নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় কয়বরখালী বেরীবাঁধ প্রকল্পের কাজে অনিয়মের অভিযোগে জেলা প্রশাসক বরাবরে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ২৩ মার্চ তারিখে দায়েরকৃত অভিযোগে প্রকাশ, উপজেলার ৩নং মিরপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের কয়বরখালী বেরীবাধটি অকাল বন্যার কারণে প্রায় প্রতিবছরই ভেঙ্গে যায়। উক্ত বেরীবাদ নির্মানের জন্য সরকার কর্তৃক পানি উন্নয়ন বোর্ড হতে পিআইসি কমিটির সভাপতি গয়াছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম. এ হক, আইন উদ্দিন ও কাদির গংদেরকে এবার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু তারা প্রকল্পের দায়িত্ব পাওয়ার পর কবরখালী বেরীবাধে সঠিকভাবে মাটি না দিয়ে সামান্য মাটি দিয়ে দায়সারাভাবে কাজ শেষ করে ফেলেন। গ্রামবাসী ও এলাকার মেম্বারসহ বাঁধটিতে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত মাটি ফেলার জন্য পিআইসির লোকদেরকে অনুরোধ করলেও তারা কোন কর্ণপাত না করে উল্টো অভিযোগ দায়েরকারীদেরকে হুমকি দেন। তারা হুমকি দিয়ে বলেন,“ আমরা যা করছি তাহা পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলাপ আলোচনা করেই করছি, তোমরা আমাদের কাজে বাঁধা দিতে এসো না, বেশী বারাবারী করিলে মিথ্যা মামলা মোকদ্দমা দিয়ে জেলে পাঠিয়ে দিব। আইন আদালত আমাদের পকেটে থাকে”। পিআইসির লোকদের এহেন হুমকিতে এলঅকাবাসী ভয়ে কোন কিছু না বলেই চলে আসেন। অভিযোগ উঠেছে, পিআইসি কমিটির সভাপতি গয়াছুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এম. এ হক, আইন উদ্দিন ও কাদির গংরা প্রকল্পের টাকা উত্তোলন করে ইতিমধ্যে আত্মসাৎ করিয়াছেন। এলাকাবাসী দায়েরকৃত অভিযোগের আলোকে কয়বরখালী বেরীবাঁধ প্রকল্পে সঠিকভাবে মাটি ফেলে টেকসই বাঁধ নিশ্চিত করার পাশাপাশি দুষ্ট এ চক্রটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জেলা প্রশাসকের কঠোর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।