স্টাফ রিপোর্টার:
সন্মানিত দেশবাসী আপনারা নিশ্চয় অবগত আছেন বর্তমান উপদেষ্টা সরকার অতিব গুরুত্ববহ রাষ্ট্র সংস্কারের কাজে কেবল হাত দিয়েছেন।
এরমধ্যে প্রায় প্রতিনিয়ত নানা মহল থেকে নানারুপ চাপ তাঁদের দেয়া হচ্ছে।
প্রেসিডেন্টকে সরানোর সেনসিটিভ ইস্যুটি জনাব মতিউর রহমান চৌধুরী সাহেব এই সময় সাক্ষাৎকার না নিলেই পারতেন বা নিলেও পত্রিকায় ওভাবে হেডলাইন না দিলেও তো পারতেন। আমরা অধিকাংশ মানুষ আপনাকে একজন সজ্জ্বন নিরপেক্ষ
বিদ্ব্যান ব্যক্তি হিসেবে জানি।
আপনার এই বিষয়ের সাক্ষাৎকার নেয়ার মধ্যে কোন কোন মহল ষড়যন্ত্রের আভাস পাচ্ছে ।
আল্টিমেট ওয়াকার সাহেব না আসা পর্যন্ত এ বিষয়ে কিছু হবে বলে মনে হয় না।
সুতরাং শুধুমাত্র ছাত্রদের বা নামসর্বস্ব কিছু নেতার কথায় কোনরুপ হটকারী সিদ্ধান্তের প্রস্তাব দেয়া বা সিদ্ধান্ত নেয়া সমীচীন হবে না।
দোষী আওয়ামীলিগার বা তাদের দোসরদের কুকর্ম ,,দুর্নীতি ,ছাত্রজনতা হত্যা , অবৈধ নির্বাচনে রাষ্ট্রীয় সুবিধা যা তারা ও তাদের দোসররা নিয়েছেন তাও মানুষ ফেরত চায়),মানবতাবিরোধী অপরাধের অবশ্যই বিচার ও শাস্তি দেশবাসী প্রত্যক্ষ করতে চায়।
কিন্তু হঠাৎ করে দলকে নিষিদ্ধ করার উদ্যোগ কতটুকু সমীচীন তা চুলচেরা বিশ্লেষণের দাবী রাখে।বিএনপি,জামায়াত এইসব বড় দলগুলো কিন্তু এই যুক্তির সাথে একমত নয়।
তাহলে পরবর্তীতে জনমনে প্রশ্ন আসতে পারে অন্তবর্তী সরকারও কি আওয়ামীর মতো।
গণতন্ত্রে এইসব নিষিদ্ধের জায়গা নেই।পার্টির সবলোককে বা সমর্থকগণকে ঢালাওভাবে খারাপ বলা সমীচীন নয়।
যেমন কোনো খুন বা হত্যা কে আর একটি খুন বা হত্যা দ্বারা বিচার করা যায় না।ন্যায় বিচারের কৌশল বা আইন দ্বারাই তা করতে হবে।
মর্মবাণী মনে রাখতে হবে আমরা মানুষকে নয়, ঘৃনা করতে হবে তার দুষ্কর্ম বা ঘৃনিত কাজকে।
আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমাদের কে ঘটনা ঘটার উপাদান বা উপায় সমুহকে চিহ্নিত করতে হবে এবং সেসব দূরীভুত করার ব্যাবস্থা করতে হবে অর্থাৎ Prevention is better than cure. এই থিউরি বেশি apply করতে হবে।
কারো প্ররোচনায় বা চাপে ক্ষমতায় থাকার মানষে উপদেষ্টা পরিষদের অগ্নিগর্ভ বিতর্ক সৃষ্টি হতে পারে এমন অযৌক্তিক অবাস্তব ও ক্ষতিকর কাজ থেকে বিরত থাকা উত্তম।
দেশের প্রতিটি অংগে জুডিশিয়ারি, প্রশাসন, পুলিশ,পিএসসি,আইনশৃঙ্খলা ইত্যাদি ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের চাওয়া কিভাবে প্রাধান্য পাবে সেই উপায় উদ্ভাবন করুন এবং প্রয়োজনে বিদেশি রুলস অফ বিজনেস follow করুন।
এর পরিবর্তে ও,আর ওর পরিবর্তে এ, এগুলো কোন স্থায়ী সমাধান নয়।তবে ক্ষতিগ্রস্থকে কমপক্ষে আর্থিক কমপেনসেশন দিতে হবে।
মাননীয় উপদেষ্টা মন্ডলীর বা প্রধান উপদেষ্টার আর্মি-প্রশাসন কাউকেই ভয় পাওয়ার দরকার নেই। ক্ষমতা বা ভোট তো এই সরকারের লক্ষ্য নয়।
সংস্কার হলো একমাত্র লক্ষ্য।
তাহলে জনগণ আপনাদের পাশে আছে ছাত্ররা আছে।
আর যদি হাল ছেড়ে দেন তাহলে জাতির কাছে আপনারা অদক্ষ,ভীরু কাপূরুষ হিসেবে চিহ্নিত ও ঘৃনিত হবেন।আমরা আমজনতা এটা চাই না আশাও করি না।
একবার ভেবে দেখুন তো কতকাল পরে জাতির সামনে এই সুযোগ এসেছে ।শতাব্দীতে একবার আসে কিনা সন্দেহ!
