লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
ইউক্রেনের রাজধানী ‘কিয়েভের’ চারিদিকে রাশিয়ান সেনা ঘিরে ফেলেছে, রাশিয়ান সেনা অবস্হান রাজধানী কিয়েভের আশেপাশে থেকে সারা ইউক্রেন, (বেলারুশ,চরনিহিভ, লুস্ক, খারকিভ, ক্রামাভোস্ক, খেরসন, মারিয়া পোল, ওদেসা, ক্রিমিয়া), জেলেনেস্কি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন! আবার তিনি বলেছেন, “আমার পাশে কেউ নাই”, আবার বলেছেন, সর্বশক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ো!
পূতিন বলেছেন, ” আলোচনা তখন যখন অস্ত্র গোলাবারুদ সমর্পণ করবে!” এদিকে কুমন্ত্রণা দায়ী বাইডেন স্যার আশঙ্কা করছেন রাশিয়া ইউক্রেন দখলের পর পশ্চিমা বিশ্বের N A T O ভুক্ত ছোট দেশগুলো দখল করতে পারে তাই N A T O সেনা রাশিয়ার আশেপাশে দেশগুলোতে মোতায়েন করার উপর জোর দিয়েছেন!
প্রিয় পাঠক, বিশ্বের জনগন হচ্ছে শাসকদের হাতের helpless got (অসহায় ছাগল)! কত আরামে, ধানে গমে পুষ্পে ভরা তেলগ্যাস ওয়ালা ইউক্রেন দেশটা ছিলো! একজন কৌতুক অভিনেতা শাসক শক্তি বর্ধন করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে NATO সদস্য হতে গেলো, মোড়ল বুদ্ধি দিলেন, come and join!
রাশিয়া বিশ্বের দ্বিতীয় শক্তিশালী দেশ! ১৯৯০ সালে ১৫ টা দেশ সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে বের করে দেয়ার পর ও আয়তনে বিশ্বের বড় দেশ! তার সাথে টক্করের পরিনাম না ভেবে দেশটা শেষ করলো এবং রাশিয়ার দখলে চলে গেলো! জানমাল সম্পদ স্থাপনার ক্ষয়ক্ষতি নাই বা গুনলাম!
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শ যে শুনেছে তাকে হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশ নামক দেশ সৃষ্টি হতো না যদি পাকিস্তানের ইয়াহিয়া ভুট্টো জেলেনেস্কির মত আমেরিকা পিছে আছে ভেবে গনহত্যা না চালাতো! আজ পাকিস্তানের ও ৮০০ টাকা কেজি আটা খেতে হতো না!
মার্কিন পলিসি সব সময় অস্ত্র গোলাবারুদ বিক্রির ফাঁদ পাতা। রাশিয়ার সীমানায় ন্যাটোভুক্ত দেশ হচ্ছে ইউক্রেন (one the way to die), বেলারুশ, লাটভিয়া, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড বহুত আরামে আছে, ইউক্রেন রাশিয়ার দখলে গেলে সীমানায় আসবে রুমানিয়া, পোল্যান্ড, লিথুনিয়া, মালটোভা, বুলগেরিয়া! তাদের (৯ টা দেশকে) বুঝানো হচ্ছে, “তোমরা প্রস্তুত হও, তোমাদের ও ধরবে ইউক্রেনের পর, অতএব আমরা NATO সেনা পাঠাচ্ছি তোমাদের পাহারা দিতে, তাদের ভাত-কাপড় বেতন দাও, অস্ত্র কিনতে বাজেট বাড়াও, মদ মহিলার যেন ঘাটতি না হয়! উদ্দেশ্য শেষের বাক্যটা, অস্ত্র বিক্রি! একজন আহাম্মক ও বোঝে
১. ইউক্রেন বাঘের লেজে কান চুলকাতে গেছিলো এবং রাশিয়া কে “যুদ্ধ চাপিয়ে দিয়ছে আমেরিকা”, তার ইউক্রেন আক্রমণ ছাড়া উপায় ছিলো না! ২. রাশিয়ার তার কোন প্রতিবেশী কে আক্রমণ করে পুনঃ যুদ্ধে জড়াবার কোন রুচি নাই! ৩. NATO ক্লজ হচ্ছে তাদের একজন সদস্য আক্রান্ত হলে ধরে নিতে হবে ন্যাটোর ৩২ টা দেশ আক্রান্ত, তা হলে রাশিয়ার কেন বিশ্বযুদ্ধের দায় ঘাড়ে নেবে লিথুনিয়া লাটভিয়া ফিনল্যান্ড আক্রমণ করে? আসল উদ্দেশ্য অস্ত্র বিক্রি! আমার মনে হয় খুব উচ্চ মাত্রার কোন স্লিপিং পিল খাওয়ায়ে আমেরিকা কে যদি বছর দশ ঘুম পাড়ায় রাখা যেতো তা হলে বিশ্বে কোন যুদ্ধবিগ্রহ হতো না, মিটে যেতো ইসরায়েল ফিলিস্তিন লেবানন ইরাক ইয়েমেন যুদ্ধ! চীন কে থামাতে যুদ্ধ করবে আমেরিকা তা পেন্টাগনে পাশ হয়ে বসে আছে, সেনা একত্রিত করা শুরু হয়েছে সে
কথা আগের কোন প্রবন্ধে বলেছি!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন। লেবাসধারী ধার্মিক নয় মন পবিত্র করে খাঁটি ধার্মিক হোন! আল্লাহ পাপ ক্ষমা আছে মানুষের পাপ ক্ষমা নাই (আল কুরআন)!