পত্রিকা খুললেই দেখতে পাওয়া যায়; ভার্সিটি পড়ুয়া মেয়েদের ক্ষুদ্র একটা অংশ দেহ ব্যবসা করছে। আরেকটা বড় অংশ প্রেমীকের সাথে রুমডেট, মেস, আবাসিক হোটেল, ডার্ক রেস্টুরেন্ট, হাইড আউট, পার্কে যাচ্ছে। বড়োবড়ো শহরে এরা সংক্রামক ব্যাধির মত ছড়িয়ে পড়েছে।
আবাসিক হোটেলের ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে জানা যায়, হোটেলে কোনো রাতেই খুব একটা রুম ফাঁকা থাকেনা। বিলাসবহুল হোটেল গুলোর বেশিরভাগই ভার্সিটির স্টুডেন্টদের আনাগোনা । পার নাইট ১৫০০-৫০০০/- পর্যন্ত খরচ করে থাকছে এক রাতের স্বামী-স্ত্রীর মত। আবার এদের বেশির ভাগই মুখে হিজাব পড়ে আসে।
এদের উদ্দেশ্য ভার্সিটির খরচসহ লাক্সারিয়াস লাইফ লিড করা। এদেরকে একটা চক্র দালালের ভূমিকায় কন্টাক্ট করে দেয়। প্রশাসনের সাথেও এদের কানেকশন শক্তিশালী। যেকারণে হুট করে এদের বিরুদ্ধে দাড়িয়ে টিকে থাকা কঠিন!
প্রিয় অভিভাবকেরা এই হচ্ছে আমাদের বোন। অর্থাৎ, আপনাদের মেয়েদের অবস্থা! পুরো রমরমা ক্যারিয়ার বানাতে যে পাঠিয়েছেন তার যথাযথ অর্জন করেই আপনার ঘরে ফিরবে।
অনার্সের বয়সটা এমন যে, কনজারভেটিভ পরিবার থেকে উঠে আসা মেয়েটা ছেলেদের সাথে দীর্ঘ সময় উঠাবসা করে। আর এই বয়সের ছেলেদের তেমন ভয় থাকেনা। তাই এরা নিঃসংকোচে গোপন কথাবার্তা মেয়ে বন্ধুকে ট্রিট করে বলে। এসব শুনতে শুনতে এক সময় মেয়েদের লজ্জা কমে যায়। আর জৈবিক চাহিদা যেহেতু নারী-পুরুষের সব চেয়ে তীব্র ও বড় মাপের চাহিদা তাই ভয়হীন ছেলে আর লজ্জাহীন নারীর জন্য এটা সহজ হয়ে যায়। তাই অবাধে চলছে আপনার মেয়ের যৌন প্রেম অথবা রমরমা যৌন ব্যবসা।
এখানে বড় পরিতাপের বিষয় হচ্ছে, এই মেয়েগুলো তো সারাজীবন আর এভাবে চলতে পারেনা। ভার্সিটি শেষে একটা পর্যায়ে এদেরই কেউ না কেউ আপনার আমার ঘরে স্ত্রী হিসেবে আসছে। এবং লজ্জাহীন এই নারী তখন স্বামীকে মমতা, প্রেম, তীব্র আবেগানুভূতি দিতে পারেনা। পারেনা সন্তানকে নৈতিকতার শিক্ষা দিতে। এভাবেই প্রজন্মের মায়েরা ধ্বংস হচ্ছে।
এখন অভিভাবক হিসেবে কি আপনি চান ভার্সিটি ক্যারিয়ারের নামে আপনার কলিজার টুকরো মেয়েটা এভাবে নিজের ইজ্জত বিলিয়ে দিক?
অনেকে বলছে বিকল্প অপশন কি?
বিকল্প অনেক আছে, কিন্তু আপনার পুঁজিবাদী মস্তিষ্ক বিকল্প দেখতে পায়না, দেখিয়ে দিলেও মানতে পারেনা।
ঈষৎ পরিমার্জিত।
নূর হায়দার জামান
সহকারী শিক্ষক: জামিয়া আরাবিয়া দারুল উলূম মাদরাসা,কিশোরগঞ্জ সদর।