চট্টগ্রাম প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার বড়হাতিয়া ইউনিয়নের সেনেরহাট মাষ্টার পাড়ায় জায়গা ও বাড়ির বিরোধের জের ধরে মৃত নুর আহমদের ছেলে, ডায়মন্ড প্রবাসী গ্রুপ লিমিটেড এর ডাইরেক্টর, রেমিট্যান্স যোদ্ধা আলহাজ্ব মোহাম্মদ মফিজুর রহমান সহ ৩জনকে প্রতিপক্ষ মারাত্মক জখম করেছে। এর মধ্যে প্রবাসী মফিজুর রহমান এর অবস্থা আশংকাজনক। তাকে লোহাগাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বর্তমানে তিনি মুমূর্ষু অবস্থায় আছে বলে জানিয়েছেন তাঁর ছেলে সোহেল আব্বাস।
মফিজুর রহমানের ছেলে সোহেল আব্বাস জানিয়েছেন - তাঁর আব্বা সকাল ৯ টায় জায়গা সংক্রান্ত মামলার তারিখ থাকায় সাতকানিয়া কোডে যাচ্ছিলেন। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে আমার আব্বাকে মামলায় যেতে না পারে মত গতিরোধ করে হত্যার উদ্দেশ্য সকাল ৭ টায় থেকে লুকিয়ে ছিল। আমার আব্বা সকাল ৯ টায় বাড়ি থেকে বের হলে আমার চাচা মমতাজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ এনাম, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, মৃত আব্দুল গণির ছেলে হেলাল ও রাসেলসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা আমার আব্বাকে রাস্তায় আটকিয়ে ঝাপিয়ে পড়ে। তারপর লোহার রড ও হাতুড়ি দিয়ে হাত- পায়ে এনাম ও হেলাল মারাত্বক আঘাত করে তেঁথলে দেয় এবং পা হাতের হাঁড্ডি গুড়িয়ে দেয়। তারপর রাসেল ও জাহাঙ্গীর লাটি দিয়ে পিটে আঘাত করে। তখন আব্বার চিল্লা ছিল্লিতে আমি বের হলে আমাকে কিরিচ দিয়ে দৌড়াইয়া নিয়ে যায়।আমার মা আরজু আরা বেগম ও বোন সাদিয়া রহমান বের হলে তাদের লাঠি দিয়ে পিঠায়, শীলতাহানি করে তাদের কাছ থেকে স্বর্ণের চেইন, মোবাইল ও কানফুল নিয়ে যায়। তাছাড়া আমার আব্বার মানি ব্যাগে থাকা নগদ দশ হাজার টাকা, সৌদি রিয়াল ৩ হাজার ও মোবাইল নিয়ে যায়। বর্তমানে আমার আব্বার অবস্থা আশংকাজনক। এছাড়াও আমি ও আমার পরিবার খুবই নিরাপত্তাহীনতায় আছি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরছে এবং বলছে আমাকেও মেরে গুম করে ফেলবে। থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। আমি এব্যাপারে থানা প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে আসামীদের উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছি। জায়গা - বাড়ির বিরোধের জের ধরে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে হাতুড়ি ও লোহার রড দিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে হাত পা ভেঙে দেয় তাঁর ভাতিজা এনাম, রাসেল, জাহাঙ্গীর ও হেলালসহ ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা। বর্তমানে মুমূর্ষু অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আমরা ঘটনার তিব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছি।
আমরা প্রশাসনের কাছে ঘটনার যথাযথ তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।