সুরঞ্জন তালুকদার, বিশেষ প্রতিনিধি:
নেত্রকোনার কলমাকান্দার সিংপুর গ্রামে লিজা আক্তার (২২) নামে এক গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের খবর পাওয়া গেছে। নিহত লিজা আক্তার উপজেলার সদর ইউনিয়নের সিংপুর গ্রামের এহসানুল হক মিলন (৩২) এর স্ত্রী।
পুলিশ ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর ইউনিয়নের গলহা গ্রামের নুরু মিয়া তালুকদারের মেয়ে লিজা আক্তারের (২২) সঙ্গে পাশের নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার সিংপুর গ্ৰামের মৃত মফিজ আলী ছেলে এহসানুল হক মিলনের সংঙ্গে পরিবারের অমতে ১৮ মাস পূর্বে বিয়ে হয়। এহসানুল হক মিলনের আগের স্ত্রী ও তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী মা নিজেও অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে লিজা আক্তার কে। কয়েক মাস আগে লিজা ৬মাসের অন্তঃসত্ত্বা থাকা অবস্থায় তার শাশুড়ি পেটের মাঝে লাথি মারে পরে তার পেটের সন্তান নষ্ট হয়ে যায়।এরপর তাঁকে সিংপুর গ্রামের বাড়ি থেকে নিয়ে আসে কলমাকান্দায়। তাঁরা কলমাকান্দার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজী জহিরুল ইসলাম মোস্তফার ৫তলা ভবনের ২য় তলায় একটি রুমে ভাড়া থাকে।গত চার পাঁচ দিন আগে লিজাকে নিয়ে গ্ৰামের গেলে তার মা ও শাশুড়ি মিলে অমানুষিক নির্যাতন ও মারধর করে।একথা ছেলে নিজেই তার স্ত্রীর বড় বোন মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানিয়েছে (অডিও রেকর্ড সংরক্ষিত)। গ্ৰামের বাড়ির ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্বামী স্ত্রী মধ্যে ঝগড়া আবারো শুরু হয়।
মঙ্গলবার রুমে দরজা সকালে না খোলায় বাসার মালিক ও আশেপাশের রুমের ভাড়াটিয়া ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া শব্দ না পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
কলমাকান্দা থানা পুলিশ ঘটনাস্থল এসে রুমের দরজা লক ভেঙ্গে দেখতে পায় রান্না ঘরের গ্ৰীলের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় পেঁচানো ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। মরদেহ উদ্ধার করে কলমাকান্দা থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালের মর্গে মরদেহ পাঠিয়েছে পুলিশ।
মেয়ের বাবা নুরু মিয়া তালুকদার বলেন আমার মেয়েটা আমার অমতে বিয়ে করায় আমি তার সাথে কোন যোগাযোগ রাখি নাই ।মাঝে মধ্যে তার মায়ের সাথে এক দুই মিনিট কথা বলত। আমার মেয়েটাকে অমানুষিক নির্যাতন করত , এমনকি রুমে তালা মেরে রাখতো। এভাবে যে আমার মেয়েটাকে মেরে ফেলবে কখনো ভাবিনি। আমি আমার হত্যার বিচার চাই।
কলমাকান্দা থানার ওসি মোহাম্মদ ফিরোজ হোসেন বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন থানায় সাধারণ ডায়রি মূলে লাশ উদ্ধার করে, ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।এখন পর্যন্ত এঘটনার লিখিত কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।