শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪২ অপরাহ্ন

একজন সাবের হোসেন চৌধুরী!

Coder Boss
  • Update Time : শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪
  • ৯ Time View

লেখক: ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম

The highly talent warrior in Bangladesh Politics Mr. Saber Hossain Chowdhury!
বিশ্ব রাজনীতিতে যেমন দুর্বৃত্তায়ন হয়েছে তেমনি বাংলাদেশ রাজনীতি তে অশিক্ষিত গন্ড মুর্খের পদায়ন হয়েছে বিভিন্ন কারনে। আমি দেখেছি “বঙ্গবন্ধু” লিখতে যার তিনটা কলম ভাঙে, তেমন লোক জাতে উঠে ঘোরে সাংসদদের সঙ্গে! মন্ত্রী প্রতিমন্ত্রী ও এমন লোক নির্বাচিত হয়েছে যারা বিদেশি ডেলেগেটদের সাথে কথা বলতে পারেন না! এ জাতির উন্নতি হবে কি ভাবে? এমনি রাজনৈতিক দুঃসময়ে সাবের হোসেন চৌধুরীদের মত মানুষ মূল্যায়িত হওয়া উচিত নিরপেক্ষ ভাবে যিনি লন্ডন ওয়েস্ট মিনিস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করে সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়েছেন! তিনি লন্ডন ইউনিভার্সিটি অফ ওরিয়েন্টাল থেকে “রাজনীতি এবং অর্থনীতি” তে স্নাতক করেছেন।
আবার আইনে ডিপ্লোমা করে লন্ডন বার সনদ পেয়েছেন প্রাকস্টিস করার জন্য!

প্রিয় পাঠক, সাবের হোসেন চৌধুরী ২০১৪ সালে Inter Parliamentary Union President ছিলেন যেখানে ১৭৯ টা দেশের ৪৫,০০০ সাংসদ রা সদস্য! এসব সাংসদ রা ৬.৫ বিলিয়ন লোকের প্রতিনিধিত্ব করেন! এমন প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হওয়া এবং আজীবন তাকে “সন্মানিত প্রেসিডেন্ট” সন্মান অর্জন করেছেন! তিনি বাংলাদেশের ঢাকা সবুজবাগ মতিঝিল আসনের ৪/৫ বারের সাংসদ! বন্দর ও নৌ পরিবহন উপমন্ত্রী, স্হানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন সমবায় মন্ত্রী তথা পরিবেশ বনও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ছিলেন! সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা, দলের সাংগঠনিক সম্পাদক তথা প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক সচিব ছিলেন!
তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি ছিলেন ১৯৯৬ থেকে ২০০১ পর্যন্ত! বাংলাদেশ ক্রিকেট কে বিশ্ব পরিচিতি দেয়া, আইসিসির পূর্ন সদস্য পদ পাওয়ার সম্পূর্ণ কৃতিত্ব সাবের হোসেন চৌধুরীর! তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট কে টেস্ট স্টেটস আনতে সক্ষম হয়েছেন! তার ক্রিকেট জ্ঞান, একনিষ্ঠ কর্ম দেখে লন্ডন মেলবোর্ন ক্লাব তাকে আজীবন সদস্য পদ প্রদান করেন!
রাশিয়ার পুতিনের হাতে তিনি পেয়েছিলেন রাশিয়ার সর্বোচ্চ সন্মানিত পদক ও উপধি, “অলঙ্কার অর্ডার অব ফ্রেন্ডশিপ!”

তিনি জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী থাকাকালীন বিশেষ ভুমিকা রাখেন এবং তার বিশ্লেষণ জলবায়ু পরিবর্তনের অস্ত্বিত্ব সংকটের তীব্রতা, এলাকা ভিত্তিক দুর্যোগ, জীববৈচিত্র্যের উপর প্রভাব এত সুন্দর ভাবে বিশ্ব নেতৃবৃন্দের বুঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন যা চিহ্নিত করেছিলো প্রধান ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলো! বিশ্ব তহবিল নির্ধারণ, প্রদান পর্যন্ত তিনি এগিয়েছিলেন যা গ্লোবাল পলিটিক্স বিলম্বিত করেছে মার্কিন রাজনৈতিক পরিবর্তনে!

