মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার ২নং দক্ষিণ বংশিকুন্ডা ইউনিয়নের হাতপাটন গ্ৰামের হরি মন্দিরে কীর্তন শুনতে গিয়ে মারধর করেছে এক নারী। মারধরের শিকার নারী হাতপাঠন গ্ৰামের সুবল দাসের স্ত্রী নিয়াসা রানী দাস।
গত ১৫ই নভেম্বর অনুমানিক রাত ৮টার দিকে এই ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও থানা অভিযোগ সূত্রে জানা যায় হাতপাটন গ্ৰামে অবস্থিত হরি মন্দিরে এলাকাবাসীকে নিয়ে প্রতি বছর অষ্ট প্রহর ব্যাপী হরিনাম সংকীর্ত্তন আয়োজন করা হয়।প্রতি বছরের ন্যায় এবারও গত ১৫ই নভেম্বর হরিনাম সংকীর্ত্তন আয়োজন করে। আমি আমার পরিবারের লোকজন রাত ৮টার দিকে কীর্তন শুনতে মন্দিরে যাই। মন্দিরে যাওয়া মাত্রই পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ১নং আসামী বিকাশ দাস আমাকে গালিগালাজ শুরু করে।তখন আমি অন্যায়ভাবে আমাকে গালিগালাজ করার প্রতিবাদ করলে ১নং আসামী বিকাশ দাশের নির্দেশে অভিযুক্ত স্বপন সরকার,কাজল সরকার,অতুল দাস,রিপন সরকার, কৃষ্ণধন দাস, শংকর দাস কীর্তনে আসা ভক্তদের সামনে আমাকে মারধর শুরু করে। আমার গলায় থাকা একটি স্বর্ণের চেইন স্বপন সরকার গলা থেকে টান মেরে নিয়ে যায়। এসময় আসামিরা চিল্লাইয়া বলে আজ তুকে মেরে ফেলব।মাইরা তর লাশ গুম করে ফেলব দেখি তরে কে বাঁচায়।এ সময় সাক্ষীগন এসে ওদের হাত থেকে আমাকে উদ্ধার করে স্থানীয় বাজারে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে আমি বাড়িতে আসার পর আসামীরা আমাকে হুমকি ধামকি দেওয়া শুরু করে।পরর্বীতে আমি এলাকার স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গদের অবহিত করি। এলাকায় কোন বিচার না পেয়ে আমি মধ্যনগর থানায় এসে লিখিত অভিযোগ করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত বিকাশ সরকার বলেন তার সাথে আমার আগে একটা ঝামেলা হইছিলো বিষয়টি এলাকাবাসী মিমাংসা করে দিয়েছিলো। কীর্তনের দিন ঘটনার সময় আমি ছিলাম না পরে শুনেছি এই রকম একটা ঘটনা ঘটছে।
আরেক অভিযুক্ত স্বপন সরকার বলে ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম ।একটা নষ্ট মহিলার কথায় আপনারা নিউজ করবেন। করেন সমস্যা নাই দেখি আমাদের কি করতে পারে এ মহিলা। মহিলার গলায় থাকা স্বর্ণের চেইনটি আপনি নিয়েছেন জিগ্যেস তিনি ফোন কেটে দেন। মধ্যনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সজিব রহমান বলেন আমি থানার বাহিরে আছি। থানা গিয়ে বিষয়টি জেনে পরে জানাবো।