নারী মাতা, নারী ভগ্নী, নারী সহধর্মিণী, নারী প্রেরণা দায়িনী, নারী মমতাময়ী, নারী সংসার জীবনে ট্রেজারার, হিসাব রক্ষক, পাচক, সেবিকা, মার্কেটিং ম্যানেজার, এক কথায় নারী একই অঙ্গে শতরূপে আবির্ভূত!
কিন্তু নারী নিষ্ঠুর কৃপন প্রতিহিংসাপরায়ণ ঠান্ডা মাথার খুনি এসব বললে হয়তো আপনারা আমাকে নারী বিদ্বেষী বলবেন! আসলে আমি নারী বিদ্বেষী নই বরং কেউ কেউ আমাকে নারী বাদী লেখক বলেন, আমি নারী সম অধিকারে বিশ্বাসী!
প্রিয় পাঠক, বিশ্বখ্যাত লেখক নোবেল বিজয়ী "সালমান রুশদীর" লেখা বই যদি কেউ পড়ে থাকেন, তিনি বলেছে," Women character is multidimensional and complex individual !"
আসলে দেবতারা নারী মন বুঝেন নাই বলে প্রবাদ আছে আর আমি আপনি তো কোন ছাড় ---
আমার বিষয় অস্ট্রেলিয়ায় একজন ভারতীয় নারী তার স্বামীকে হত্যা নিয়ে লেখা এক হৃদয় বিদারক ঘটনা!
ছবিতে দেয়া মেয়েটা একজন কে ছাত্র জীবন থেকে ভালো বাসতো, অন্য একজন ক্লাস মেট কে ও ভালো লাগতো, ক্লাসমেট আকারে ঈঙ্গিতে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়, হঠাৎ সে স্কলারশিপ নিয়ে অস্ট্রেলিয়া চলে গেলে ভালোবাসার মানুষ টার সাথে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলে, দুবছর পর অস্ট্রেলিয়ার ছেলেটা ফিরে এসে মেয়ের গার্জেন কে বিয়ের প্রস্তাব দেয়! মেয়ে রাজী হয়ে বিবাহ পরবর্তী অস্ট্রেলিয়া চলে যায়! একটা সন্তান ও জন্মদেয় এই দম্পতি। আপনারা অনেকেই জানেন, ভারতের লোকেরা বিশ্বের অনেক দেশের বড়বড় কোম্পানির C E O সেজে বসে আছেন তাদের পড়াশোনা মেধা জানাশোনা ও আই-কিউর গুনে! লোকে বলে ভারত সারা বিশ্বে রাজত্ব করছে! মুসলিম বিশ্বে ও তাদের রাজত্ব। সিঙ্গাপুর যারা গেছেন, মোস্তফা মার্কেট বিশ্বের বিশাল সুপার মার্কেট, ভারতীয় ছাড়া কোন দেশের লোক নাই ম্যানেজার সেলসম্যান ক্যাশিয়ার ট্রলি ঠেলা সবই ভারতের কেরালার মানুষ!
প্রিয় পাঠক, আমার সত্যি গল্পের ভিলেন দুবছর পর অস্ট্রেলিয়া চলে যান এবং মেয়েটার সাথে সাক্ষাৎ করেন! শুরু হয় দৈহিক সম্পর্ক! একদিন দু'জন অনুভব করে একে-অপরকে ছাড়া থাকতে পারছে না!
তাই মেয়েটার স্বামীকে হত্যার পরিকল্পনা নেয়! একদিন গাড়ীতে মেয়ের সাহায্যে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়।
ছেলেটা অনুভব করে তাকে হত্যার প্রচেষ্টা হচ্ছে!
একরাতে সহধর্মিণী তাকে সায়ানাইড (C N) থেকে-ও বিষ গুন শক্তিশালী সায়ানাইড বিভাজন যৌগ ঘুমের কিছু আগে দুধের সাথে খাওয়ায় দেয়! বিছানায় যেয়ে ই
মুখে রক্ত লালা ক্ষরণ হয় এবং দ্রুত নির্দোষ নিরপরাধ স্বামী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন!
আশ্চর্যের বিষয় হলো সেই বিছানায় অবুঝ ছেলে যে জানেই না এই মাত্র তার পিতৃবিয়োগ হয়েছে তাকে নিয়ে সেই বিছানায় নিশ্চন্তে নির্ভয়ে লাশের পাশে রাত কাটায়! বাচ্চা টা ও তার পিতৃহন্তার সাথে ঘুমিয়ে থাকে!
সকালে প্রয়োজনীয় নাটক, পুলিশ, প্রতিবেশী ডেকে তাকে হার্ট এ্যাটাক সন্তাক্ত করে কবর দেয়। ছেলেটা ছিলো খৃষ্টান। মেয়ে এবং প্রেমিক ছিলো হিন্দু।
পুলিশ তাকে কোন জিজ্ঞাসাবাদ করে নাই, পোস্টমর্টেম ডাক্তার জানিয়েছিলেন পুলিশ কে, cause of death is poisoning. হত্যাকারীকে ডেড সার্টিফিকেট দিয়েছিলো হার্ট এ্যাটাকাক মৃত্যুর কারন!
পুলিশ পিছু নেয় এবং মাসের ভিতর দেখতে পায় গাড়ী বাড়ী ব্যাংক ব্যালান্স সবই প্রেমিকের হাতে তুলে দিচ্ছে এবং চুটিয়ে যৌন জীবন মহা ধুমধামে চালিয়ে যাচ্ছে।
শোকাবহ নারী দ্রুত ফূর্তিতে মেতে ওঠে-
আমি নারী
সবই পারি!