কলমে: সাহেলা সার্মিন
আমি পুরুষ! আমার বাঁধা নেই কিছুতেই
আমার যতোই থাক বারোশ প্রেমিকা;
আমি কখনো হবোনা বারবনিতা!
আজ আমার সিনথিয়া তো কাল সোহানা
আমাকে কেউ করার নেই মানা!
তবুও আমি একা নিঃস্ব!
যতো পাই আরো ততো চাই ;
ধন সম্পদ ঐশ্বর্য বাড়ি গাড়ি আর নারী
তিয়াস মিটে না আমার!
আমি দিয়েছি হানা কতো অভিজাত পরিবারে
যেখানে নারীরা যায় না ঘরের বাহিরে।
গিয়েছি নাটক থিয়েটার রঙ্গমঞ্চে
আমায় দেখে কুর্ণিশ করে বসতে দিয়েছে অগ্রে!
আমার মান মর্যাদা কমবেনা কভু
তুমি যতো বড়োই হও একটু ছোঁয়ায় হও নিবু নিবু।
আমি কতো কাটাই যেখানে সেখানে রাত
আর তুমি বাহিরে কাটালে একরাত হও কাত!
বনে যাও বেশ্যা বনিতা নয়তো রক্ষিতা
আমাদের সমাজে এটি সহজ নামতা।
আমার বেশ ভূষায় হোক যতো নতুনত্ব
এ নিয়েও কেউ খুঁজে না কোন তত্ব।
চুলের কাটিং পড়নে হাফপ্যাণ্ট গেঞ্জি অথবা যাতা
তোমাদের বেশ ভূষা নিয়ে গরম থাকে সমাজের মাথা!
তোমরা ঘরের লক্ষ্মী থাকবে ঘরে
সালোয়ার কামিজ শাড়ি পড়ে।
মানো তো মানো, নয়তো শোনো গুঞ্জন
যদি চাও বাঁচতে সাথে নিয়ে মান সম্মান।
আমি নারী! গুঞ্জনে আর দেবো নাকো কান
আমি বাঁচতে চাই মাথা উঁচু করে নিয়ে সম্মান।
আমিও পারি এভারেস্ট করতে জয়
যেতে পারি চাঁদে নির্ভয়!
সাগরের তলদেশে করে যাই মুক্তার খোঁজ
একটা একটা করে করতে পারি জয় রোজ!
যুগ বদলেছে, বদলেছে চিন্তা ও মনন
কঠিন শিলাতেও আজ নারীরা করছে খনন।
কে কী বললো, নারীরা আজ ভাবেনা
চিলে কান নিলো বলে চিলের পিছে আর ছুটে না।
আজ পুরুষের পাশে নারীরাও করে সব কাজ
পুলিশ সৈনিক পাইলট কিংবা গান ও নাচ।
নারী আজ থাকেনা ঘরে বন্দী
তোমরা যে যতোই করো ফন্দি।
নারী আজ শুধু ভাত রেঁধে হয়না ক্ষান্ত
চাকুরি রাজনীতি আর মিসাইল বানিয়েও হয়না শ্রান্ত!
সংসার সামলানো সন্তান পালন আছে রোজকার দিন
মাঝে মাঝে বড় কিছু করে মেটায় স্বামীর ঋণ।
তারপরেও বলবে? নারী বেসামাল
একটুতেই হয় টাল মাটাল?
সুলতানা রাজিয়া মাদার তেরেসা ঝাঁসির রাণী
এরা তো টানেনি পুরুষের ঘানি!
তবে কেনো রক্তচক্ষু তোমাদের?
নারী তো দেয়না বাঁধা কোনো কাজে তোমাদের!
নারী চিরদিন তোমাদের দিচ্ছে সাথ
তোমরা কেনো সাথ না দিয়ে দিচ্ছ বাঁধ?