সরবত আলি মণ্ডল,ভারত থেকে:
উত্তর ২৪ পরগনা জেলার স্বরূপনগর ব্লকের গোবিন্দপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোবিন্দপুর পূর্বপাড়া অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সন্দীপ পালিত মহাশয় বিগত ১০ থেকে ১২ বছরের বিদ্যালয়ের উন্নয়ন মূলক টাকা খরচ না করে নিজে আত্মসাৎ করার অভিযোগে গোবিন্দপুর গ্রামের ওই বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও অভিভাবিকারা ৩রা ডিসেম্বর মঙ্গলবার শিক্ষক সন্দীপ পালিত ও সুশান্ত কুমার রায় মহাশয়কে বিদ্যালয়ের অফিস গৃহে তালা বন্দী করে রাখেন। খবর পেয়ে স্বরূপনগর ব্লকের পি.সি. অফিসার, ও.সি এবং বিডিও এসে তালা বন্দী থেকে মুক্ত করে। এলাকার মানুষের অভিযোগ দীর্ঘ ১০-১২ বছর কোনো শনিবার মিডডে মিলের খাবার দেওয়া হয় না। প্রতিদিনের মিড ডে মিলের কোন রুটিন নেই। মিড ডে মিলের খাবার দেওয়া হয়নি নিম্নমানের। পায়খানা, প্রসাবখানা নোংরা, টিউবওয়েল নেই, সব কিছু অপরিষ্কার থাকায় স্বাস্থ্যবিধি মতে ছেলেমেয়েদের যাওয়া মুশকিল। স্কুলের মধ্যে কোন জলের কল নেই। একটা জলের ট্যাংক আছে, কিন্তু আজও পর্যন্ত কোনদিন জল পড়েনি। এই বিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষক সুশান্ত কুমার রায় তিনি ব্ল্যাঙ্ক চেক বুকে সই করে দিতেন। বিদ্যালয়ে খাতায় ২৭৯ জন ছাত্রছাত্রী। অথচ ব্যবস্থা খুব নিম্নমানের। শিক্ষক নয় জন তার মধ্যে দুজন ট্রেনিংয়ে আছেন। বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা সুরাইয়া পারভিন বলেন, “ইলেকট্রিসিটি বিল, বাচ্চাদের ভর্তি ফিস,টিসি চার্জ সবকিছু জন্য উনি টাকা নেন এবং সেই হিসেব কাউকে দেন না। স্কুলের মধ্যে পরিচ্ছন্নতার অভাব। বাম আমলে যে বিল্ডিং তৈরি হয়েছিল আজও সেটা দাঁড়িয়ে আছে অথচ প্রতি বছর যে টাকা আসে বিদ্যালয়ের সরকারি উন্নয়নমূলক কাজের জন্য সে টাকার একটি টাকাও খরচ করেননি সন্দীপ পালিত মহাশয়। এই নিয়ে অভিভাবকরা শিক্ষা দপ্তরের সমস্ত অফিসে গণস্বাক্ষরিত অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন কিন্তু আজও পর্যন্ত তার কোন উত্তর আসেনি। ভিডিও আশা দিয়ে গেছেন, আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বিদ্যালয় একটি কল বসবে, মিড ডে মিলের প্রতিদিনের রুটিন তালিকা তৈরি থাকবে। আর গণস্বাক্ষরিত বিভিন্ন শিক্ষা দফতরের অফিসে আবেদনপত্র গ্রামবাসীরা জমা দিয়েছেন। তিনজনের একটি কমিটি তৈরি হয়েছে সেটা যতদিন না আসবে ততদিন অপেক্ষা করতে হবে বলে বিডিও সাহেব জানান।এই শিক্ষকের বিরুদ্ধে কি ধরনের শাস্তি হবে তা পরে জানানো হবে বলে বিডিও সাহেব জানান।