লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
আপনি জানেন কি? সৃষ্টি কর্তার সৃষ্টির পরিমান মানুষ কত কম জানে? অজানা থেকে সৃষ্টি হয় কুসংস্কারাচ্ছন্ন কথাবার্তা নতুন-নতুন ধর্মের সৃষ্টি! যার জন্য বিশ্বে ৪৩০০ ধর্ম এবং সবার টা আসল শুনবেন তাদের কাছে!
বিজ্ঞান শিক্ষা কত জরুরি to enlarge the depth of knowledge, I Q and tolerance!
বিশ্বে মোট জনসংখ্যা কত, জানে না ৮০% লোকে, সেই ৮ কোটি মানুষের কতোজন মাত্র মুসলমান কতজন হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান? আল্লাহ ভগবান ঈশ্বর যা বলেন তার সৃষ্টি সংখ্যা কত? পৃথিবীর আয়তন প্রায় ৫১ কোটি বর্গকিলোমিটার, পৃথিবী সেকেন্ডে ৩০ কিলোমিটার বেগে ঘোরে! সূর্য পৃথিবী থেকে ১৩ লক্ষ গুন বড় এবং পৃথিবী থেকে ১৫ কোটি কিলোমিটার দূরে সেখানে মানুষ গেছে এবং ভারত প্রথম কৃতকার্য দেশ যারা সূর্যের গায়ে “প্রব” লাগিয়ে অক্ষত অবস্থায় ফিরেছেন, একজন মহিলা বৈজ্ঞানিক ও সাথে ছিলেন! মার্কিন রাশা কানাডা অকৃতকার্য হয়েছে।
১০০ বিলিয়ন সূর্যের মত নক্ষত্র নিয়ে “গ্যালাক্সি” গঠিত, এমন ২ ট্রিলিয়ন গ্যালাক্সি আছে!
পাঠক, এতকিছু যদি জানতো সব মানুষ তাহলে নারী-পুরুষের সামান্য শারীরিক পার্থক্য নিয়ে এত লিঙ্গ বৈষম্য মাথায় আসতো না, বার্ন ইউনিটের রোগীর মত পর্দা করতে হতো না, হাতমোজা পা মোজা দিয়ে লাভ নাই সরিষা পরিমাণ হিংসা মনে থাকলে, মন দিয়ে দেখে চোখ না তা বোঝার মত ব্রড মন বা জ্ঞান থাকলে বা নবীর করীম সঃ আমলে টেক্সটাইল মিল ছিলো কিনা তা জানা থাকলে বা কত বছরে মানুষের আমল নামা ওপেন হয় জানা থাকলে শুধু দু’টো চোখ বের করে কালো কাপড়ে মুড়ে ৬ বছরের মেয়ে নিয়ে বিবি সাহেব মার্কেটে আসতেন না!
এতক্ষণ দেয়া সৃষ্টি সমন্ধে জ্ঞান অর্জন করলে আল্লাহ ২৪ ঘন্টা বসে থাকেন আমাদের পরীক্ষা নিরিক্ষা এক্সপেরিমেন্ট করতে মাথায় আসতো না! একবার চাবি মেরে দিছে ছেড়ে যে বিশ্বাস করেন, আল্লাহ বা প্রকৃতি —-
বিশ্বে প্রায় ছয়টা জায়গা আছে যেখানে মাধ্যাকার্ষণ কাজ করে না! সেখানে জলপ্রপাতের জল নিচে না পড়ে উপরে যায়! জল ছুড়ে মারলে নিচে না পড়ে উপরে যায়, গাছের আপেল নিচে পড়ে না! গাড়ী দাড় করায় রাখলে চলতে থাকে, কোন পাহাড় আছে যেখানে গেলে গাড়ীর ইঞ্জিন কাজ করে না!
