লেখকঃ দেবিকা রানী হালদার।
==================
বাংলাদেশের কিছু অনভিজ্ঞ মানুষ যাদের অধিকাংশ ১৯৭১ এর স্বাধীনতা বিরোধী ৫ ই আগষ্ট ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ছদ্মবেশে কোটা আন্দোলনের নামে চলয়মান সরকারের পতন ঘটাতে সক্ষম হয়েছিলো!
সেটার প্রধান কারণ ছিলো, হাসিনা সরকারের অপরিনামদর্শীতা, গনতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচন পরিচালনা না করা, বহির্বিশ্বের ভূরাজনৈতিক দৃকপাত না করা, প্রতিবেশী ভারত প্রীতি অতিমাত্রায় এগিয়ে যাওয়ায় ভারত এলার্জিক লোকগুলোকে বিরোধী দলে ঠেলে দেয়া ইত্যাদি!
একথা শতভাগ সত্যি সরকার দলীয় কিছু লোক সম্পদশালী হওয়া এবং স্থানীয় সরকার দলীয়করণে মানুষ বেশকিছু টা অসন্তুষ্ট ছিলো!
সবশেষে সরকার প্রধান কোটা আন্দলোন ২০১৮ সাল থেকে শুরু হলে-ও ৫/৬ বছর গায়ে না মাখা এবং চাকুরী ও স্কুল কলেজ ভর্তির শতাংশ বাড়ানো আন্দোলন সঠিক হ্যান্ডেল না করায় ওঁৎ পেতে থাকা দেশী ও বিদেশি ষড়যন্ত্রকারীরা সুযোগ নেয়!
পরবর্তী নতুন সরকার যেমন বৈধতা নিতে ব্যর্থ হয়েছে তেমনি জনজীবনের নিরাপত্তা দিতে, বাজার দর নিয়ন্ত্রণ এবং পাকিস্তান নির্ভরতা বাড়ানোতে বাংলাদেশের মানুষ তাদের আসল উদ্দেশ্য ধরে ফেলেছে!
অধিকাংশ অনভিজ্ঞ ভাষাজ্ঞানহীন দুর্বল চিন্তার লোক দিয়ে দেশ শাসন সম্ভব নয় তেমন ধারণা জনমনে দানা বাধা শুরু হয়। কাণ্ডজ্ঞান হীন কিছু উপদেষ্টা ত্রান সহ আর্থিক লাভ বানের চেষ্টা জনমনে প্রশ্ন সৃষ্টি করে! তিনদিকে বাংলাদেশ ভারত বেষ্টিত প্রতিবেশী হওয়া সত্বেও তাকে হুমকি ধামকি দিয়ে আবার কচ্ছপের মতো শুর টেনে নিতে হয় খোলসের ভিতর! সংখ্যা লঘূ নির্যাতনের মতো বড় বিষয় খুব ছোট করে দেখা তাদের বড় বিপদে ফেলে।
সেনাবাহিনী পাহাড়ি সংখ্যা লঘূ হত্যা বিশ্বে বেশ হতাশা সৃষ্টি করে, এমন কি মার্কিন নব নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ক্ষমতায় বসার আগেই বাংলাদেশে সংখ্যা লঘূ নির্যাতনের কথা উত্থাপন করেন!
ভারতের সেনাপ্রধান বাংলাদেশ সেনাপ্রধান কে ডেকে ভিডিও কলে এমন কিছু বলেছেন যা বাংলাদেশ সামরিক নিউজ মিডিয়া কিছুই জনগন কে জানাতে পারে নাই (আইএসপির)!
শাকসবজি ফলমূল তরকারি মাছমাংস আজ-ও গরীবের নাগালের বাইরে! দোকান মালিক ব্যবসায়ী হা-হুতাশে কারন ক্রেতা নাই অর্থাৎ জনগন আয় রোজগার শ্রম দিতে ব্যর্থ! এখন ও শহর গ্রাম পাড়া মহল্লায় চাঁদাবাজি বন্ধ হয় নাই। "বিএনপি" নামক দলটা নিজেদের কে ক্ষমতার মসনদে মনে করছে শুরু থেকে! সরকার ব্যস্হ শুধু বাংলাদেশ কে ১৯৭১ সালে পূর্বের অবস্থার সাথে টালি রিফর্মেশনে! প্রায় ৫/৬ টা সংস্কারের নামে কমিটি করা হয়েছে যারা সংবিধান পরিবর্তন করতে চায় যদিও বিএনপি পন্থী বুদ্ধি জীবি "গোলাম মাওলানা রণি" বলেছেন, এই সব কমিটির সদস্য কেউ ই "আওয়ামী লীগের তোফায়েল সাহেবের" বাসায় যে পরিমাণ পড়াশোনার বই আছে সে সব বইর নাম ও শোনে নাই! অযোগ্যতার এর থেকে বড় উদাহরণ আর দেয়ার দরকার আছে বলে মনে হয় না! একজন উপদেষ্টা বিদেশের মাটিতে হেনস্তা হয়েছেন! প্রেসিডেন্ট তাড়াতে মাস্তানি পথ বেছে নেয়া সরকারের বড় অনভিজ্ঞতা ও ব্যর্থতা সারা বিশ্বে সমালোচনার ঝড়! প্রধান বিচারপতি কে একই পদ্ধতি তে তাড়ানো হয়েছে! বাড়ি সাউথ বেঙ্গল হলেই বদলি বা অবসর জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি হচ্ছে! শিক্ষক হয়রানি ও বিদায় কোন নিয়মতান্ত্রিক পথ ধরা হয় নাই, সব ই স্বৈরাচারী নিয়মে করা হয়েছে!
লোকজন বলে যাচ্ছে একাধারে, "হাসিনা সরকার শতগুণ ভালো আছিলো"! মানুষ ভীত নারী শিক্ষা বন্ধ হওয়া নিয়ে, সংখ্যা লঘূ নির্মূল হওয়া নিয়ে, বাংলাদেশ থাকবে নাকি "মিনি পাকিস্তানের'" আদলে অন্য কিছু হতে যাচ্ছে!