লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
“বাংলায় যদি না আসতো রবি, আমি হতাম বাংলার শ্রেষ্ঠ কবি”, বলেছিলেন কবি নজরুল!
আমার বলতে ইচ্ছে হয়, “বিশ্বে যদি না হতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আগমন, হতো না বিশ্বে কোটি কোটি লোকের মরণ!” প্রতি শত বছর পরপরই মহামারীর আগমন ঘটে, প্লেগ, ব্লাক ডেথ, এইডস, কলেরা, বসন্ত, কোভিড শত ‘বিশ্ব মারীতে’ যত লোক আজ পর্যন্ত মরেছে, তিন চার কোটি, মার্কিন হাতে বা তার ইন্ধনে তার চেয়ে বেশী লোক মরেছে! বিশ্বের অনেক শ্রেষ্ঠ সন্তান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে মরেছে! নিজ দেশে ১৯৬৩ সালে মার্কিন ৩৫ তম প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি কে হত্যা করা হয়, ১৯৬৮ সালে বিশ্ব নন্দিত নেতা লুথার কিং কে হত্যা করা হয়! ফিলিস্তিনের ইয়াসিন আরাফাত, চিলির আলেন্দে, বাংলার মুজিব, উল্লেখ্য, মার্কিন ডেমোক্র্যাটরা দারুন নিষ্ঠুরতার পরিচয় দিয়েছেন বরাবর! অথচ আমেরিকা ইচ্ছে করলে বিশ্বের কোটি কোটি লোকের জীবন বাঁচাতে পারতো! ধরুন ভিয়েতনাম কম্বোডিয়া কোরিয়া আফগান ইরাক ইরান লিবিয়া বাংলাদেশের ৩০ লক্ষ, চিলির পিনা চোটের হাতে ৬৫ লক্ষ, পাকিস্তান জন্ম থেকে জ্বলছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইঙ্গিতে!ফিলিস্তিন হত্যা, ইউক্রেন যুদ্ধ, ষাট সত্তুর আশির দশকে কোন পরিসংখ্যান বলে, আমেরিকা ৫৪ টা দেশের গনতান্ত্রিক সরকার হত্যা করায়ে সামরিক সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে! পাকিস্তানের সবশেষ বলি “ইমরান খান!” যার এখনও জীবন যায় নাই শুধু তার জনসমর্থনের কারনে, তুরস্কের এরদোয়ান ও বেঁচে গেছেন জনসমর্থনের কারনে, বাংলাদেশের হাসিনা বেঁচে গেছেন পালিয়ে!
ইমরান খানের সহধর্মিণী “বুশরা বেগম” সেনা ও মার্কিন সমর্থিত পুতুল “শেহবাজ খানের’ বিরুদ্ধে কোটি লোকের
লাং মার্চ করেছেন রাজধানী ইসলামাবাদের কেন্দ্রে মিছিলের অগ্রভাগে নিজে থেকে কাপিয়ে দিয়েছে ৭৭ বছরের বর্বর পাকিস্তান সেনা শাসনের ভিত! জনগন ক্ষমতার উৎস ভাবতে হয় নেতাদের! , ৬৯ এ মুজিবের আন্দোলনে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সমর্থিত সামরিক শাসক ফিল্ডমার্শাল “আইয়ুব খান” পদত্যাগ করতে বাধ্য হন!
পাকিস্তান আমার দেশ ছিলো, ভারত ছিলো পূর্ব পুরুষের দেশ! একসাথেই বৃটিশের নাগ পাশ ছিন্ন করে স্বাধীন হলো দু’টো দেশ! পাকিস্তান জন্ম থেকে হত্যা ক্যূ মিলিটারির স্বৈর শাসন, জাতির জনককে পরিকল্পিত হত্যা – বিনা চিকিৎসায়, প্রত্যক্ষপরোক্ষভাবে সামরিক শাসন দীর্ঘ আজ ৭৭ বছর! যে একটু গনতন্ত্র আনতে চেয়েছেন তাকে দুনিয়া থেকে সরে যেতে হয়েছে! জিন্নাহ, লিয়াকত আলী, ভুট্টা, বেনজির ভুট্টো, নওয়াজ শরীফ (বেঁচে গেছেন বাই চান্স), পারভেজ মোশাররফ এবং সব শেষে গত মার্কিন লু হাওয়ায় বিপুল ভোটে জেতা “ইমরান খানকে” ফেলে দিলো বাই ডেন প্রশাসন সামরিক জেনারেল কে হাতে নিয়ে!
অপর দিকে বিশ্বের ৬ ষষ্ঠ বৃহৎ দেশ ভারত, গ্রেট বৃটেনের পরেই বিশ্বে দ্বিতীয় গনতান্ত্রিক দেশ! মৌলবাদী দল বিজেপি ক্ষমতায় থেকেও নির্বাচন পূর্বের মুসলমান তাড়াও বলে ভোট নিয়ে এখন ধর্ম নিরপেক্ষ দেশ! ছোটখাটো চণ্ডাল নেড়ে মাতামতি, রাম মন্দির না বানালে আগামী ক্ষমতার টোপ ধর্মীয় ভোট থাকে না! বড় মুসলমান হতে বাংলাদেশে কেউ ৫৫৬ মসজিদ বানায় তো কেউ ভারতে রাম মন্দির বানায় বড় হিন্দু হতে, ধর্ম তো যার যার জায়গায়! আসলে নেলসন ম্যান্ডেলা বলেছিলেন সম্ভবতঃ, “ধর্মীয় ধোঁকার টোপ মানুষ পাগল হয় তাড়াতাড়ি!” দঃ এশিয়ায় দারুন চলে এই টোপ!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।
বিশ্বের সর্বকালের কবি লেখকদের ভিতর ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক কবি কাজী নজরুল ইসলাম কে কেউ একজন “সুফী নজরুল বলেছেন” পোস্টে দেখলাম! বাংলাদেশ কি ইসলামাইজেশন চলছে যেখানে সৌদি আরব মুক্তমনা হচ্ছে ম্যালথাস জন্ম থিওরি মত ডিজিটাল পদ্ধতি তে দ্রুত! নজরুল কি মৌলবাদী কবি ছিলেন নাকি ধর্মনিরপেক্ষ, যিনি ভগবান বুকে পদচিহ্ন একেছেন, মোল্লার লোভ লালসার গুমোর ফাঁক করেছেন, বেশ্যা কে সমমর্যাদা দিতে বলেছেন, নারীকে স্বাধীনতা — কবি নজরুল ইসমাইল হোসেন সিরাজী মাওলানা রুমিকে কোন ধর্মীয় লেবেল আটা অর্থ তাদের খাটো করা! সব কবি শত ডালে লিখেন! তারা মুক্ত মনা কুসংস্কার মুক্ত ধর্মনিরপেক্ষ! আমরা তো বেশ্যাকে মাটি দিতে দেই না!