স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ছৈলা আফজালাবাদ ইউনিয়নের লাকেশ্বর পূর্বপাড়া গ্রামের মেসার্স মোঃ নুরুল রহমান মৎস ফার্মের পুকুরভরা মাছ লুট করার অভিযোগে ৫জনের নাম উল্লেখ করে সুনামগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় বিগত ২২/১/২০২৫ ইংরেজী দিবাগত রাতে লাকেশ্বর পূর্বপাড়া গ্রামের তাজুদুর রহমানের ছেলে কয়েছ আহমদ, বাবলু মিয়া, লায়েছ মিয়া, সহ মৃত আপ্তাবুর রহমানের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, মৃত জলালুর রহমানের ছেলে আব্দুল কাইয়ুম সহ আরো ১৫/২০ জনের একটি দল নুরুল রহমানের মৎস ফার্মের বিভিন্ন প্রজাতির ফলিত মাছ পুকুরে সেচপাম্প দিয়ে পানি কমিয়ে মাছ ধরার বিভিন্ন জাল দিয়ে ৬০০০০০ (ছয়লক্ষ) টাকার মাছ লুট করে নিয়ে যায়। অভিযোগ কারি শামীম আহমদ জানান রেকর্ডিয় মৎস খামার থেকে জোরপূর্বক মাছ লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। রাতের বেলা এই ঘটনা ঘটে। এতে প্রায় ৬ লাখ টাকার মাছ, কাটা, জাল ও বাঁশের ক্ষতি হয়েছে। লাকেশ্বর গ্রামের বাসিন্দা মো. হেলাল উদ্দিন জানান এরা একে অপরের আত্মীয় হয় এদের জায়গা জমি সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধ থেকেই এমন ঘটনা ঘটেছে তবে এ ভাবে মৎস খামার থেকে মাছ মারা টিক হয়নি। একি গ্রামের সালিশি ব্যক্তিত্ব আফতাব আলী জানান এদের পূর্ব বিরোধ নিয়ে এদের মধ্যে মামলা মোকদ্দমা লেগেই আছে এদের বিষয়ে কথাবলে কোন কাজ হয় না তবে পুকুরে মাছ মারা টিক হয়নি। স্থানিয়রা জানান কয়েক বছর ধরে এই মৎস খামারে মাছের চাষ করে আসছেন তিনি। কিন্তু গ্রামের কিছু চিহ্নিত লোক পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই লুটের ঘটনা ঘটায়। অভিযোগকারী শামিম আহমদ জানান মৎস খামারের মাছ লুটের পর মোবাইলে একটি ভিডিওচিত্র ধারণ করা হয়েছে। এটা আমাদের সংরক্ষণে আছে। সুষ্ঠু বিচার পেতে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫/২০ গং রেখে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ দিয়েছি। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি-র ওসি কে অভিযোগের তদন্ত করার নির্দেশনা প্রদান করেন। এ বিষয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি-র ওসি আহমদ উল্লা ভূঞা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানান এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনানোগ ব্যাবস্হা নেওয়া হবে।