লেখক: অথই নূরুল আমিন।
আজকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বেশকিছু রেমিট্যান্স যোদ্ধা বিমান ভাড়া কমানোর দাবিতে মিছিল করছে মর্মে বেশকিছু অনলাইন মিডিয়ায় নিউজ হয়েছে। এখানে কে শুনবে কার কথা। মাত্র ছয় মাস পূর্বেও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার সরকার পতনের আন্দোলনের সাথে একমত পোষণ করে তারা রেমিট্যান্স পাঠানো বন্ধ করেছিল দেশের সিংহভাগ রেমিট্যান্স যোদ্ধা।
অথচ আজকে তাদের জন্য কাল হল বতর্মান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিমানের ভাড়া বেড়ে গেল দুই গুণ তিন গুণের ও বেশি। এ যেন মরার উপরে খারার ঘা। রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের প্রতি দেশের স্বার্থে সরকার নমনীয় হতে হবে। সদয় হতে হবে। তাদের জন্য রাষ্ট্রী সুযোগ সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। তাহলে উভয়ের জন্য বিষয়টি যেমন হবে লাভজনক, তেমনি হবে সুন্দর। দেশে এবং বিদেশে বয়ে আনবে সরকারের সুনাম।
১. রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ব্যাংক লোন নিশ্চিত করতে হবে। মোট খরচের ৫০% (প্রথম যাওয়ার পথে)
২. বাড়িতে ছুটিতে আসা প্রতিজন রেমিট্যান্স যোদ্ধার বিমানবন্দর থেকে তার নিজ বাড়ি পযর্ন্ত সরকারের গাড়ি এবং প্রশাসন ধারা নিরাপত্তা নিশ্চিতসহ গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার আইন পাস করতে হবে।
৩. একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা তিন বছরে যত টাকা বিদেশ থেকে প্রেরণ করবেন। তার পরিবারের জন্য তার ৫০% লোন পরিবারের সন্তানেরা লোন নিতে পারবে (প্রয়োজনে) কোনরকম মর্গেজ ছাড়া এরকম বিধান সরকারকে করতে হবে।
৪. ৫০ লাখ টাকা বা তার অধিক কোন রেমিট্যান্স যোদ্ধা দেশে টাকা পাঠালে সরকারের পক্ষ থেকে "রেমিট্যান্স যোদ্ধা " নামে পুরস্কার দেয়া বা সনদ দেয়া পদ্ধতি চালু করতে হবে।
৫. বাংলাদেশ সরকারের অধীনে সরকারির ক্ষেত্রে " রেমিট্যান্স যোদ্ধা " নামে একটি বিশেষ কোটা চালু করতে হবে।
৬. দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের জন্য ঢাকাসহ প্রতি জেলায় একটি করে " রেমিট্যান্স যোদ্ধা হাসপাতাল" করতে হবে।
৭. আঠারো বছরের বেশি দেশের বাহিনীরে থাকা রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের সম্মানে ( মৃত্যুর পর ) সরকারি অর্থায়নে দাফনের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া অথবা অনুদান প্রেরণ করার আইন করতে হবে।
দেশের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের উৎসাহিত করা এবং তাদের শ্রম এবং সাহসের পূর্ণাঙ্গ কদর যদি সরকার করে। তাহলে দেশ এগিয়ে যাবে। সরকার এবং রেমিট্যান্স যোদ্ধা উভয় পক্ষই ভালো থাকবে।
====================
লেখক: অথই নূরুল আমিন
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী