, আর বির বির করে বলে।
আরাবি – আল্লাহ গো এবারের মতো বাচাইয়া দেও আর জীবনেও এর সামনেও যাবো না আল্লাহ আল্লাহ আল্লাহ।
বলতে বলতে সামনে এগিয়ে যায়
কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠে,
আরাবি – ফ,,,ফা,,ফারহান ভাইয়া,
ফারহান পিছনে রেগে তাকায়,
কিন্তু কিছু বলতে পারলো না মেয়েটি কে আজ অসম্ভব সুন্দর লাগছে, ওর রাগ নিমিষেই গলে গেল,
এই ইকটু আগেই সে রাগে গজ গজ করতে করতে ভেবেছে আরাবি আসলেই
তাকে ২-৩ থাপ্পড় দিবেই দিবে, কিন্তু এখন ইচ্ছে করছে ওর সেই গালে টুপ করে চুমু খেতে, ও মনে মনে বললো।
ফারহান – আর কত পুরাবি জান তোর_আসক্তির_যন্ত্রণা য়।
ফারহানের শান্ত চাহনি আরাবির ভয় আরোও বাড়ছে ও আবার কাঁপা কাঁপা কন্ঠে বলে উঠে।
আরাবি – বিশ্বাস করুন আমি জানতাম না যে ওটা আপনি ছিলেন, পরে দেখেছি যে সেটা আপনি,
আসলে আমি ডেয়ার পেয়েছিলাম যে কলেজ থেকে বের হয়ে সবার আগে যাকে কালো ঘড়ি পরা দেখবে তাকে থাপ্পড় দিতে হবে,
আর ভুল বসতো আপনাকে দেখি কিন্তু আপনি পিছনে ফিরে থাকায় মুখ দেখা যায় নি,
i am sorry ভাই আর কক্ষনো হবে না প্লিজ,
ফারহান – না কোন সরি টরি হবে না ভূল করেছিস শান্তি তো পেতেই হবে,
আরাবি মুখ টা ছোট করে ওর দিকে তাকায় ফারহান এর প্রচুর
হাসি পাচ্ছে তবুও হাসি কন্ট্রোল করে বললো,
ফারহান – এভাবে তাকিয়ে লাভ নেই, তোর গাল টা বাডিয়ে দে আমি শান্তি তো দিবোই,
আরাবি – এই বজ্জাত এখন আমকে থাপ্পড় মারবে আল্লাহ এর হাতির মতো হাতের থাপ্পড় খেয়ে আমি বাচবো {মনে মনে বললো}
ফারহান – কি হল দে,
।
আরাবি চোখ বন্ধ করে ভাবছে আল্লাহ যেন বেশি জোরে না মারে আমার উপর যেন এই রাক্ষস এর ইকটু দয়া হয়।
এসব ভাবতে ভাবতেই ওর গালে ঠান্ডা কিছুর স্পর্শ পায় ও চোখ খুলে দেখে,
ফারহান ওর গালে চুমু খাচ্ছে। ও পুরো সকড, নরতে ও ভুলে গেছে, ফারহান ওর অবস্থা দেখে কিছুটা দূরে দাড়িয়ে ঠোঁট চেপে হাসছে,
ফারহান – এটা হলো তোর শাস্তি,
বলেই গড গড করে চলে গেল, আরাবি এখনো দাড়িয়ে আছে।
ও এখনো বিষয় টা মানতে পারছে না,
গালে হাত দিয়ে বাড়িতে ডুকে,
দপ করে ছোফায় বসে পরে,
আরিয়া – বেশি ব্যাথা করছে রে বরফ নিয়ে আসি,
আবারির পাশে বসে ওর কাধে হাত রেখে বললো আরিয়া ও তো ভাবছে আরাবি থাপ্পড় খেয়েছে ফারহান এর হাতে তাই গলে হাত দিয়ে আছে।
আরিয়া – কিরে কথা বলছিস না কেন বেশি ব্যাথা করছে,
আরাবি – এ হ্যা কি না, ব্যাথা কেন করবে।
আরিয়া – মানে ব্যাথা করছে না, থাপ্পড় মারে নি।
আরাবি – না মারে নি,
আরিয়া – তো কি করেছে, অন্য শাস্তি দিয়েছে।
আরাবি আবার লজ্জায় লাল নিল হচ্ছে এটা দেখে আরিয়া বিরক্ত নিয়ে বললো,
আরিয়া – এমন করছিস যে ফারহান ভাই তোকে থাপ্পড় না চুমু খায়েছে।
আরাবি – চুমুই তো খেয়েছে।
অন্যমনস্ক হয়ে কথাটা বলে ফেলেছে। আরিয়া তো আকাশ থেকে ঠাস করে পরলো।
কি বলে এই মেয়ে পাগল হয়ে গেছে নাকি আল্লাহ মা কে জানাতে হবে তার মেয়ে পাগল হয়ে গেছে।
w8 সত্যি পাগল হয়ে গেছে নাকি সত্যি বলছে তার বোনতো মিথ্যা বলার মেয়ে নয়।
তাহলে সত্যি ফারহান এটা করে এবার আরিয়া কান্নার প্রস্ততি নিচ্ছে
।
আরিয়া – তুই ঠিক বলছিস।
আরাবি পরিস্থিতি এমন দেখে তারাতাড়ি বললো।
আরাবি – আমি তো মজা করলাম খিদে পেয়েছে দি খেতে আয়,
বলেই চলে যায়।
🌿
সকল 5:40।
আরাবি হাটতে বেডিয়েছে।
হলকা ঠান্ডা ঠান্ডা ওয়েদার,
চারপাশে এখনো ভালোকরে আলো ফোটে নি।
গ্রামের চিকন মাটির রাস্তা, একপাশে বড় বড় গাছ আরেক পাশে ঘর বাড়ি,
তার মধ্যে দিয়ে হেটে যাচ্ছে আরাবি, পরনের চাদর টা আরও ইকটু ভালোভাবে জড়িয়ে নিয়ে, পাশের ছোট একটা চায়ের দোকানে ডুকে,
দোকান টা ছোট খাটো,
তবে অনেক কিছু ই পাওয়া যায়,
দোকানে সাথে একযাস্ট করা একটা ঘর, যেখনা দোকানদার বৃদ্ধ আর তার স্ত্রী থাকে ছেলে ময়ে নেই, ভালোবেসে বিয়ে করেছে বিয়ের পর যানতে পারে
বৃদ্ধা কখনো মা হতে পারবে না, তাও বৃদ্ধ তাকে আগের মতোই ভালোবেসে, আর ২য় বিয়ে তো দৃরের কথা মূখেও আনেনি।
এদের ভালোবাসা বরাবরি মুগ্ধ আরাবি,
বৃদ্ধ, আর বৃদ্ধা তকে অনেক ভালোবাসে, প্রতিদিন তাকে ফ্রী তে আইসক্রিম খাওয়ায়, আরাবি র প্রতিদিন এর নিয়ম এটা, সেটা শিত হোক বা গরম,
আরও একটা কারন আছে এখানে আসার তা হলো বৃদ্ধ র একটা পোষা খরগোশ আছো, যার জন্য ও প্রতিদিন এখনে আসে,
আরাবি – দাদু আমার আনিক {খরগোসটার নাম }কই?
বৃদ্ধ – কে জানি কোনহানে গুইরা বেড়াইতাছে,
আরাবি – আর তোমার বুড়ি কই, আমার আইসক্রিম এর ভয়ে পালাইছে,
বৃদ্ধা – আমি কওরে ভয় পাই না, সাবাই আমারে ভয় পায় যেমন তোর দাদু পায়,
{ঘর থেকে বেড়িয়ে আরাবির হাতে আইসক্রিম ধরিয়ে বললো}
আরাবি – যেই ঝগরুটে ভয় না পেয়ে যাইবো কই শুনি,
বৃদ্ধা – এই ছেমরি কি কইলি আমি ঝগরুটে,
আরাবি – হ্যা আমি কি ভুল কিছু বললাম কি দাদু বলো,
বৃদ্ধ – হ্যা তাই তো আরু তো ঠিকি বলছে,
আরাবি – দেখছো বুড়ি।
ফারহান – এখানে কি হচ্ছে,
পিছন থেকে ফারহান গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠলো, আরাবি ভয়ে পিছনে ঘুরে।
ফারহান – কিরে কথা বলছিস না কেন,
আরাবি – কক,,ককই কি,,কিছু না,
ফারহান – তো এই ঠান্ডার মধ্যে আইসক্রিম কেন খাচ্ছিস, {আরাবি র হাতের আইসক্রিম এর দিকে তাকিয়ে আবার আরাবির দিকে তাকালো তারপর রাগি সুরে বললো}
ফারহান – ঠান্ডা লাগানোর ইচ্ছে আছে,
আরাবি – না
ফারহান – তো আইসক্রিম কেন খাচ্ছিস।
আরাবি – এ,,এমনি
ফারহান – কি এমনি রাখ আর আজ থেকে আইসক্রিম খাওয়া বন্ধ। মনে থাকবে,
আরাবি উপর নিচ মাথা নারায়,
ফারহান – ওকে গুড গাল।
দাদু কেমন আছ,
বৃদ্ধর দিকে তাকিয়ে।
বৃদ্ধ – আলহামদুলিল্লাহ তুমি কেমন আছ,
ফারহান – এইতো ভালো।
বৃদ্ধ – কবে আইছো তুমি,
ফারহান – পরশু রাতে,
ওদের কথার মাঝেই কারো কল আসে,
বৃদ্ধ – তোমার মনে হয় ফোন আইছে,
ফারহান পকেট থেকে ফোন বের করে দেখে না৷
ফারহান – আমার না তোমার কল আসছে,
আর ওদিকে আরাবি তো ভয়ে জমে গেছে কার কল টা ওর ই আসছে,
পরীক্ষার শেষে বায়না ধরেছিল পরে ওর মেঝ ফুপির ছেলে আকাশ বিদেশ থেকে পাঠিয়েছিল
কিন্তু ফারহান এর থেকে লুকিয়ে রেখেছে এতদিন
ফারহান গ্রামে আসলেই ফোন নিয়ে বের হতো না ও কিন্তু আজ মাথাতেই ছিল না কথাটা,
বৃদ্ধ – আমার ফোন আইবো কনতে মনে হয় আরু র ফোন আইছে,
ফারহান – তোর ফোন আছে,
আরাবি র দিকে কঠিন দৃষ্টি নিক্ষেপ করে ততক্ষণে কল কেটে গেছে।
আরাবি – ও,,ই,,আসল,,লে
আবার কল আসে আরাবির ইচ্ছে করছে কলের লোকটাকে এই ঠান্ডায় পুকুরে চুবাতে,
কিন্তু এই সময় কে কল দিবে এখন তো সকাল।
ফারহান – কি হলো কল ধর,।
আরাবি ফোন এর দিকে তাকাতে ই ভয়ে কাপতে শুরু করে যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধা হয়,
রবিন কল দিয়েছে এখন কি করবে। আইডিয়া।
ও কল ধরেই বলতে থাকে।
আরাবি – হ্যালো ফুপ্পি কেমন আছে।
রবিন – হোয়াট কে ফুপ্পি।
আরাবি – হ্যা আমি ভালো আছি বাড়ির সবাই ভালো আছে,
রবিন – কিসব বলছো,
আরাবি – আমি বাইরে আছি বাসায় গিয়ে কল দিব,
রবিন – আসেপাশে কেউ আছে,
আরাবি – হ্যা রাখছি পরে কল দিব,
কলেই কল কেটে দেয়।
আরাবি – আমি বাসায় যাই হ্যা,
ফারহান – দারা ফোন দে তোর,
আরাবি – ক,,কেন
ফারহান – প্রশ্ন করছিস সাহস বেড়ে গেছে,
আরাবি – না আসসলে।
ফারহান – কথা বলতে বলিনি ফোন দিতে বলেছি,
ফরাবি এবার কি করবে , যদিও রবিন এর নাম্বার ওর ফ্রেন্ড নিপার নাম দিয়ে সেভ করেছে,
কিন্তু ফেসবুক আইডি সহ অন্যান জায়গায় তো ধরা পরে যাবে না দিলেও সবনাস এখন কি করবে।
ভয়ে ভয়ে।।
ফারহান হাতে ফোনটা দিয়ে দেয়।
ফারহান কিছুক্ষণ এটা ওটা কি যেন করলে তারপর ফোনটা দিয়ে দিল।
তারপর নরমাল কন্ঠে বললো,
ফারহান – আকাশ তোর পুপ্পির ছেলে, নিহাদ তোর কাকার ছেলে, রাকিব তোর পাশের বাড়ির ছেলে,
এদের তো চিনলাম কিন্তু,
রবিন রায় আর রোহান রায় এই দুজন কে,
আরাবি – আআ,,আসলে,, ওই নিহাদ ভাইয়ার ফ্রেন্ড, রবিন ভাইয়া,
আর রোহান ভাইয়া ওনার বড়ো ভাই,
ফারহান – তো তুই কেমনে চিনিস,
আরাবি কিছু বলতে যাবে তার আগেই সেখানে রায়হান চলে আসে, রায়হান হলো ফারহান এর চাচাতো ভাই ছোট বেলা চাচা চাচি মারা যায় তারপর থেকে ও ওদের সাথে থাকে বলতে গেলে ওদের আরেক ভাই, ও আর ফারহান সমবয়সী ও এসেই আরাবি কে বললো,
রায়হান – কেমন আছো ছোট আপু, ভয় পাচ্ছ কেন?
আরাবি – আসলে,
ফারহান – আমি তোকে কিছু জিজ্ঞেস করেছি,
{ধমক দিয়ে }
রায়হান – তুই বকছিস কেন আরু কে,
ফারহান – তুই চুপ কর কি বলছি আমি রবিন কে আর রোহান কে।
রোহন নাম শুনতেই রায়হান অবাক হয়ে যায় এই নাম আজ ৫ মাস ধরে লুকিয়ে রেখেছে ওরা আর আজ কি ওর ভাই জেনে গেল।
এখন কি হবে ফারহান সব ষেশ করে দিব, না না
এটা কিছুতেই হতে পারে না,
রায়হান – আর তুই এমন কেন করছিস ওর পরিচিত কেউ হতেই পারে, আর কাকি অসুস্থ হয়ে গেছে তারাতাড়ি চল।
ফারহান – কি হয়েছে মায়ের।
রায়হান – মাথ গুরে পরে গেছে।
ফারহান – কি আগে কেন বলিসনি চল তারাতাড়ি।
রায়হান – হ্যা চল
বলেই ২ জন চলে যায় যাওয়া আগে রায়হান ফারহানের আগচোরে ফারাবি কে চোখ টিপ মারে যার মানে সে মিথ্যা বলেছে,
আরিয়া – রায়হান ভাইয়া আমাকে বাচালো কেন কি সব ভাবছিস তুই আরু এটা তো ভালোই হলো,
বলেই বাড়ির দিকে এগিয়ে যায়….. চলবে