অথই নূরুল আমিন।
============
অন্তর্বর্তী সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে, অধিদপ্তরে অসংখ্য জ্ঞানী – গুণী লোকেরা নিয়োগ পেয়েছেন। এরমধ্যে বেশ কয়েকটি সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়েছে। এখানে অনেকেই ড. ধারী উচ্চ ডিগ্রীধারি রয়েছেন। তারপরেও যদি আগামী জাতীয় নির্বাচনে ২৮০০ কোটি টাকা ব্যয় হয়। খাসির বদলে মহিষ মানত করার মত ঘটনা যখন কেউ ঘটায়। তাহলে এখানে কিছু কথা তো থেকেই যায়।
কিছু কথা বলার আগে প্রথমেই বলব। মনে হচ্ছে বতর্মান সরকারে যোগ্য লোকের বড় অভাব। এবং বিভিন্ন সংস্কার কমিশনে যারা নিয়োগ পেয়েছেন। তারাও যে মাথা মোটা। তাতে কোন সন্দেহ নেই। অন্তর্বর্তী সরকার যদি বুদ্ধি বা মেধা খাটিয়ে বিনা টাকায় জাতীয় সংসদ নির্বাচন করতে পারত। তাহলে যেমন লাভ হত রাষ্ট্রের। তেমনি লাভ হত জনগণের। আর পৃথিবীর ইতিহাসে বাংলাদেশের বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সবার নাম লেখা থাকত স্বর্ণ অক্ষরে।
মূলত বাংলাদেশ একটা দারিদ্র দেশ। দ্বিতীয়ত একটা মহা চোরের দেশ। তৃতীয়ত একটা বহুমতের মুর্খের দেশ। এখানে হাতে গোনা কিছু লোক আছেন ভদ্র। কিছু লোক আছেন সুশিক্ষিত। কিছু লোক আছেন সামাজিক। বিগত সময়ের সকল রাজনৈতিক দলগুলো দুর্নীতির সাথেই সম্পৃক্ত বেশি। দেশ এবং জাতির কল্যাণে কাজ করতে তেমন দেখা যায়নি তাদেরকে।
তাই দেশের জনগণ ভোট দিতে এখন আর আগ্রহ প্রকাশ করে না। জনপ্রতিনিধি এবং তাদের কর্মীরা হাতে পায়ে ধরেও ভোটের দিন ভোটার খোঁজে পায় না। তাহলে নির্বাচন কমিশন কেন নির্বাচনের নামে ২৮০০ কোটি টাকা এই নির্বাচনে খরচ করতে চায়। নির্বাচন কমিশনের এত বাজেট এর চরম বিরোধীতা করছি। এবং কোনরকম খরচ ছাড়া নির্বাচন কমিশন জাতীয় নির্বাচন করতে হবে। এটাই আমার শেষ কথা।
তা নাহলে গোটা জাতির কাছে নতুন নির্বাচন কমিশনার একজন অযোগ্য নির্বাচন কমিশনার হিসাবে গণ্য হবেন। দেশের প্রায় ১২ কোটি ভোটার আছে, যা কাগজে কলমে যদি ধরা হয়। জাতীয় নির্বাচনে ভোটার উপস্থিত থাকবে খুব বেশি হলে চার কোটি। চার কোটি ভোটারদের ভোটের আয়োজন করতে ২৮০০ কোটি টাকা ব্যয় করে। জনগণের উপরে ভ্যাট বাড়ানো হবে। পণ্যের দাম বাড়ানো হবে। ব্যবসায়ীদেরকে জিম্মি করে টাকা ক্যাশ করতে হবে। এরকম করে ২৮০০ কোটি টাকা জাতীয় নির্বাচনে ব্যয় করবে নির্বাচন কমিশন। তাতে জনগণের কি লাভ? জনগণ যেমন আছে তেমনি থাকবে। শুধু বেড়ে যাবে তাদের দৈনিক ব্যয়। বেড়ে যাবে দেশের ষাট ভাগ দারিদ্র লোকদের কষ্ট।
তারপর যে দল ক্ষমতায় আসবে। তারা আবার নতুন করে বাজেট করতে গিয়ে আবার বাড়াবে পণ্যের দাম।
এভাবেই যদি আমরা সারাজীবন বোকামি করেই যাই। তাহলে দেশের জনগণ তো শান্তির গন্ধও পাবে না। তাই নির্বাচন কমিশনারের কাছে আমার আবেদন। রাষ্ট্রের অর্থ ব্যয় ছাড়া জাতীয় নির্বাচন কিভাবে করা যায়। সে পরামর্শ করুন। যদি আপনাদের কাছে এরকম বুদ্ধিজীবী না থাকে। আমাকে বলুন। আমি সংগ্রহ করে দেব। তবুও এই জাতির উপরে নতুন করে আর কোন বুঝা চাপিয়ে দেবেন না। একটু সদয় হোন। ভূক্তভোগী এই জাতি আর কোন কষ্ট পেতে চায় না। দয়া করুন জনাব সমগ্র জাতির পক্ষ থেকে আমার বিনীত অনুরোধ রইল। বিনা টাকায় জাতীয় নির্বাচন করার ব্যবস্থা করুন। কোন জনপ্রতিনিধিরও যেন কোন টাকা ব্যয় না হয়। এরকম একটি নির্বাচন নতুন আঙ্গিকে করুন। পৃথিবীর ইতিহাসে এই সরকারের নাম স্বর্ণ অক্ষরে লেখা থাকুক। এটা আমি ও চাই। মনে রাখবেন। বোকার কোন স্বর্গ নেই।
(নির্বাচন কমিশনারের কাছে একটি খোলা চিঠি)
======================
অথই নূরুল আমিন,
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।