অথই নূরুল আমিন
———————
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যত ধরনের অশুভ কাজ কর্ম। তা সরাসরি দেখে গত ষোল বছরে। বতর্মান প্রজন্মের প্রায় সবাই। বিশেষ করে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া ছাত্রছাত্রীরা তা খুব নিখুঁত ভাবে পর্যবেক্ষণ করেছে। বাংলাদেশের নব প্রজন্মের কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত আজকে এই আওয়ামী লীগ। গত ষোল বছর ক্ষমতায় থেকে এই জাতির কল্যাণে তারা দীর্ঘমেয়াদী কোন কাজ করেনি। তাদের নব্বই ভাগ কাজ ছিল লোক দেখানো। কাজের চেয়ে ওদের কথা খুব বড় ছিল। দেশের ভিন্ন মতের মানুষকে তারা মানুষই মনে করত না। দেশের জনগণের জন্য মানবসম্পদ উন্নয়ন নিয়ে কোন কাজ করত আওয়ামী লীগ করত না। তাদের সরকারে মানবসম্পদ উপদেষ্টা বলতে রাষ্ট্রী স্বীকৃতি কোন উপদেষ্টা ও ছিল না। যা খুবই দুঃখজনক। একটি রাষ্ট্রের প্রথম দায়িত্ব হলো দেশের প্রতিটা নাগরিককে মানবসম্পদে বিদ্যা শিক্ষা দেয়া।
গত ষোল বছরে শেখ পরিবারের একটি ব্যবসায়ী প্রতিষ্টান ছিল এই আওয়ামী লীগ। যারা দেশের প্রায় পনেরো লক্ষ শিক্ষার্থীদের কে বেকার করে দিয়েছে। রাষ্ট্রীয় কোষাগারের টাকা লুটপাট করে। বিলিয়ন বিলিয়ন টাকা শেখ পরিবারের সকল সদস্যরা লুটপাট করেছে। এই মহা লুটপাট নির্বিঘ্নে করার জন্য। দেশের সকল মন্ত্রী এমপি আওয়ামী লীগ ছাত্রলীগ যুবলীগসহ দেশের প্রায় ছয় লক্ষ নেতাকর্মীদের কেও ঐ শেখ পরিবারের লোকেরা চোর বানিয়েছে।
গত ষোল বছর ধরে আওয়ামী লীগ দেশের সেই সকল উন্নয়ন গুলো করেছে। যে সকল উন্নয়ন প্রকল্প থেকে মোটা অংকের টাকা কমিশন পাওয়া গেছে। তারা দেশের মানুষের জন্য কোন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করে নাই। দেশের বেকারত্ব কমাতে তারা কোন প্রকল্প সৃষ্টি করে নাই। আওয়ামী লীগ যেমন শিক্ষার মান নষ্ট করেছে। তেমনি তারা স্বাস্থ্যসেবার মান নষ্ট করেছে।
এই লুটপাট করতে গিয়ে তারা দলীয় নীতি পরিহার করে দেশের বিরোধী দলের উপর কঠিন ভাবে দমন পীড়ন করেছে। প্রশাসনে অসৎ লোক নিয়োগ দিয়ে তাদের পক্ষে সকল সম্মতি নিয়েছে। সরকারি কর্মকর্তারা সকল জনগণের কাছ থেকে প্রকাশ্যে ঘুষ বাণিজ্য করেছে। যার ভাগ পেয়েছে শেখ পরিবারের বিভিন্ন সদস্যরা। এককথায় সমগ্র জাতিকে বিভিন্ন ভাবে নির্যাতন করেছে। দেশের সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিয়েছে। পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়ে।
আওয়ামী লীগ গত ষোল বছর ক্ষমতায় থেকে একটি লিমিটেড কোম্পানির মত তারা রাষ্ট্র চালিয়েছে।
২০২৪ জুলাইয়ে ছাত্র জনতার কঠিন বিব্লবের মাঝে ৫ আগষ্ট ২০২৪ শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগের পতন ঘটে। আওয়ামী লীগ যদি সত্যি সত্যি কোন রাজনৈতিক দল হত। তাহলে এরকম বিব্লব কখনও হতো না। আওয়ামী লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন এবং তাদের দোসর দলগুলোকে যে কোন মূল্যে নিষিদ্ধ করা আজকে সময়ের দাবি।
আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে আজকে ১৩ দিন ধরে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জাতীয় পরিষদ অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে। আজকে দু ঘটিকায় জাতীয় নাগরিক কমিটি ও জাতীয় ছাত্র পরিষদের যৌথ ব্যানারে মিছিল নিয়ে যাচ্ছে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনার দিকে। প্রধান উপদেষ্টাসহ সরকারের সকল উপদেষ্টার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অতি দ্রুত আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করা হোক। এবং আওয়ামী লীগের দোষী মন্ত্রী এমপি ও নেতাদের বিচারের মুখোমুখি করা হোক।
——————————
অথই নূরুল আমিন,
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।