প্রিয় পাঠক, এমন একজন সাবের হোসেন চৌধুরী কে আদালত আইনের সর্বোচ্চ জ্ঞান লব্ধ বিচারক রা যদি জামিন দেন তা নিয়ে কথা বলা কি Condemn of Court হয় না? মনে করুন ১৯৯৬ সালে আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় এলে প্রতিদিন শতলোক জামিনে বের হয়ে আসতে ছিলো যা চোখে পড়ার মত! বাংলাদেশ আওয়ামী নেত্রী স্বভাব শুলভ ভাবে সবসময় কিছু ঢিলেঢালা কথা বলে ফেলেন! তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে হয়তো তেমনটা বলা প্রয়োজন ছিলো না, তিনি বলেছিলেন ‘রোজ অনেক সন্ত্রাসীকে আদালত ছেড়ে দিচ্ছে!’ সম্ভবত কথাটা এমন ছিলো! তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কে আদালত অবমাননার দায়ে পাঁচ লক্ষ টাকা জরিমানা করে দিয়েছিলেন! তিনি প্রধানমন্ত্রী তা যথাযথ ভাবে পরিশোধ বা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছিলেন গনতান্ত্রিক সভ্যতা মেনে নিয়ে!
পাঠক, ১৯৭১ সালে মুক্তিযোদ্ধারা বা আওয়ামী নেতারা কোন জিঘৎসা চরিতার্থ করতে পারে এবং শুধু রাজনৈতিক মতপার্থক্যের জন্য (জামাতে, মুসলিম লীগে ভোট দিয়েছে বা পাকিস্তান সমর্থন করেছেন) হয়রানি হতে পারে ভেবে বঙ্গবন্ধু নির্দিষ্ট অভিযোগ ব্যতিরিকে (অগ্নি সংযোগ, ধর্ষণ, পাক সেনা কে ঘরবাড়ি দেখানো, হত্যা, নারীকে ধরে নিয়ে সেনা ক্যাম্পে দেয়া জাতীয়) সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন! এগারো হাজার কনভিকটেড ও তিরিশ হাজার বিচারাধীন জেলে ছিলো! ১৯৭৫ সালে মুজিব হত্যার পর সবাইকে ছেড়ে দেয়া হয়!
বর্তমান অবস্হার পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী সমর্থক বা ভোটার হলেই বাংলাদেশে জায়গা নাই ধরনের আওয়াজ এবং কথাবার্তা শোনা যাচ্ছে! সাবের হোসেন চৌধুরী নেতৃত্বে আওয়ামী লীগে একত্রিত হলে মেনে নেয়া হবে না এমন কথার অর্থ কি? আদৌ সাবের হোসেন চৌধুরী তা করবেন কি না তা জানি না! তবুও কথা দারুন অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচার সরকার থেকে ও কঠোর মনে হয়!
১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীন হলে জামাত নিষিদ্ধ ছিলো যেহেতু “গোলাম আযম সাহেবের” নাগরিকত্ব ছিলো না কিন্তু মাওলানা আবদুর রহীম সব বারো ভাজা নিয়ে” আইডি এল” করে রাজনীতি করেছেন! তা হলে ৫ ই আগষ্ট নতুনত্ব কি আওয়ামী লীগের কেউ রাজনীতি করতে পারবে না বা দলের নেতৃত্ব দিতে পারবে না, ১৯৯০ সালের গনঅভ্যুত্থানের পর তো এরশাদ সাহেবের “জাতীয় পার্টি” নির্বাচন করেছে! জাতির জনক, জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা এসব সারা বিশ্বের সব দেশের জন্ম লগ্নের থেকে একই থাকে, জিঘৎসা সীমিত রাখা উচিত কারন জাতির জনকের মাথায় প্রসাব করানো তার বাড়ী ৩২ নাম্বার ধানমন্ডি পোড়ানো, বেগম রোকেয়া, জয়নাল আবেদীন, রবীন্দ্রনাথের ট্যাচু ভাঙা, যথেষ্ট শাস্তি দেয়া হয়েছে মনে হয়! কেউ দায়ী নয় এজন্য বরং সেই অপরিনামদর্শী দুর্নীতি প্রশ্রয় দানকারী ঢিলেঢালা প্রশাসনিক মানসিকতার নির্বোধ শাসক কে আমার মনের গভীর থেকে এসবের জন্য কাঠগড়ায় দাড় করানো উচিত কেন জাতির জনক সহ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের অপমানিত হতে হয়?

ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন। কুরআন গীতা বাইবেল যার যার ধর্মগ্রন্থ অনুসরণ করেন, লেবাসি লোক দেখানো ধর্ম কোন কাজে আসবে না কারন সৃষ্টি কর্তা সর্ব জ্ঞাত!

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102