নারী শব্দ টা উচ্চারণ করার সাথে সাথে পুরুষ হৃদয় উদ্বেলিত হয়, চোখের সামনে ভেসে উঠে একটা গোলাপ ! কামনা-বাসনা ভোগ্য একটা ডল! পুরুষের বয়স যতই হোক, ১০০ কিম্বা ১৬ বছর!
এজন্য নারীকে শিক্ষা-দীক্ষায় মানবতা মনুষ্যত্বে জ্ঞান-বিজ্ঞানে পদ পদবী তে এমন জায়গায় পৌছাতে হবে যাকে পুরুষ কামনা-বাসনা ভোগ্য হিসাবে না ভেবে যোগ্য মনে করেন, নারী না ভেবে "মানুষ" ভাবেন! গোলাপ ভাবুক কিন্তু সাথে কাটার খোঁচা টা ও মাথায় আসে। আমাদের দেশে একধরনের সস্তা শিক্ষায় দেশ সয়লাব, সেখানে বিজ্ঞান শিক্ষা নাই, কুরআনে নারীপুরুষ উভয় কে পর্দা করতে বলা হয়েছে, সংযত হতে বলা হয়েছে, তা গোপন করে শুধু নারী আটকানো প্রচার করেন, নারীর চৌদ্দ পুরুষ উদ্ধার ছাড়া ওয়াজ হয় না! নারী দোজখে নেয়, নারী শ্মশানের লাকড়ি দোজখের জ্বালানি! অতএব মোড়াও কালো কাপড়ে, কিন্তু তারা জানেন ই না মানুষ চোখ দিয়ে দেখে না, দেখে মন দিয়ে অতএব কাপড় ভেদ করে সে সব দেখে তাই জার্মান থেকে একজন মহিলা বাংলাদেশের কোন যুবককে ভালোবেসে তার বিলাসী জীবন ফেলে বাংলাদেশের আজো পাড়া গায়ে এসে বাস করে জীবন কাটান!
প্রিয় পাঠক, নারীর সন্মান তার অবস্থান নির্নয়ে! শিক্ষাদীক্ষা অবস্হা হচ্ছে বড় পর্দা! কোন এক বন্যায় "বেগম খালেদা জিয়া" ক্ষমতায়। ডেমড়া ডিএনডি বাঁধ ডুবে স্রোত যাচ্ছে! বাঁধে ভিতর মানুষ ঘরবাড়ি ডুবুডুবু অবস্থা, চাল ডালের অভাব! বেগম খালেদা জিয়া নিজ হাতে স্রোতের ভিতর লাল গাম বুট পায়ে ত্রান দিচ্ছেন! লোকের তেমন ভিড় নাই, বানভাসি মানুষ আসতে পারে নাই, নেত্রী দেখতে বা ত্রান নিতে! যারা আসছেন তিনি নিজ হাতে ত্রান তুলে দিচ্ছেন! সিকিউরিটি ও "সাংসদ সালাহউদ্দিন" তাকে ঘিরে! আমি একটা জীপ গাড়ী করে আসছি, পথে আটকে দিলো প্রায় শত গজ দূরে। আমি সিকিউরিটি কে জিজ্ঞেস করলাম বিষয় কি? তিনি বললেন, প্রধানমন্ত্রী ত্রান দিচ্ছেন সাংসদ সালাহউদ্দিন সাথে! আমি সালাহউদ্দিনের নাম শুনে খুশি হলাম। সাব ইন্সপেক্টর সাহেবকে আমার একটা ভিজিটিং কার্ড দিয়ে বললাম, আমি বেগম জিয়ার সাথে দেখা করতে চাই, আপনি সালাহউদ্দিন কে আমার কার্ডটা দিন, একটা পড়ে শুনাবেন, তিনি পড়তে পারবেন মনে হয় না! দ্রুত ফিরে এলেন, আমার গাড়ী কাছাকাছি ভিআইপি প্রটোকলের মত নিয়ে গেলেন!
