আসাদ আলী, কলকাতা থেকে:
আমরা জানি আজ পশ্চিমবঙ্গ তথা বাঙালি যা করেন আগামীতে সারা ভারত তা ভাবেন, সে কথা অতি সত্যে প্রমাণিত করে পশ্চিমবঙ্গের জনমুখী সরকারের প্রধান কর্ণধার মাননীয় মমতা ব্যানার্জির মস্তিষ্কপ্রসূত বেশ কিছু প্রকল্প ইউনিসেফ মডেল হিসেবে গ্রহণ করেন এবং সমস্ত পৃথিবীর কাছে পশ্চিমবঙ্গের তথা বাঙালি সেই ঐতিহ্যকে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তার সঙ্গে আরো বহু বহু জনমুখী প্রকল্প নিয়েই চলছে দুয়ারে সরকার- আজ ২৯শ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখ বুধবার বিষ্ণুপুর বটতলায় খেলার মাঠে। সেখানে ‘স্বাস্থ্যশ্রী’, ‘যুবশ্রী’, ‘স্বাস্থ্য সাথী’, ‘আই.সি.ডি.এস.’,’কৃষক সাথী’, ‘লক্ষীর ভান্ডার’ প্রভৃতি একগুচ্ছ প্রকল্প। গ্রামের সাধারণ মানুষ কাজকর্ম বন্ধ করে টাকা পয়সা খরচ করেও অফিস কাছারিতে দিনের পর দিন দৌড়াদৌড়ি করেও বহু প্রয়োজনীয় কাজ করে উঠতে পারেন না, কারণ তাঁদের সাদাসিধা সহজ সরল জীবন যাপন চর্চার সাথে শহরের ঠাট খাপ না খাওয়ার কারণে তাঁদের মধ্যে জড়তা এবং অফিস কাছারির একশ্রেণীর কর্মীদের অসহযোগিতার মনোভাব বাধা স্বরূপ হয়ে থাকে। তাই মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এমন ভাবনা সাধারণ মানুষ আনন্দের সাথে তাঁদের বাড়ির দুয়ারে প্রয়োজনীয় কাজকর্ম গুলি অতি সহজেই করে নিতে পারেন এবং সেই সব অসহযোগী কর্মীরা সাধারণ মানুষের দরবারে এসে একেবারে অন্য মানুষ হয়ে যান, আর তা শিখিয়েছেন এই জননেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আই.সি.ডি.এস.তথা মা ও শিশু প্রকল্পের সুন্দর কাজ কর্মের সাথে সাধারণ মানুষের উদ্দেশ্যে সুপারভাইজার টুটুন মুখার্জির উদ্যোগ চোখে পড়ার মতো, আই. সি. ডি. এস. এর অন্যান্য কর্মীরাও বড়ই আন্তরিক, আই. সি. ডি. এস. এর কাজ সত্যিই প্রশংসার দাবি রাখে, তবে তাঁদের সাম্মানিক আরো বেশি হওয়া আশু প্রয়োজন। এইসব প্রকল্প রূপায়নে একেবারে রাজ্য স্তর থেকে পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত মন্ত্রী মহোদয়, জেলা সভাধিপতি, বি. ডি.ও.,পঞ্চায়েত প্রধান, এবং আই.সি.ডি.এস.কর্মীরা যথেষ্ট সচেতন সক্রিয় ও আন্তরিক। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা আশীর্বাদ তাই একটি বিরাট প্রাপ্তি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের।