লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
মিউনিখ সম্মেলনে ‘আম ছালা হারোনো’ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ‘জেলে স্কি’ বলেছেন, “ইউরোপ ভেঙে যাচ্ছে, সামারে পূতিন বেলারুশে মহাড়ায় নামে সৈন্য পাঠাচ্ছে, আমাদের ও এমন বলেছিলো তারপর আক্রমণ করলো, ইউরোপের উচিত N A T O বাদে দুই মিলিয়ন সৈন্যের একটা সম্মিলিত সামরিক শক্তি তৈরী করা, তা-না হলে এক-এক করে ইউরোপীয় দেশ রাশিয়া দখল করে নেবে! বিশেষ করে সীমান্ত বর্তী ১১/১২ টা দেশ অচিরেই স্বাধীনতা হারাবে! রাশিয়া এত দ্রুত প্রতি বছর অস্ত্র তৈরি করে যা NATO র সব দেশ মিলে করতে পারে না। আমরা যুদ্ধ জানি, আমরা না পারলে রাশিয়ার সাথে কেউ পারবে না, ট্রাম্প সাহায্য বন্ধ করছে ইউরোপকে জেলে স্কি বলছেন, তোমরা দাও, আমরা রাশিয়াকে ঠেকাই ! গোটা ইউরোপ একদিন রাশিয়া নিয়ে নেবে!
মিথ্যা বাদী ‘জেলে স্কি’! সে বাঘের লেজে কান চুলকাতে যেয়ে বাইডেনের কথায় N A T O তে যোগ দিতে যেয়ে আক্রান্ত হয়েছে, পুতিন সতর্ক করেছেন, লক্ষ সেনা ইউক্রেন সীমান্তে নিয়ে ঘোষণা দিয়ে আক্রমণ করেছেন, বাইডেন জানতেন ইউক্রেন আক্রান্ত হবে এবং ১২ টা দেশের কাছে পূতিন ভয় দেখায় বিলিয়ন ডলার অস্ত্র বিক্রি করবে এবং শেষ হবে ইউক্রেন নামক সোভিয়েত ইউনিয়নের বানানো সমৃদ্ধশীল দেশটা! “আহাম্মক জেলে স্কি” বাইডেনের পাতা ফাঁদে পা দিয়ে শত-শত লোককে মৃত্যুর কোলে ঠেলে দিয়েছে, হাজার বছরের লক্ষ স্হাপনা ধ্বংস করেছে!
এখন ট্রাম্প চাচ্ছেন জেলে স্কির কাছে যত ডলার বাইডেন স্যার দিছেন জেলে স্কির মরার জন্য (প্রায় ২০০ বিলিয়ন), তা ফেরত দাও অথবা শত বছরের জন্য ইউক্রেনের মাটির নিচের খনিজ সম্পদ তোলার চুক্তি করো!
প্রিয় পাঠক, ইউরোপের ভিতর বিশাল ফাটল আজ, সেই বৃটিশ আমাদের দেশে যে Devided rule policy ব্যবহার করতো, আমেরিকা উউরোপে তাই করছে।
ফ্রান্স ইটালি হাঙেরি আগের থেকেই পুতিনের বিরুদ্ধে যেতে চায় নি, রাশিয়ার তেল-গ্যাস না হলে ইউরোপের চলে না, ইউরেনিয়াম ও রাশিয়ার থেকে নিতে হয় পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র চালাতে বা এটম বোম বানাতে!
বুঝুন তা হলে —
ইউরোপ একদিন আমাদের দেশে গনতন্ত্র আছে কি নাই তা খুঁজে বেড়াতো, এই মোড়লীপনা এখন ইউরোপে আমেরিকা করছে! ট্রাম্প আসার পর বলেছেন, “তোমাদের দেশে গনতন্ত্র নাই, তোমরা ততধিক ডানপন্থীদের ভোটে আসতে দাও না! জার্মানে কয়দিন পর নির্বাচন, মুক্ত উদারপন্হী নেতা এলডিসি দলের ক্রিস্টিয়ানো মার্কিন সমর্থক, শাসক দলের সমর্থক নয়!
তুরস্কের এরদোয়ানের বিরুদ্ধে বাইডেনের প্রার্থী দেয়ার কথা স্মরণ করেন!
ফ্রান্স মহা সমস্যায়, আফ্রিকার প্রায় ১৩/১৪ টা দেশ লুটপাট চাঁদাবাজি দলবাজি করে খাচ্ছিলো, তাড়া খেয়ে এসেছে রাশিয়ার ব্লকের দেশগুলো থেকে!
আলাদা আলাদা সব ইউরোপীয় দেশগুলো সমস্যা গুলো তুলে ধরা জায়গার স্বল্পতা — —
যতটুকু বর্ননা দিয়ে, এই প্রবন্ধ কেউ মন দিয়ে পড়লে বুঝবেন বিশ্বে কি চলছে এবং আমার প্রবন্ধের নাম
” হা হা হা কেন? যদি মনে করেন খুশি —-
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।