মো: বায়েজিদ বোস্তামী,
বিশেষ প্রতিনিধি, কিশোরগঞ্জ:
কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার মুমুরদিয়া ইউনিয়নের আওতাভুক্ত চাতল বাগহাটা স্কুল এন্ড কলেজের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও মারামারি সংঘটিত হয়। দেশীয় ধাঁরালো অস্ত্রের আঘাতের কোপ থেকে সমন্বয়ক রঞ্জনেকে বাচাঁতে গেলে উল্টো সেই কুপের আঘাতে ২২মার্চ-২৫ইং ছাত্রদলের আশিক খাঁ নিহত হয়। নিহত আশিক খাঁ এর মা রিতা আক্তার উক্ত ঘটনায় বাদী হয়ে ২৯ জন বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন এবং দুজনকে গ্রেফতার করা হয়। শাহ মোহাম্মদ আলী হায়দার বাবুল ও আব্দুল হান্নান নামের এই দুইজন বিএনপি নেতাকে গ্রেফতার করা হয়।এ ঘটনার একদিন পর ২৩ মার্চ ২০২৫ রবিবার তাঁদের ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করেন পুলিশ।
বিএনপির বিভিন্ন পদ পদবীতে থাকা ২৯ জন অপরাধীর বিভিন্ন নেতাকর্মীদের নামে নিহতের মা রিতা আক্তার বাদী হয়ে রবিবার থানায় এ মামলাটি করেন বলে জানা গেছে। এতে আসামি কটিয়াদী উপজেলা বিএনপির সহ সভাপতি ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আশিকুজ্জামান নজরুল, চান্দপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ও জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) রিয়াজুল ইসলাম সেবক, চাতল বাঘহাটা স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক সভাপতি শাহ মোহাম্মদ আলী হায়দার বাবুল, চান্দপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক প্যানেল চেয়ারম্যান ইনসাফ আলীসহ ২৯ জনের অন্যান্য।
এর আগে এ ঘটনার প্রথম দিনে নিহত মো. আশিক খাঁ এর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে কটিয়াদী সরকারি হাসপাতাল থেকে বের হয়ে রিক্সারমোড়, কলেজ রোড ও উপজেলা রোড হয়ে কটিয়াদী বাসস্ট্যান্ড পেট্রোল পাম্প পর্যন্ত এক প্রতিবাদী বিক্ষোভ মিছিল করে কটিয়াদী উপজেলার ছাত্রদল ও যুবদলের বিভিন্ন নেতাকর্মীরা। পরে আবারও মো.আশিক খাঁ এর মৃতদেহ খাটিয়া দিয়ে কাঁধে নিয়ে জনগণের সম্পৃক্ততায় কটিয়াদী মডেল থানায় এসে দু:খ ভারাক্লান্ত সকল শুভাকাঙ্ক্ষীগণ পুলিশের নিকট সোপর্দ করেন।