লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
সারা বিশ্বের মানুষ মার্কিন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে! ফলাফল পাচ্ছি নিউইয়র্ক থেকে “কবি লেখক বাঙালি বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক নিউইয়র্ক বসবাস রত বনানী সিনহার থেকে!” সব শেষ ফলাফল যা পেলাম তাতে ট্রাম্প এগিয়ে! কমলা হ্যারিজ বেশ কিছু পিছনে আছেন! ডোনাল্ড ট্রাম্প ১৭৮, কমলা হ্যারিস – ৯৯, নিউইয়র্ক সবসময় ডেমোক্র্যাটরা জয়লাভ করে থাকে। এখনও অনেক কিছু বাকী। আছে মার্কিন ভোটেরের ডিগবাজি শেষ মূহুর্তে। অনেকে National security চায় তাই ট্রাম্প প্রিয় অনেকে বিশ্বের মাতব্বরি চায় তাই ডেমোক্র্যাট প্রার্থী ভালো! অনেকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ চায়, চায় না মার্কিন পয়সা অন্যের পিছনে ঢালুক। আমাদের দেশের মত পার্ক রোডে মার্কিন ঘুমায়, বস্তী আছে!
আমেরিকায় দেড় লাখ বাংলাদেশী আছে, ৫০ লাখ ভারতীয়। বাংলাদেশের কিছু সো কল্ড ধার্মিক আছে তারা ডেমোক্র্যাট সমর্থক বাকীরা রিপাবলিকান পার্টি সমর্থন করে!
আমেরিকা মোটামুটি চীনের অগ্রগতি রুখতে চীনের সাথে যুদ্ধ প্রায় ঘোষনা করে ফেলেছে। পেন্টাগন স্বীকৃত বলা যায়। নতুনদের প্রভাব পুরানো পরাশক্তির সহ্য হয় না। জার্মান উত্থান প্রথম প্রতিবাদ গ্রেট বৃটেন। গ্রীসের উত্থান রুখতে চেয়েছে স্পাটা। এসেন্স ও স্পাটা একাধারে ৪০/৫০ বছর যুদ্ধ হয়েছে!
চীনের উদ্যাগে ইরান জুজুর ভয় মধ্য প্রাচ্যের কেটে গেছে। তারা ইরানের আপনজন হয়ে গেছে! এখন আর সৌদি আরব আমেরিকার মোট বাৎসরিক বিক্রিত অস্ত্রের একাই ৩৭% কেনে না!মিশরীয় দশ হাজার হুর ও বেতন ভাতা দিয়ে মার্কিন সেনা লালনপালন করে না। আফগান প্রযুক্তিতে চীন সহযোগী!
B R I C নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্হা চীনের উদ্যাগ। খোদ আমেরিকা মহাদেশীয় ব্রজিল সহ বেশ দেশ ডলার বিরোধী। তাদের একত্রিত করার জন্য ও চীন কে দায়ী করে আমেরিকা, তাই ‘তাইওয়ান’ ইস্যুতে চীনের অগ্রগতি এখন ই থামাতে চায়!
In connection of this আমেরিকা আলাস্কা থেকে স্পেশাল প্যারাস্যুট বাহিনী জড়ো করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে! অতএব ডেমোক্র্যাটরা ক্ষমতায় থাকতে চায় কারন প্যানপ্যাসিফিক আধিপত্য তাদের চাই! জাপান থেকে অস্ট্রেলিয়া প্রশান্ত মহাসাগরে তারা চীনের Exercising কোন মতেই মেনে নিবে না, অতএব চীন আরো বর্ধিত হওয়ার আগে ঘাড় মটকাও! এসব কারনে মধ্য প্রাচ্যের ঘাটি গুলো সরাতে বলতেছে দশগুলো, মার্কিন কর্ণপাত করছে না! বিদেশি সেনা ঘাটি একবার করতে দিলে ইচ্ছে করলেই তাদের তুলে দেয়া যায় না আর তাই ১৯৭২ সালে “মুজিব” দেশে ফিরেই ইন্দিরা গান্ধী কে নিমন্ত্রণ করেন এবং ডেকে আনেন। তার ভোজন অনুষ্ঠানে ইন্দিরা গান্ধী শাড়ী উপহার দিচ্ছিলেন নিজ হাতে! মুজিব চিটাগং এর জহুর আহম্মেদ কে দুটো শাড়ী দিতে বলেন এবং ফনী মজুমদার কে কোন শাড়ী দিতে না করেন! অপ্রস্তুত ইন্দিরা সেখানেই প্রশ্ন করেছিলেন, “এমন টা কেন?” মুজিব স্ব হাস্যে বলেছিলেন, জহুর ভাইর দুই বিবি আর ফনী দাদা এভার ব্যসেলার! হাসির রোল সেই ভরা মন্ত্রী পরিষদ ও ইন্দিরা বৈঠকে। কিন্তু পরবর্তী আলোচনা ছিলো বহুত কঠোর যা ইন্দিরা গান্ধী ভাবতে ও পারেন নাই! মুজিব বলেছিলেন, “আপনার সেনাবাহিনী কবে ফেরত নিবেন”, ইন্দিরার জবাব ছিলো, ” যখন বলেন!” মাসের ভিতর ভারতীয় সেনা বাংলাদেশের মাটি ছেড়েছিলো!
প্রিয় পাঠক, আমার বিষয় মার্কিন নির্বাচন! ইতিমধ্যে ডোনাল্ড ট্রাম্পের উপর দু’বার গুলি বর্ষন হয়েছে হত্যার জন্য! গোটা ১৯ মামলা মাথায় নিয়ে তিনি নির্বাচন করছেন! কারচুপির সম্ভাবনা আছে কি নাই তার নিশ্চয়তা কে দিবে তবে “বড় বুশ ” তার ছেলে জুনিয়র বুশের নির্বাচনে এমন অভিযোগ উঠেছিলো। আমরা ১০/১২ হাজার মাইল দূর থেকে দেখেছিলাম, “হঠাৎ ইলেক্ট্ররিয়াল ভোট গণনা বন্ধ করা হয়েছিলো এবং দুদিন পরে গণনা ও ফলাফলে জুনিয়র বুশের জয়লাভ!
কেন হোয়াইট হাউসের নিরাপত্তা গত দুদিনে ডবল তিন ডবল করা হচ্ছে, স্যার বাইডেন তো প্রার্থী না, তা হলে তিনি হামলার ভয় করছেন কেন? সব কেন-র উত্তর পাবেন বৃহস্পতিবার সকালে!
সব শেষে জানা গেছে ইলেক্টরাল ভোটে ট্রাম্প এগিয়ে, নিজ রাজ্যে জয়, রাশিয়ার হস্তক্ষেপ বলছে মার্কিন গোয়েন্দারা!
এশিয়ায় শান্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের উপর নির্ভর করছে এ কথা সবাই বোঝেন কিছু নির্বোধ ছাড়া তাই সবাই উদ্বিগ্ন!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন!