লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
বাংলাদেশ গুজবের দেশ, এ গুজব এতই শক্তিশালী যা ভাষায় বর্ননা করা যায় না! এ গুজবের কারখানা হলো ইউটিউব! আমাদের দেশের পড়াশোনা করা লোকের থেকে ইউটিউব দেখা লোকসংখ্যা বেশী! বিশেষ করে একটা বড় সংখ্যাক ইউটিউব দর্শক হলো এদেশের "শিক্ষত অশিক্ষিতরা"! তারা পড়ায় অলস কিন্তু ইউটিউব শ্রোতা দারুন। তারা ইউটিউব দেখে Rumors, ছড়ায়, শেখ হাসিনা আগরতলা দিয়ে প্রবেশ, ড. ইউনূসের পদত্যাগ, উপদেষ্টাদের দেশ ছাড়ার হিড়িক,
সেনা প্রধান দ্বারা উপদেষ্টাদের পাসপোর্ট আটক, এমনি সব গুজবে কান ঝালা পালা!
গ্রামে আসছিলাম ছেলের শীতকালীন ছুটি কাটাতে, ডঃ ইউনূসের শাসন আমলে নাগরিক সুবিধা অসুধার কথা বার-বার অনেকে লিখেছেন, আমিও লিখেছি! বড় সমস্যা হয়েছে গ্যাস বিদ্যুৎ ইন্টারনেট ঘাটতি! গ্রামে মোটেই অনেক জায়গায় গ্রামীণ সীমের নেটওয়ার্ক পাওয়া যায় না! গ্রামে বসে নিউইয়র্ক টাইমস, দি আরব নিউজ সহ বিদেশি পত্রিকা পড়ার সুযোগ পেলাম না! সমসাময়িক প্রবন্ধ ও লেখা খুব কঠিন সত্যতার মুখোমুখি হতে হলো! গুজব শুনে নিজেকেও গুঁজবি মনে হচ্ছে!
প্রিয় পাঠক, বাঙালি হুজুগে! মুসলমান / হিন্দু সম্প্রদায় দারুন লেবাসধারী ধার্মিক! মানবতা মনুষ্যত্ব তাকওয়া পূর্ণ জীবন বা মোমেন হোক না হোক দাঁড়ি টুপি লম্বা কোর্তা সৌদি জাতীয় লেবাস হলেই তিনি মুসলমান। ধূতি পাঞ্জাবি পৈতা তিলক হলেই তিনি দারুন হিন্দু!
এই ধার্মিক নিয়ে বাংলাদেশ। হিংসা বিদ্বেষ সুদ ঘুষ ওজনে কম চুরি চামারি ভূমিদস্যুতা রক্তে মিশানো আবার ওয়াজ নসিহত মসজিদ মন্দির সেবায় মহা ধার্মিক! এই ভন্ড ধোঁকাবাজ নিত্য আপনি আমি মুখোমুখি হচ্ছি, মিস গাইডেড মিস লিডেড হচ্ছি নিত্য!
বাংলাদেশে মোট সাড়ে তিন লক্ষ মসজিদ আছে এবং ইমাম মুয়াজ্জিন মিলে প্রায় ১৭ লক্ষ লোক চাকরি করেন! মন্দির গীর্জা আছে ৪০ হাজার ও ১০ হাজার যথাক্রমে! এই সব ধর্মীয় উপসনালয়গুলো যারা ধর্ম শিখান তারা সোকল্ড শিক্ষিত লোক! তাদের বিজ্ঞান সাহিত্য ইতিহাস ভুগোল দর্শনের জ্ঞান নাই বললেই চলে! আধুনিক বিজ্ঞানের উন্নয়নের ছোয়া তারা জানেন না বলা যায়! ১৯৭১ সালে থ্রি নট থ্রি (৩০৩) রাইফেলে মুক্তি যুদ্ধ ও এখনকার ড্রোন মিশাইল পরমাণু ওয়ার হেড বা পরমাণু সাবমেরিন যুদ্ধের পার্থক্যের মত জ্ঞান পার্থক্য তাদের! গুজব তুলে দিলে তা দ্রুত spread out
হয়! আসল নিমজ্জিত হয় গুজবের প্রলয় তরঙ্গে!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।
গুজব ছড়ানো থেকে দূরে থাকেন!