লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
১৯৪৮ সাল থেকে ইসরায়েলের হাতে ফিলিস্তিন মুসলমান হত্যা হয়ে আসছে! ১৯৪৮ সালের সংঘর্ষে মাত্র ৬ দিনে ১৬ হাজার হত্যা! এমনি পশ্চিম তীর গাজায় ইসরায়েলের আধিপত্য বিস্তারে হাজার হাজার ফিলিস্তিন নিহত হয়েছে!
ফিলিস্তিন নাগরিকদের চলাচলে বাধা, তাদের পবিত্র আল আকসা মসজিদে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, পশ্চিম তীরে ৭ লক্ষ ইহুদি বাড়ী নির্মাণ, জাতিসংঘের ১৯৩ সদস্য দেশের ১৬৩ দেশ ঐক্য মত ফিলিস্তিন স্বাধীনতায় শুধু বিশ্ব অর্থ অস্ত্রে শক্তিধর ধর্মপ্রাণ আমেরিকার “না”, এজন্যই ফিলিস্তিন স্বাধীন রাস্ট্র হতে পারছে না! আমেরিকা কে ধর্মপ্রাণ বলেছি এজন্য যে ৫০০ শক্ত ঈমানদার মুসলমান যাচাই-বাছাই বিশ্বে করার অধিকার সনদ শুধু আমেরিকা দিয়েছে যার ১০ ক্রমিক পাকিস্তানের ইমরান খান এবং ৫০ নাম্বার ক্রমিক বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ডঃ ইউনূস! আমরা গর্বিত দক্ষিণ এশিয়ায় দু’জন ভালো মুসলমান আছেন!
প্রিয় পাঠক, এমনি ইহুদি বাদী দেশ ইসরায়েলের নির্যাতন নিপিড়নে জর্জরিত হয়ে
ফিলিস্তিনের প্রতিবাদী মুক্তিযোদ্ধা গ্রুপ ” হামাস” ২০২৩ সালের অক্টোবরের ৭ তারিখ অনেকটা আত্মহত্যা শপথে মার্কিন অর্থ অস্ত্রে মদদপুষ্ট ইসরাইলী বাহিনীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত হয়! আজ-ও সে যুদ্ধ চলয়মান! ইসরায়েলকে সমর্থন দিতে আমেরিকা নির্লজ্জ ভাবে তাদের যুদ্ধ জাহাজ “আইজাক হাওয়ার” ও পাঠিয়ে ছিলেন মিঃ বাই ডেন স্যার! উল্লেখ্য, আজ পর্যন্ত এই যুদ্ধে আমেরিকা ১৭ হাজার ৯০ কোটি ডলার যুদ্ধ সাহায্য দিয়েছে (তথ্য – USA Brown University report). আজ পর্যন্ত প্রায় ১ লক্ষ ১৭ হাজার ফিলিস্তিন নিহত হয়েছে, কোন কোন জরিপ আরো বেশী মনে করে।
এ যুদ্ধে জড়িত হয়ে গেছে লেবাননের “হিযবুল্লাহ”, ইয়েমেনের ” হুতি”, ইরাকের “প্রতিরোধ বাহিনী”, বাহরাইন ফিলিস্তিন সমর্থক যোদ্ধারা। সিরিয়া ইরান জড়ানো সব সময়!
আজ সবশেষ খবর হলো,লেবানন থেকে পিছু হটছে ইসরায়েল বাহিনী, তাদের ড্রোন ভূপাতিত এবং ইসরায়েলকে হিযবুল্লাহ চরম ভাবে কোনঠাসা করে ফেলেছে, ইসরায়েলের ১ মাসে প্রচুর সেনা অস্ত্র গোলাবারুদ ধ্বংস হয়েছে, বিক্ষোভ হচ্ছে ইসরায়েলের ভিতর! সেনারা যুদ্ধ চায় না, তারা ক্লান্ত। হিযবুল্লাহ ও ফিলিস্তিন আল কাসেম ব্রিগেড, ইরাকি প্রতিরোধ যোদ্ধারা গতকাল ৪০০ দিন পুর্তি তে ৪০০ রকেট নিক্ষেপ করেছে যাতে ইসরায়েলের কলকারখানা শিল্পাঞ্চল সেনা ঘাটি তছনছ হয়েছে! ইসরায়েল তাদের যুদ্ধ বন্দী তথা বিনিময় বন্দী উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে!
ইসরায়েলের নির্বাচন ছিলো সমাগত যাতে নেতানিয়াহুর ভরাডুবি নিশ্চিত বিধায় এ যুদ্ধ ফাদ এবং ইরান আক্রমণ! বিশ্বের কোন দেশ এ যুদ্ধ না চাইলে ও মার্কিন WAR ECONOMY এ যুদ্ধ জিয়িয়ে রাখতে চায়! বাইডেন স্যারের পতন হয়েছে, নেতানিয়াহু পতন নিশ্চিত বলা যায়। আমরা দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমান দেশ সত্যি বলতে পারবো না, এমন কি মুসলমান ভাইদের জন্য মসজিদে দোয়া গায়েবি জানাজাও করতে পারবো না কারন আমেরিকা আমাদের ক্ষমতায় বসায় আবার তারাই কে কতোবড় মুসলমান সে সনদ দেয়! আল্লাহর কাছ থেকে এজেন্সি এখন মার্কিন নিয়েছে এমনটা প্রতীয়মান আমার কাছে, আপনাদের কি মনে হয়?
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।