রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:১৫ অপরাহ্ন

আজকে যারা ক্ষমতায় আছেন। তারা যদি এই রাষ্ট্র নিয়ে কোন কাজ না করেন। তাহলে…

Coder Boss
  • Update Time : শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ৮ Time View

অথই নূরুল আমিন
==============

আজকের লেখাটি শুরু করার আগে সর্বপ্রথম শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। ৫২ র ভাষা আন্দোলনে সকল ভাষা শহীদদের এবং সকল শ্রদ্ধেয় ভাষা সৈনিকদের। স্বরণ করছি ভাষা আন্দোলন নিয়ে যারা কবিতা গান ছড়া রচনা করেছিলেন। ভাষা আন্দোলন বীর সৈন্যদের প্রতি আবারও শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি।

” তোমাদের রক্ত যাবে না বৃথা
তোমাদের স্মৃতি হোক ইতি কথা ”

বাংলাদেশে আজকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব চলছে। এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি দেশের সুবিধাবঞ্চিত ৬০% জনগণের একটা গভীর আশা থাকে। ( এই ধরনের ভূক্তভোগী জনগণেরা কখনও সাংবাদিক সম্মেলন করতে পারে না, ওরা কখনও মানববন্ধন করে না। ওরা যেন জাতির নীরব দর্শক। যুগের পর যুগ ধরে। তার কারণ ওরা শিক্ষিত নয়। তাই ওদের মধ‍্যে কোনরকম ছলনা নেই। তবে ওদের জন‍্য যারা কাজ করে গেছে। তারা যুগে যুগে কৃতিত্ববান হয়েছে।)
আর এই আশা থাকার পিছনের কারণটা হলো। আমাদের দেশের রাজনৈতিক দলগুলার প্রথমত অযোগ্যতা, দ্বিতীয়ত হল দুর্নীতি। যার ফলে দেশের ভূক্তভোগী ৬০% জনগণের ধারণা হল। অন্তর্বর্তী সরকার, তত্ত্বাবধায়ক সরকার, নিরপেক্ষ সরকার বা জাতীয় সরকার এলে এই ভূক্তভোগী বৃহৎ জনগুষ্টির জন‍্য কিছু একটা হবে।

কিন্তু বতর্মান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ কর্ম প্রায় সবটুকু এলোমেলো ভাবে চলছে। আমি পূর্বেও বলেছি। এমনভাবে খালি হাতে একটি নিরপেক্ষ সরকার যদি বিদায় নেয়। তাহলে ভবিষ্যতে দেশের মানুষ নিরাশ হবে। তখন তারা যার যার মতে হয়তো চলতে থাকবে। তখন আইনশৃঙ্খলায় চরম অবনতি দেখা দিবে। দেশে একটা নৈরাজ্যের সৃষ্টির সম্ভাবনা থাকবে শতভাগ।

কথা থাকে যে, দেশের ভূক্তভোগী জনগণের আসলে চাওয়া পাওয়াটা কি? আগে এটা জানা খুবই জরুরি। দেশের ভূক্তভোগী জনগণের মুল চাওয়া হচ্ছে। একটি সুন্দর শিক্ষাব্যবস্থা। যেখানে তাদের সন্তানেরা সুশিক্ষিত হবে। এরকম একটি চাওয়া একটি সরকারের কাছেই জনগণ আশা করে। দ্বিতীয় হচ্ছে, স্বাস্থ্যসেবায় সুচিকিৎসা। বতর্মানে সরকারি বেসরকারি সকল জায়গায় চিকিৎসা সেবার মান খুবই খারাপ। তৃতীয় হচ্ছে, নিত‍্য পণ্যের মুল‍্য কমিয়ে রাখা এবং কৃষকদের কে সাবলম্বি হওয়ার সুযোগ দেয়া। চতুর্থ হচ্ছে, যানজট নিরসন করা। পঞ্চম হচ্ছে,ভূমিহীন গৃহহীনদের পূনর্বাসন প্রকল্প চালু করা। ষষ্ঠ হচ্ছে আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণ রাখা।

এরকম কিছু কাজ যদি বতর্মান সরকারের আমলে না হয়। তাহলে এই সরকারে এখন যারা আছেন। তাদের বড় ইতিহাস কি করে হবে? দেশের মানুষেরা জানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার কাছে পরাজিত হয়েছে আওয়ামী লীগ নামের একটি স্বৈরাচারী সরকারের। আজকে যদি এই সরকারের আমলে দেশের মানুষ সুফল পায়। তাহলে এই মানুষেরা এই আন্দোলনকে সফল আন্দোলন বলে আখ‍্যা দেবে যুগের পর যুগ।

এদিকে জনগণ যদি দেখে শেখ হাসিনার আমলেও তারা যেমন ছিল। এখনো তারা সেই রকমই আছেন। তাহলে একদিন তারা এই আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন। অন‍্যদিকে আগামী জাতীয় নির্বাচনে যেদল ক্ষমতায় আসবে। তারা যদি ক্ষমতায় এসে সেই দুর্নীতিই শুরু করে। তারা যদি আবার আরো বড় ধরনের স্বৈরাচারী হয়ে উঠে। তাহলে “জুলাই বিব্লব” আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সবাই তখন দেশের জনগণের কাছে দোষী হবে।

আমি মনে করি। ইচ্ছে থাকলে অল্প সময়েও অনেক কিছু করা সম্ভব। তাই ঢাকাসহ দেশের যানজট মুক্ত করা। শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়ন করা। গৃহহীন ভূমিহীনদের পূনর্বাসনের ব‍্যবস্থা করা। বিশেষ করে দেশের শিক্ষিত ছেলে মেয়েদের জন‍্য চাকরি অথবা কর্মসংস্থানের ব‍্যবস্থা করনসহ বেশকিছু সুন্দর পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করা খুবই জরুরি। এগুলো করতে গিয়ে বুদ্ধি পরামর্শ অর্থ বা আর্থিকসহ বেশকিছুর ব‍্যবস্থা প্রয়োজনে আমি করে দিতে সক্ষম। যেসকল ছেলে মেয়েরা আন্দোলন করেছে। তাদের মধ‍্যে দুইজন দুটি উপদেষ্টা পদে আছেন। অন্তত তাদের ইজ্জত সম্মান এবং শত বছর যেন এই আন্দোলনের নায়কদের নাম স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকে এই কামনা আমার।

======================
অথই নূরুল আমিন,
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102