মিজানুর রহমান, বিশ্বম্ভরপুর সুনামগঞ্জ:
সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সাতগাও এলাকার কিদ্দরপুর গ্রামের মসজিদের ইজারাকৃত কিদ্দরপুর নদীতে গ্রামের প্রতিপক্ষ বিষ ঢেলে মাছ নিধন করার অভিযোগ উটেছে।
গত সোমবার রাতের অন্ধকারে প্রতিপক্ষের সম্পদ বিনষ্ট করার লক্ষ্যে মসজিদ থেকে ইজারাকৃত কিদ্দরপুর নদীতে বিষ ঢেলে নিজ রেকরডীয় গর্তে মাছ সংগ্রহ করার জন্য এবং আর্থিক ভাবে লাভ হওয়ার লক্ষে এ জনহিতর নেক্কার জনক কাজ করেছেন একই গ্রামের প্রতি পক্ষরা। অত্র মসজিদ ও গ্রাম সমাজের বিপক্ষে গিয়ে নিজ স্বার্থ হাসিলের জন্য প্রতিপক্ষের সংগৃহীত প্রাকৃতিক প্রাণী মাছের মুখে বিষ ঢেলে দেওয়ার মত নেক্কারজনক কাজ করেছেন বলে অভিযোগ করেন গ্রামের স্থানীয় মুরুব্বি, যুবকরা ও ইজারাদার।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সাতগাঁও এলাকার ভারকুরি পুরান বাজারের পাশে কিদ্দরপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে একটি নদী যার নাম কিদ্দরপুর নদী। এ নদীটি কিদ্দরপুর জামে মসজিদের নামে প্রতি বৎসর লিজ দেওয়া হয়। এটি এবছর লিজ নেন একই গ্রামের আনসার উদ্দিন গংরা। কিন্তু নদীর একপাশে গ্রামের প্রতি পক্ষের অল্প কিছু রেকর্ডীয় জায়গা অন্তর্ভুক্ত থাকায় ওই জায়গাতে নিজ অর্থায়নে কাটা বাঁশ দিয়ে দখলে থাকেন। গ্রামের মুরুব্বি যুবকরা মিলে মসজিদের দখলকৃত জায়গা ইজারাদার কে মাছ ফিশিং করার জন্য দখল স্থানান্তর করেন । ওই সময় প্রতিপক্ষ কৌশলে নীজ স্বার্থ হাসিলের জন্য ইজারাদারের দখলকৃত জায়গায় বিষ ঢেলে দেয় বলে এলাকায় আলোচনার জড় বইছে। ঐ এলাকার চা এর দোকানে মুখরোচক আলোচনা কে বা কারা বিষ ঢেলে দিয়েছে এতগুলি মাছের প্রাণ নষ্ট করেছে।
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের সাতগাঁও এলাকার কিদ্দুরপুর গ্রামের ইজারাদার আনসার উদ্দিন জানান, আমার আবাদকৃত প্রায় ৭ থেকে ১০ লক্ষ টাকার মাছ মরে যায় এবং প্রতিপক্ষের গর্তে জমায়েত হতে থাকে আমি মসজিদ কমিটি ও গ্রামবাসীর কাছে অভিযোগ করেছি। গ্রামবাসী আমাকে আমার এই ক্ষতির সঠিক সমাধান দিতে পারে নাই বিধায় বাধ্য হয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করে রেখেছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত হুমায়ূন আহমেদের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
এ বিষয়ে বিশ্বম্ভরপুর থানার এসআই ইয়াসিন মিয়া জানান, ও অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে এসেছি কিন্তু কে বা কারা ঐ নদীতে বিষ ঢেলেছে সে বিষয়ে সুস্পষ্ট ধারণা নির্ণয় করতে পারি নাই।