প্রিয় পাঠক, বিজ্ঞান ছাড়া কিছু হয় না, কারন ছাড়া কিছু ঘটে না, কোন জাতি যদি কোন শিক্ষা ব্যবস্হায় বিজ্ঞান পড়া হারাম বা অপ্রয়োজনীয় বলে বাদ দেয় সে জাতি আজ কাল বা পরশু পঙ্গু জাতিতে পরিণত হবে যা বোঝার মত আই-কিউ এদের নাই!
সেই চন্দ্রের মত উপগ্রহ, পৃথিবী মঙ্গলের মত গ্রহ সূর্যের মত কয়েক বিলিয়ন নক্ষত্র গঠিত গ্যালাক্সি ঘুরছে এবং একই আবর্তে দিন-রাত ঋতু শীত-বসন্ত পাতা ঝরা আবার গজানো সব সব সবকিছু একটা ম্যাগনেটক Induction অনুসরণ করে কেউ কারো ঘাড়ে চাপছে না ধাক্কা খাচ্ছে না এত মহাজাগতিক মহা সৃষ্টি বিশলকায় কৃষ্ণ গহবর যার ভিতর বিলিয়ন সূর্য হারিয়ে যেতে পারে! কেউ কাউকে দখল করছে না কিন্তু মানুষ নামের জন্তু টা প্রতিবেশী দুর্বলের জমি কেড়ে নিচ্ছে, ভাইয়ের জমি চিটিং করছে সংখ্যা লঘূর উপর ধর্মীয় মোড়কে নির্যাতন করছে রাজনীতির মোড়কে explode করছে, ক্ষমতা ধরে রাখতে বা ক্ষমতায় বসতে জনগণের জীবন নিয়ে খেলছে জেল-জুলুম নির্যাতনের নিষ্ঠুরতম কর্মটি করছে আবার ধর্ম নামক অদৃশ্য বিশ্বাস টাকে ও অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করছে!
নিজ দেশের সম্পদ বিদেশে পাচার করছে, দেশের ব্যাংক লুট করছে, জেল খাটছে, বের হয়ে হিরো, নির্লজ্জ লোকগুলো সৃষ্টির মহাজাগতিক ইতিহাস ই জানে না, জানে না ধর্ম। এক টকা দেনা, এক সরিষা পরিমাণ মনুষ্য পাপ, এক সরিষা পরিমাণ মনুষ্য উপকার অস্বীকার কারী হিংসা বিদ্বেষ অহং গর্ব শিরক মনে পোষণ কারীর কোন এবাদত আল্লাহর দরবারে কবুল হয় না মুখ কাপড়ে মোড়াও আর লোহায় মোড়াও তুমি জাহান্নামী! লেবাসি ধর্ম আর শো ধার্মিক কে আল্লাহ পছন্দ করেন না কারন নামাজ রোজা হজ্ব যাকাত মোমিনের জন্য আমানুর বা অমানুষ পশুর জন্য নয়! আগে ঈমান এনে মোমিন তারপর তাহাজ্জত — ভন্ডদের জন্য জাহান্নাম।
নিজ মস্তিষ্কের আয়ত্বের বাইরে কল্পনাতীত কিছু দেখলে সৃষ্টি কর্তাকে জড়ায় গল্প ফাঁদে কিছু লোক, লোভ লালসার উর্ধ্বে উঠে না, জন্ম-মৃত্যু দেখছে কিন্তু পাপ কর্ম থেকে বিরত হচ্ছে না! যে সম্পদ সাথে নিয়ে যাওয়া যায় না তবু তা সংগ্রহে সবচেয়ে বেশী জীবন ক্ষয় হচ্ছে, দশ বিদেশ গ্লোবালী!
কবি জীবনানন্দ তাই হয়তো বলেছিলেন,
“তোমরা যেথা ইচ্ছে যাও যতদুর খুশি
আমি কাঁঠাল পাতার ঝরে পড়া দেখবো বসি! (তিনি কথাটা বলেছিলেন কিন্তু এই ছন্দে নয়, এটা আমার বানানো)!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন কুরআনের ধর্ম পালন করেন হে মুসলমান দু’টাকার লোভ সামলান!