লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
এক সময়ে শুনতাম ‘নীতির রাজা হচ্ছে “রাজনীতি”! রাজনীতি করা শুরু করে ছিলাম যে গুরু দের অনুসরণ করে তারা ছিলেন নীতিতে ‘হিমালয় সম অটল’ মানুষ। যে সব বই কিনেছিলাম তার একখান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল মানসুর সাহেবের “রাজনীতির পঞ্চাশ বছর” এবং আতাউর রহমান খানের “ওজারতির দশ বছর”। এ দুটো বই ই তখন ছিলো! এত লেখক বা বই তখন ছিলো না! স্মর্তব্য, রাজনীতি আজ-ও করি কিন্তু সবাই ‘সুভাসবোস সোহরাওয়ার্দী ভাসানী তর্কবাগীশ মুজিব হয় না আবার সবাই পদ পদবী নিয়ে আয়-উপার্জন ও করে খায় না!
এখন “মুজিবের” পরে ইংরেজি বাংলা মিলে আছে প্রায় ১,৩৫৫ খান বইর মত, জিয়ার উপর লেখা আছে প্রায় ৩৪৫ খান! কে পড়ে এসব! সে জন্য জিয়া দুটো সেক্টর কমান্ডার হ’য়ে ও কোন দলের লোক তাকে রাজাকার বললে টকশোতে আমতা-আমতা করে সে দলের লোক তাকে ‘ঘোষক” বলেই অনুষ্ঠান শেষ করেন, আর মুজিব স্বাধীনতা চায় নাই, ৭ মার্চ কেন স্বাধীনতা ঘোষণা করে নাই, কেন না পালিয়ে সেচ্ছায় বন্দী হলো, এসবের উত্তর দেয়া আওয়ামী লীগার খুঁজে পাওয়া কষ্ট!
তৎকালীন মুনসুর স্যারের আর আতাউর রহমানের দুটো বই ছাড়া ছিলো ইত্তেফাকের মানিক মিয়ার ধারাবাহিক আর্টিকেল “মুসাফির” অন্য ছিলো “মধ্য রাতের অশ্বা রোহী” “চিলে কোথার সেপাই, সওগাতের নাসিরুদ্দিনের কলাম, ইত্যাদি। দু’জন লেখকের দুটো বই এতই ভারি ছিলো যা এখন কার রাজনীতির “হোল সেল লাইসেন্স পাওয়া লোকেরা” হাতে নিবেন না৷ মূল্য ও সম্ভবত তিনশত টাকার উপরে ছিলো! এখন বই পড়া লাগে না, ‘নেতা পিঠে’ হাত দিলে সেই ছবি ফেজবুকে পোস্ট দিয়েই তিনি নেতা! রাজনীতি তখন ছিলো জনকল্যাণমুলক এখন হয়েছে নিজ কল্যানমুলক! এখন বৈধ-অবৈধ ভাবে কিছু পয়সা জোগাড় করে কিছু চামচা জোটায়ে কিছু মাস্তান ভিড়ায়ে হাত-পা রগ কেটে কিছুদিন জেল খাটলেই, দীর্ঘ কারা ভোগী নেতা “আলহাজ্ব” শব্দটার মত নামের সাথে যুক্ত হয়ে যায়! তারপর নেতাদের দৃষ্টিতে পড়ে গেলে আর কথা নাই, যে দল সারাদেশে প্রার্থী পায় না বা সামরিক কোন সরকার বানানো নতুন দল, নমিনেশন নিলেই আপনি সাংসদ —- বাকীটা ইতিহাস।
প্রিয় পাঠক, what is Politics?
Politics is set of activities thats are associated
with making decisions in groups or other forms of POWER relations among individuals, such as the distribution of STATUS or RESOURCES —
এখন জনগণের সন্মান ও সম্পদ বৃদ্ধি নয় নিজের সম্পদ নিজের সন্মান নিজের ক্ষমতা নিজের আধিপত্য নিজের পদ পদবী নিজের আকাশচুম্বি হিংসা-বিদ্বেষ দম্ভের বিস্তার হচ্ছে “রাজনীতি”! দেশ বা গ্লোবাল একই ধারা প্রায় সব জায়গায়! অন্ন কিনতে পয়সা দেয় না কিন্তু অস্ত্র কিনতে পয়সার অভাব নাই। আপনি বুঝে ফেললে গুমোর ফাঁক , আপনি অজাত শত্রু! জনগন তো বুঝতে জানতে চায় না, তাই অধম অসহায় মানুষ খায় ধর্মের ধোঁকা, রাজনৈতিক মিথ্যা আশ্বাসে হাবুডুবু ! এজন্যই দার্শনিক “সক্রেটিস” কে ‘হেমলক’ পানে মরতে হয়, আসল ধর্ম বোঝা লোকটাকে নাস্তিক বানায় দেশ থেকে তাড়ায়!
বিধ্বস্ত গাঁজা বাসী নিজ পিতৃভূমিতে ফিরতে চাইলে ” “ডোনাল্ড ট্রাম্প (বিশ্ব মুরব্বি)” সেখানে আবাসন প্রকল্প বা ভূমধ্যসাগরের পারে মহিলা পুরুষের প্রমোদ ট্যুরিস্ট স্পষ্টের জন্য দখল নিতে চান! রাজনীতির আসল নীতি, ধর্ম মানবতা মনুষ্যত্বের মৃত্যু ঘটলে যা হয়!
আপনার আমার আশেপাশে, দেশে বিদেশে সদা সর্বত্র এটা দেখতে পাবেন যদি আপনার বোঝার আই-কিউ থাকে! নেতার কাছে যা শুনছেন আসলে দলের Manufacturing material তার বিপরীত। আপনাকে ধোঁকা দিয়ে লোক ভিড়ানো এবং নতুন গল্প ফাঁদা — আপনার সাথে যিনি আলোচনায় তিন মিনিট টিকেন না তিনি মহা জ্ঞানী কারন তিনি বুঝতেই পারেন না আপনি কোন স্তরে দাড়িয়ে কথা বলছেন Standards of your theme thought ! এজন্য ব্যক্তি সমাজ রাস্ট্র বিশ্ব রসাতলে, শেষ হয়েছে ইউক্রেনের মত সমৃদ্ধশীল দেশ, অপরিনামদর্শীতায় সিরিয়া বাংলাদেশ টেনশনে ফেলেছে মুসলিম বিশ্ব ও এশিয়াকে —–
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।