এক একটা মিনিষ্ট্রি বা ডিভিশনে ২৫/৪০/৫০ জন অতিরিক্ত সচিব, আরও বেশি উপসচিব, বা নীচের স্তরের কর্মকর্তা পোষ্টেড।কাজের জন্য কোন্ লেবেল এ কতজন কর্মকর্তা বা স্টাফ দরকার তার সাইন্টিফিক এসেসমেন্ট বের করুন।এটি মোটেও কঠিন কাজ না বা রকেট সাইন্স না।
হয়ত অনেকেই ব্যাক্তিগতভাবে আমার উপর রুস্ট হতে পারেন বা সমালোচনা করতে পারেন(যেহেতু আমি সরকারী চাকুরী জীবি ছিলাম)।কাউকে কষ্ট দেয়ার জন্য নয় বরং সমাজের জন্য দেশের জন্য কথাগুলো বলছি।
অনেকে বলতে পারেন তাহলে বেকারত্বের কি হবে ?
মন্ত্রণালয় বেকারত্ব পালার জায়গা নয়।বরং বাড়তি জনবলে কাজ বিলম্বিত হচ্ছে, ঘাটে ঘাটে নথি আটকা পরছে।সময় অপচয় হচ্ছে ও অনৈতিক খরচ বাড়ছে।
এর জন্য সরকারকে সার্ভিস ওরিয়েন্টেড কর্মমুখী প্রকল্প ,বৈদেশিক কর্মসংস্থান ইত্যাদিতে নজর দিতে হবে।
উপজেলায় কোর্ট, ইউনিয়নে বিচার শালিশি ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে।ঢাকার উপর চাপ কমানোর জন্য ও গ্রাম উপজেলায় কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য এটা করার সুপারিশ এই সরকার অন্তত করতে পারে।
একই সাথে বাজেটকে বিভক্ত করে ইউনিয়ন ,উপজেলায় বরাদ্দ দিয়ে দিতে হবে।অযথা বারবার ঢাকায় প্রভুদের কাছে যাতে আসতে না হয়।
বিচার বিভাগের বাজেট নিয়োগ পোস্টিং ইত্যাদি সুপ্রিমকোর্ট ও তার সেক্রেটারিয়েটের মাধ্যমে পরিচালনা করতে হবে।সরকার কোনভাবেই বিচার বিভাগে নাক গলানো বা খবরদারি করতে পারবেনা।
নির্বাচনে পার্টির কেন্দ্র থেকে নমিনেশন দেয়ার রেয়াজ বাতিল করতে হবে।প্রয়োজনে RPO তে চেন্জ এনে এই বিধান বলবৎ করতে হবে।মার্কা বিষয়ে ডিসপুট স্থানীয় স্তরের পার্টি প্রতিনিধিদের ভোটাভুটির মাধ্যমে সমাধান করতে হবে।তাহলে নমিনেশন কেনাবেচার রাজনীতি কিছুটা থামবে। আজ এ পর্যন্তই।
আগামীতে সুযোগ পেলে ও আপনাদের উৎসাহ পেলে বিষয় ভিত্তিক লিখবো ইনশাআল্লাহ।
লেখক (মোঃ আসাদুজ্জামান
প্রধান সমন্বয়কারী ,আমজনতার দল বাংলাদেশ এবং আহবায়ক,
কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ।)