লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
দার্শনিক গোখলে বলেছিলেন, “বাঙালি যা আজ ভাবে সারা ভারত তা ভাবে এক সপ্তাহ পরে!” প্রিয় পাঠক, গোখলে বাঙালি চরিত্রের এপিঠ দেখে ছিলেন মনে হয়, ওপিঠ দেখেন নাই!
আলেকজান্ডার দি গ্রেট তার সেনাপতি সেলুকাস কে বলেছিলেন, “হাই সেলুকাস কি সুন্দর এদেশ!” তিনি এদেশের প্রাকৃতিক দৃশ্যে হয়তো মুগ্ধ হয়ে বলেছিলেন কথাটা চরিত্র দেখার সময় পান নাই!
বাঙালির বেঈমানী, লোভ, হিংসা-বিদ্বেষ, আত্মঘাতী কর্ম, ধর্মের নামে উন্মাদনা, মানবতা মনুষ্যত্বহীন পশু বৃত্তি তিনি দেখেন নাই! সামান্য স্বার্থে চরিত্র বিক্রি, দেশ বিক্রি, নারীর রক্ত-মাংস ভক্ষণ, শিশুহত্যা, জন্মদাত্রী দাতার অবমাননা তিনি দেখেন নাই!
রবীন্দ্রনাথ ভগবানকে বলেছিলেন, “রেখেছো বাঙালি করে মানুষ করো নাই!” তিনি বুঝে ছিলেন, শুধু
বুঝতে পারেন নাই দেশ প্রেমিক “নবাব সিরাজুদ্দৌলা, শেষ নবাব “বাংলার মুজিব!” তিনি মহা পন্ডিত বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ কে চ্যালেঞ্জ করে বলেছিলেন, “তুমি মিথ্যা বলেছো কবিগুরু, আমার বাঙালি মানুষ হয়েছে!’
এ কথার মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় নবাব সিরাজুদ্দৌলার থেকে-ও খারাপ ভাবে তাকে মরতে হয়েছে! তার শিশুপুত্র কাজের লোক সহ আত্মীয় স্বজন বরিশাল থেকে বেড়াতে আসা শিশু সুকান্ত মিলে প্রায় পঞ্চাশ জনকে একই রাতে হত্যা করা হয়। তার ঐতিহাসিক বাড়ী ৩২ নাম্বার ধানমন্ডিতেই ২২ জনের লাশ পড়েছিলো! যিনি তার লাশ সিড়িতে রেখেই দেশের রাস্ট্রপতি সেজে ছিলেন তিনি আগের রাতে বাসার তরকারি টিফিন বক্সে করে নিয়ে তার পরিবারকে খাওয়ায়ে ছিলেন ডিনারে! খুনি ডালিমের কয়দিন আগের সাক্ষাৎকারে জানা যায়, মুজিব তাকে যখন তখন স্নেহ ভরে ডেকে বাসায় নিয়ে সাথে বসায় খাওয়াতেন। সে ছিলো আব্দুর রব সেরনিয়াবাতের বাসায় হত্যার দায়িত্বে!
প্রিয় পাঠক, মুজিব হত্যার পর লেখক ছিলেন সব চৈনিক পন্হী, জামাত মুসলিম লীগ সমর্থক, তারা তৈরি করেছিলো ডালিমের বউ মুজিব তনয় কামাল ধর্ষন করেছিলো। এতদিন পর ডালিম খোলসা করলো,” “এমন কোন ঘটানাই ঘটে নাই”!
তখন বদরুদ্দীন উমর, এনায়েত উল্লাহ খান, বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের ধ্বজাধারী সিরাজুল আলম খান, ভাসানী সাহেবের কেউ কেউ, সব চৈনিক রা ছিলেন মুজিব বিরোধী যারা বাসন্তী নাটক থেকে ডালিমের বউ ধর্ষণ, ধর্মনিরপেক্ষ মানে ধর্মহীন প্রমান করে জনগণ কে বিভ্রান্ত করেছে, ভারতের সাথে ২৫ চুক্তি কে গোলামীর চুক্তি বলে অবিহিত করতো অথচ তা যারা পড়েছেন তারা দেখেছেন,” এমন চুক্তি প্রতিবেশী অন্য বাড়ীওয়ালার সাথে ও থাকা উচিত! দেবেন শিকদার, সিরাজ শিকদার, খোকনরা ছিলো মানুষ হত্যা করে দেশ কে অস্হির করতে! সেই সব নেতা রব, ইনু, রাশেদ খানরা আওয়ামী সরকারে ভিড়ে এঁটো চেটেছে মন্ত্রী হয়ে!
অন্য আওয়ামী নেতারা পড়ায় অলস লেখায় অলস তাই কাগজে কলমে মুজিব অমুসলিম হয়ে মরলেন, নবাব সিরাজুদ্দৌলা নারী ভোগী মদ্যাপ রং মেখে মরেছেন!
এখন ও আওয়ামী নেতাদের টকশো দেখলে দম বন্ধ হয়, এরপরে কি বলবে নেতা? কোন কোন আওয়ামী নেতার মুখে শুনেছি, “পড়ে কি হবে?” কেউ কেউ বলেন,”উপরের দুইলাইন নিচের দুইলাইন পড়লেই সব বুঝা যায়, আহাম্মক কাকে কয়, কেন পড়বে পিঠে হাত দিলে সে নেতা হয়!
বঙ্গবন্ধুর উপর ১৩৬৫ খানের মত বই লেখা হয়েছে দেশি বিদেশি মিলে, পাঁচ খান পড়া নেতা মেলা ভার!
লর্ড ক্লাইড আত্মজীবনী তে বলেছেন, “নবাব সিরাজুদ্দৌলাকে কে রোডে টেনে হেঁচড়ে নেয়ার সময় যত দর্শক উল্লাস করেছে তারা একটা করে ঢিল ছুড়লে ইংরেজ এদেশ থেকে পালাতো! সেচ্ছায় এ জাতি ২০০ বছরের ইংরেজ গোলামীর রশি গলায় পড়েছিলো!”
বৃটিশ থেকে স্বাধীন হতে দুইশো বছরে প্রায় দুই বিলিয়ন জীবন দিয়েছে, পাকিস্তান থেকে স্বাধীন হতে ৩০ লক্ষ জীবন দিয়েছে তবু সে জাতি সংশোধন হলো না!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন!
লেবাস ধর্ম নয়, সারা জীবন হোক কর্মময়, দান শুধু অনাথ এতিম মিসকিন মুসাফির রোগী দেনা দার, মসজিদ মাদ্রাসায় অকাজে দিয়ে যাচ্ছেন বেশুমার!
কুরআনের তফসির রোজ আধা ঘন্টা শুনুন, সব সমান পাবেন!