মোহাম্মদ আব্বাস উদ্দিন, চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধি:
সাতকানিয়া উপজেলার কাঞ্চনা ইউনিয়নের জামায়াত কর্মী নির্মমভাবে হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া নেজাম উদ্দিনের সহধর্মিণীর আকুতি, অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানোর অপরাধে আমার স্বামীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
গত ৩ মার্চ, মঙ্গলবার রাত ১০:৩০ মিনিটে পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে তাকে পাশের গ্রামে শালিশের নামে ডেকে হত্যা করা হয়। খুনিদের কাছে তার স্ত্রীর প্রশ্ন, কিসের অপরাধের কারণে আমার স্বামীকে এভাবে পিটিয়ে হত্যা করেছো। আমার আড়াই বছরের সন্তানকে পিতার স্নেহ ভালোবাসা থেকে বঞ্চিত করেছ। আমার অনাগত আরেক সন্তানকে পিতার মুখ দেখতে দাওনি, তাদেরকে চিরতরে এতিম করে দিয়েছো, আমাকে করে দিয়েছো স্বামী হারা বিধবা। আমার স্বামী কোন অপরাধ করে থাকলে তাকে আইনের হাতে তুলে দিতে। এইভাবে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করার কি দরকার ছিল? আমার জানা মতো আমার স্বামী কোন অপরাধের সাথে জড়িত ছিলনা। তার অপরাধ হচ্ছে শুধু একটি সেটি হল অন্যায়ের প্রতিবাদ করা এবং অসহায় মানুষের পাশে দাড়ানো। এখন আমার আর আমার সন্তানদের দায়িত্বভার কে নিবে? এখন আমাদের মাথা গোঁজার মতো কোন ঠাঁই নাই। থাকার মতো কোন বাড়ি নাই। বর্তমানে আমরা আমার স্বামীর ভাইদের একটি ভাঙাচোরা ঘরের বারান্দায় কোন রকম জীবনযাপন করছি। আজ দুইদিন ধরে আমার ছেলেটা মুখে কোন খাবার নেইনি। শুধু বাবা বাবা বলে কান্নাকাটি করছে। ঘটনার দিন ইফতারের সময় আমার ছেলেটা তার বাবার সাথে শেষ খাবার খেয়েছিল। আজ বুধবার বিকালে সরেজমিনে নেজাম উদ্দিনের বাড়িতে গেলে এমন হৃদয় বিদারক কথাগুলো চোখের পানি ফেলে ফেলে বলছিলেন তার সহধর্মিণী।
প্রতিবেশীরা নেজাম উদ্দিনের সহপাঠীদের প্রতি বিশেষ অনুরোধ করেন, যদি সবাই মিলেমিশে সকলের একটু একটু সহযোগিতার মাধ্যমে নেজাম উদ্দিন ভাইয়ের পরিবারের পাশে দাড়িয়ে তাদের মাথা গোঁজার মতো একটি ঘর এবং তার ছেলেদের ভবিষ্যতের জন্য কিছু একটা করে দিতে পারেন তাহলে নেজাম উদ্দিনের আত্মার শান্তি মিলবে।