লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
N A T O এর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছে “ওলফ স্কোলজ” ও “Emanuel Macro”! মাক্রো পরিস্কার বলেছেন, “আমরা যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশনায় গ্লোবাল পলিটিক্সের শিকার হবো না!” ইউরোপের ফ্রান্স ও জার্মানি যদি মার্কিন তাঁবেদারি থেকে বেরিয়ে যায় তা হলে আটলান্টিক পাড়ের যুক্তরাষ্ট্রের, ইউরোপ এশিয়া আফ্রিকায় ছড়ি ঘুরানো আজীবনের জন্য শেষ হয়ে যায় এবং বিশ্বে শান্তি নেমে আসে, ভেঙ্গে যায় মার্কিন লাঠিয়াল বাহিনী N A T O .
প্রিয় পাঠক, বিশ্বে প্রতি শতবছর পর প্রকৃতির গজব আসে এবং ওলাওঠা কালা জ্বর ব্লাক ডেথ পক্স এইডস প্লেগ করোনা ইত্যাদি যত মানুষ মারা গেছে তার থেকে ও বেশী লোক মারা গেছে আমেরিকার আগ্রাসনে তাদের বিশ্ব আধিপত্য বজায় রাখতে! N A T O বিরোধী জোট W A R S বিলুপ্ত করে দিয়েছিলো সোভিয়েত ইউনিয়ন চুক্তি মতে, কিন্তু প্রতিজ্ঞা সত্বেও আমেরিকা বেঈমানী করে N A T O কে জীবিত রেখে বিশ্বে হুমকি সৃষ্টি করে চলেছে এবং ৮০০ সামরিক ঘাটি করে রেখেছে বিশ্ব কে থ্রেট করতে!
ইউক্রেন যুদ্ধে বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার মার্কিন সাহায্য জার্মান ফ্রান্স আন্তরিক ভাবে মেনে নেয় নাই, বাধ্য হয়ে চাঁদা দিয়েছে ঠিকই বরং ৫২ বিলিয়ন ডলার খরচ করে ফিনল্যান্ড উপসাগর ও বাল্টিক সাগরের তলদেশ দিয়ে গ্যাস সরবরাহ লাইন নিয়েছে জার্মানি, সেই নর্থ স্ট্রিম ২ ধ্বংস করে দিয়েছে সিআইএ ডিফেন্স! উল্লেখ্য ৪০% গ্যাস তেল জার্মানি আমদানি করে রাশিয়া থেকে! গত তিন বছর ইউরোপীয় ২৪ টা দেশ গ্যাস অভাবে ঠান্ডায় জমেছে গ্যাস অভাবে রুম হিটার না জ্বালাতে না পারায়! এমন অমানবিক কাজ জার্মানি দারুন ভাবে রিএক্ট করেছে এবং বর্তমান N A T O বিরোধী বিদ্রোহের বড় কারন! বড় “মার্কিন খয়ের খা” বৃটেনে,
৭০০ ইউরো থেকে গ্যাস এক লাফে ২৭০০ ইউরো তে উঠে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী বরিসের ক্ষমতাচ্যুতি ঘটে!
ফ্রান্সের বিদ্রোহের প্রথম কারন ৩১ টা যুদ্ধ বিমান অস্ট্রেলিয়ার কাছে বিক্রি চুক্তি খোদ বাইডেন স্যার অস্ট্রেলিয়া যেয়ে বন্ধ করে মার্কিন বিমান কিনতে বাধ্য করেছে —,
গ্রামের একটা প্রবাদ মনে পড়লো —- মামা শ্বশুর নাই!
মার্কিন স্বার্থের কাছে কোন মামাশ্বশুর নাই!
সাধু সাবধান ——
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।
সিরিয়া থেকে মার্কিন সেনা সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে! এ শুভসংবাদের সাথে দুঃসংবাদ হলো বাশার আল আসাদ ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর ইজরায়েল গোলান মালভূমি দখল করে নিয়ে লেবানন কে টেনশনে ফেলেছে!