লেখক: অথই নূরুল আমিন
================
আজকে কয়েক মাস অতিবাহিত হতে চলল। বতর্মান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতায় আছে। কিন্তু জনগণের কল্যাণে কাজের তেমন অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। শিক্ষা উপদেষ্টা পাঠ্যপুস্তক দিতে ব্যর্থ হয়েছেন। পরিবেশ উপদেষ্টার সকালে একরকম বিকেলে আরেক রকম চলছে। সংস্কৃতি উপদেষ্টা এবং বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক চিনতে পারলেন না। কোন ছবিটা একাত্তরের আর কোন ছবিটা বায়ান্ন’র। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো ভিসিকে নিয়ে চলছে বিতর্ক।
তার মধ্যে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার বেশকিছু দাবি উপস্থাপন করেছে। বিভিন্ন স্তরের বিভিন্ন সংগঠন। বিভিন্ন পরিষদ। এখানে সরকারের পক্ষ থেকে কোন ভরসা তো নেইই। তার মধ্যে অনেক দাবিগুলোর বিপক্ষে সরকারের পক্ষ থেকে তিরস্কার এসেছে চরমভাবে। এদিকে জুলাই বিব্লবের আহতরাও আজকে আন্দোলন করতেছে। সাত কলেজের ছাত্ররাও মিছিল মিটিং করেই যাচ্ছে।
শাহবাগের দিকে গেলে বা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এমনকি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনেও দাবি আদায়ের জটিকা মিছিল মিটিং দেখা যায়। এছাড়া জেলা উপজেলা পর্যায়ে তো আছেই যেমন রাস্তা ঘেরাও মানব বন্ধন সহ নানারকম সমস্যা।
আসলে বতর্মান সরকার কিন্তু জানে না। কেন আজকে দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষেরা বিভিন্ন রকম দাবি দাওয়া নিয়ে, কেন তারা রাস্তায় নামছে বারবার। এটা হলো মূলত প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এর জন্য। ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার পর থেকেই দেশের ভূক্তভোগী জনগণের মনে যেন প্রান ফিরে এসেছে। দেশের ভূক্তভোগী জনগণের মনে একটা বিশ্বাস চলে এসেছে। আর সেটা হলো ড. মুহাম্মদ ইউনূস। দেশের জনগণ জানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস সারা পৃথিবীর একজন চেনামুখ। যেমন প্রজ্ঞাবান তেমনি তিনি স্মার্ট। জনগণের মনে আশা হলো, ইউনূস সাহেব অনেক কিছু করতে পারবেন। এই ভেবে দেশের ভূক্তভোগী জনগণের বিভিন্ন দাবি আদায়ের মিছিল মিটিং চলে। এটা আসলে একটা অনেক বড় বিশ্বাস থেকে। এরকম বড় বিশ্বাস আসলে আল্লার দান ছাড়া হয় না।
অথচ এই রকম এত বড় বিশ্বাসের কদর এই সরকার না বুঝেই। নানারকম অপমান অপদস্ত করে যাচ্ছে অবিরাম দেশের ভূক্তভোগী মানুষদেরকে। দেশের মানুষের স্বপ্ন পূরণ হবে। এমন অন্ধ বিশ্বাস হয়েছে ড. ইউনূসের প্রতি। দেশের ভূক্তভোগী জনগণের বিশ্বাস হলো। ড. ইউনূস অনেক বড় একজন মানুষ। তিনি হয়তো একটা ব্যবস্থা করেই দেবেন। দেশের ভূক্তভোগী মানুষেরা ড. ইউনূসকে সত্যি সত্যি দেবতা তুল্য মনে করছন। তাই তারা তাদের দাবি নিয়ে শ্লোগান দিচ্ছেন।ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেব কে জানান দিচ্ছেন। তাদের প্রথম চিন্তা হলো কোনোভাবে ইউনূস সাহেবের কানে যেন তাদের দাবিটা গিয়ে পৌঁছে। তাদের বিশ্বাস দাবিটা পৌছাতে পারলেই কাজ হয়ে যাবে।
এদিকে ইউনূস সাহেবের দপ্তর থেকে সেই শ্লোগান ধারী জনগণকে ভুল বুঝে অহেতুক আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ বানিয়ে দিচ্ছে। এদিকে খুব গভীরে না যেয়েই না বুঝেই প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব সহ অন্য উপদেষ্টাগণেরা নানারকম ফালতু ভাষ্য প্রয়োগ করছেন।
বতর্মান সরকারের সবাইকে বলছি। আপনারা হয়তো জানেন না। ইউনূসের প্রতি এই ভূক্তভোগী মানুষজনের যেদিন থেকে সত্যি সত্যি আজকের এই বিশ্বাসটুকু উঠে যাবে। সেদিন থেকে আপনারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। এখনো সময় আছে মন দিয়ে জনগণের কাজ করুন। ড. ইউনূস সাহেবের ইজ্জত রক্ষা করুন। দেশের মানুষের বিশ্বাস রক্ষা করুন। আপনারা সবাই জনগণের কাজ করলে, জনগণও ভালো থাকবে। আপনারা সবাই সবাই ভালো থাকবেন।
———–_———–
অথই নূরুল আমিন,
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।