মঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৫৩ অপরাহ্ন

ঈদে আতশবাজি ফোটানো বন্ধ হোক

Coder Boss
  • Update Time : রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫
  • ১৯ Time View

বিলকিস নাহার মিতু

ঈদ আসে খুশির বার্তা নিয়ে। কিন্তু ঈদকে কেন্দ্র করে চাঁদরাতে প্রচুর আতশবাজি ফোটানো হয়।আতশবাজি বা পটকাবাজি মূলত তিন ধরনের হয়। আতশবাজির বিকট শব্দে মানুষের হার্ট এ্যাটাক সহ পরিবেশের নানান ক্ষতি হয়। শুধু মানুষই নয় পশু-পাখিদের জন্যও আতঙ্ক ছড়ায় আতশবাজি। প্রতিবছর হাজারো বন্য প্রাণী ও পাখি মারা যায় এই আতশবাজির কারণে, মানুষ মারা যাবার তথ্যও উঠে এসেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় শহরের পাখিগুলোর। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ফোর্বসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, আতশবাজির কণাগুলো ধাতব লবণের সঙ্গে বিক্রিয়া করে শুধু যে ধোঁয়ার সৃষ্টি করে তা নয়, বরং গ্রীনহাউজ গ্যাস হিসেবে পরিচিত কার্বন ডাই-অক্সাইড, কার্বন-মনোক্সাইড, নাইট্রোজেন গ্যাস সৃষ্টি করে যা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য জন্য দায়ী। একনাগাড়ে আতশবাজি ফোটানোর আওয়াজে শিশুরা যেমন অস্থির হয়ে পড়ে তেমনি প্যানিক ডিসঅর্ডার হবারও আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়া আতশবাজির আচমকা শব্দে গর্ভের ভ্রুণেরও ক্ষতি করে এবং গর্ভস্থ শিশুর অপরিণত মস্তিষ্কে আঘাত করে যার ফলে মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুরও জন্ম হতে পারে। আতশবাজির শব্দে সাময়িক অথবা স্থায়ীভাবে শ্রবণ ক্ষমতাও কমে যেতে পারে।
আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আতশবাজি ফোটানো থেকে আমাদের বিরত থাকতে হবে। কেউ আতশবাজি ফোটালে তাকে সচেতনভাবে প্রতিহত করতে হবে। অন্যান্য দেশে যেমন আতশবাজি ফোটানোর ব্যাপারে আইন ও নিষেধাজ্ঞা রয়েছে আমাদের দেশেও এই মর্মে আইন প্রণয়ন করা উচিত। কেউ আতশবাজি ফোটালে তাকে শাস্তি দেয়া উচিত যেন পরবর্তীতে কেউ এমন না করে সেদিকে প্রশাসনের কড়া নজরদারি প্রয়োজন। সর্বোপরি বলতে চাই, দেশ ও জনগনের সুস্থতা ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করতে হলে আতশবাজি ফোটানো বন্ধ করতে হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102