লেখক: অথই নূরুল আমিন
=================
অন্তর্বর্তীকালীন কালিন সরকারের প্রায় ছয় মাস অতিবাহিত হতে চলল। কিন্তু এই ছয় মাসেও দেশের জনগণ তাদের কোনরকম উদীয়মান কর্মকাণ্ড দেখতে পায়নি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সর্বপ্রথম যে কাজটি করার দরকার ছিল তাহলো আওয়ামী আমলের বা তারও আগের সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব নেয়া দরকার ছিল কঠিন ভাবে। বিভিন্ন মন্ত্রণালয় বা অধিদপ্তর থেকে এবং ভূমি অফিসসহ ঘুষখোর প্রায় দুই লাখ কর্মকর্তাদের ছাটাই করা দরকার ছিল। ছাটাই করার পর যে যে পোষ্ট গুলো খালি হতো। সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেয়া ছেলে মেয়েদেরকে চাকরি দেয়ার দরকার ছিল।
দ্বিতীয় হলো বাজার নিয়ন্ত্রণ করার দরকার ছিল খুবই গুরুত্ব সহকারে।
তৃতীয় হলো পাঠ্য পুস্তক করার উদ্যোগ সরকার না নিলেও পারত। কোন কোম্পানিকে টেন্ডার দিলে অল্প টাকার বিনিময়ে সময় মত ছাত্র ছাত্রীরা সব পেয়ে যেত। শিক্ষার জন্য ভালো হতো। চতুর্থ হলো, কৃষিখাতে খামার খাতে ব্যাংক গুলো যেন লোন দেয়। বতর্মান সরকারের নির্দেশ দেয়ার দরকার ছিল।
আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরা দুর্নীতি করেছে। এবং ছাত্রদের দাবির বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল, তাই তাদের মধ্যে অনেকের ঘর বাড়ি লুঠপাট ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এখানে সরকারি কর্মকর্তারা তো প্রায় সবাই ঘুষখোর। ঘুষ খেয়ে প্রায় সকল আমলারা মোটা অংকের টাকার মালিক। তারাও ছাত্রদের বিপক্ষেই ছিল। তার যথেষ্ট প্রমাণ তারা নিজেই। তা হলো। কোন আমলা তো আর নিজের ইচ্ছায় পদত্যাগ করেনি। তাহলে অপরাধের দিক দিয়ে আওয়ামী নেতারা যেমন দোষী আমলারাও কমবেশি দোষী।
বতর্মান সরকারকে বলছি। এখনো সময় আছে যত সম্ভব সরকারি আমলাদের সম্পদের হিসাব নিন। এবং দোষীদেরকে বহিস্কার করুন। এখানে শিক্ষিত বেকার ছেলে মেয়েদের কে চাকরি দিন। ওদের ভবিষ্যতকে সুন্দর করতে সহায়তা করুন।
কোন রাজনৈতিক দল ক্ষমতায় এলে। চাকরির ক্ষেত্রে আবার বৈষম্যের শিকার হতে পারে আন্দোলনরত ছেলে মেয়েরা।