সালাহউদ্দিন আমাকে লম্বা সালাম দিলেন, বেগম জিয়ার তাকায় সালাহউদ্দির সালাম দেখলেন, "বেগম জিয়ার" সাথে সালাহউদ্দিন পরিচয় করালেন যেন এমন ইঞ্জিনিয়ার ত্রিভুবনে নাই! আমি "বেগম জিয়াকে" সালাম দিলাম, আমি "বেগম জিয়াকে" দেখে শ্রদ্ধায় মাথা নত করলাম এবং তার সাথে অফিসে দেখা করার নিমন্ত্রণ পেয়ে স্রোতের ভিতর গাড়ীতে চড়ে চলে এলাম! আমার তাকে কখনও নারী মনে হয় নাই, একজন মানুষ মনে হয়েছে! এটাই নারীর বড় পর্দা! যোগ্যতা নারীর পর্দা, তাকে যোগ্য করন!
আমার মা অসুস্থ। ছেলের পরীক্ষা দেশে যেতে পারছি না। আমার সহধর্মিণী উপজেলার একজন নেতার সাহায্যে উপজেলা হাসপাতালের ডাক্তার পাঠায় তাকে চিকিৎসা করায় ফেললেন যেহেতু আমাকে একা গ্রামে যেতে দিতে চান না। মা সুস্থ হয়ে গেলেন, সহধর্মিণী রীতিমতো ডাক্তারের সাথে কথা বলছেন বারবার!
আমরা সবাই মিলে কিছু পয়সা দিয়ে মাদ্রাসা মসজিদ কবর স্হান করেছি! এই কমপ্লেক্সের আমি সভাপতি কওমি মাওলানা ভাতিজা সেক্রেটারি! তাকে এবং নিজ ভাইকে বোনের বাসায় পাঠানো হলো মাকে দেখতে! মাওলানা সাব মদিনা রুমাল দিয়ে মুখ ঢেকে ৯৫ বছর বয়সের দাদীকে সুস্থ হাঁটাচলা করতে দেখে কোন আলাপ না করে ধরে নিলেন কাকা মিথ্যা বলেছেন! দাদী তো অসুস্থ ই হন নাই! মাওলানা কেন আলাপ করেন নাই কারন ৯৫ বছর বয়সী দাদী একজন নারী,
তার লুঙ্গি নষ্টের গ্রান্টি নাই! এমন আহম্মক মাওলানা এ সমাজে কিভাবে ভালো ইসলাম প্রেজেন্ট করবেন? ফোনে আর একজন নারী ঢাকা বসে শ্বাশুড়ি সুস্হ করেছেন, ননদ মার সেবায় রাত জেগে অসুস্থ তাকে সুস্থ করেছেন, স্বামী সন্তান নিয়ে গ্রামে গেছেন, কতগুলো টাকা বিকাশ ও লোক মারফত পাঠিয়েছেন, শ্বাশুড়ি ননদ কে সুস্হ দেখে ডাক্তারের সাথে কথা বলে ঢাকা ফেরত এসে মাওলানা ভাতিজা ও দেবর কে পাঠিয়েছেন! তারা যেয়ে সুস্থ দেখে ধরে নিলেন তার চাচা চাচি মিথ্যা বলেছেন! অথচ দাদীর সাথে আলাপ করলে সব পরিস্কার হয়ে যেত, কিন্তু ইসলাম শত ভাগ মানতে হবে, নারীর সাথে আলাপ নিষিদ্ধ, যদি নিজেকে সামলাতে না পারে ---- এই হলো সো কল্ড ধর্মীয় শিক্ষিত!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নারীকে মানুষ ভাবেন, ধর্ম জেনে পালন করুন, নিজে কুরআন গীতা বাইবেলের তর্জমা পড়ে জানুন, গোঁড়ামি ধর্ম নয়, নারীও মানুষ, ভোগ্য নয়!