লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
আওয়ামিলীগ গত ১৫ বছর বিএনপি কে ভাঙতে পারে নাই অথচ অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আমলে তেমনটা হতে যাচ্ছে! আওয়ামিলীগ সরকার কে ক্ষমতাচ্যুত করতে বিএনপি তেমন কোন জোরালো আন্দোলন গড়ে তুলতে পারে নাই, শুধু বিভিন্ন জায়গায় বলে আওয়ামী সরকার কে হেয় করার চেষ্টা ছাড়া! সেই চাপের ফল যদি হয় বর্তমান সমন্বয়ক সরকার তাহলেই জাত ভাইয়ের ভোতা ক্ষুরে গাল কাটালো বিএনপির! বিএনপি বর্তমান সরকার কে নির্বাচনের চাপ দিলে এবং যথারীতি নির্বাচন হলে বিএনপি ক্ষমতায় এসে যেতো শতভাগ নিশ্চিত করে বলা যায়। কিন্তু বিএনপি নীতি হলো নগদ যা পাও হাত পেতে নাও, লুটপাট দখল চাঁদাবাজি দেখে মনে না করার কোন কারন নেই বিএনপি ক্ষমতায় নাই! এই সুযোগে নতুন দলের আবির্ভাব এবং সবাই জানেন বিএনপি গঠিত বেশ কিছু দলছুট ও উচ্ছিষ্ট ভোগীদের নিয়ে, ত্যাগীরা পৌঢ় এবং বিতাড়িত! এখন যদি বিএনপি ভেঙে ৬০/৭০ জন মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার "নাগরিক শক্তি " নামক দলে যোগ দেন তাদের দোষ দিতে পারবেন না, মার্কিন প্রেসক্রিপশনে দল, দ্বিতীয় কথা শত্রুর শত্রু বন্ধু, ১৯৭১ বিএনপি কতটা চায় "নাগরিক শক্তি তেমন মোটেই '৭১ স্বাধীনতায় বিশ্বাসী নয়, জাতির পিতা,জাতীয় সঙ্গীত বরাবর চিন্তা ধারা!
পাকিস্তান প্রীতি একই বরাবর! বাংলাদেশ নামক দেশের প্রতি ভালোবাসা মায়া মমতার ঘাটতি আছে বলবো না তবে একই বরাবর!
কিন্তু দুঃসংবাদ হবে যদি জামাতের সংমিশ্রণ হয় তা হলে বিএনপি ভাঙন থেকে ও সরকারে যেয়ে কোন ঠাসা থাকবে!
প্রিয় পাঠক, অসতর্ক আওয়ামী 'সরকার প্রধান' দুনিয়ার খোঁজ না রেখে যে বিপদে পড়েছেন, তা হয়তো নির্বুদ্ধিতার ফল তবে দেশটা বিশ্বকে চিনাতে পেরেছেন তা অস্বীকার করবে না কোন শত্রু ও! এ জন্য মার্কিন নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বাংলাদেশকে আলোচনায় আনে! বিশ্বের International community বুঝতে পেরেছে বাংলাদেশ is runing in an unstable condition! সেখানে সংখ্যা লঘূ নির্যাতনের কথাটা রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প আলোচনায় এনেছেন! ডেমোক্র্যাটরা সারা বিশ্বে নাক গলাতে চায়, কতৃত্ব চায় রিপাবলিকানরা সবার আভ্যান্তরীন বিষয় নাক গলাতে চায় না। তারা Nationalist. তার দেশের লোক ভালো থাকলে ভালো তবে গ্লোবাল পলিটিক্স একদম মুক্ত নয়! যেমন ট্রাম ক্ষমতায় এলে দক্ষিণ এশিয়ায় পূতিন মোদির সাথে হরিহর আত্মা হবে আবার চীন ইরান চাপে থাকবে। ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ হবে, ভারতের নিষেধাজ্ঞা গুলো তুলে নেবেন কিন্তু ইরান আরো নিষেধাজ্ঞায় পড়তে পারে! উল্লেখ্য, অর্ধ কোটি ভারতীয় আছে আমেরিকায় যার ৬০/৭০% ওয়েল এস্টাবলিস্ট, তারা বাংলাদেশের স্থিরতা আনতে ট্রাম্প কে ভোট দিবেন অন্য দিকে বাংলাদেশী হিন্দু মুসলিম মিলে আছে দেড় লক্ষ মাত্র!
প্রিয় পাঠক, এমন তো হতে পারে, ট্রাম্প ক্ষমতায় এলে " হিলারি ক্লিনটন" মদদ পুষ্ট বর্তমান সরকার মার্কিন সমর্থন হারালো এবং আন্তর্জাতিক আদালত আওয়ামী পূর্বের সরকারের "রিসেট বাটনে পুশ করলো" যা মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা এদেশের রাজনীতিবিদদের শিখিয়েছেন! এমন টা হবে তা আমি বলছি না, হলে কি হবে? বর্তমান বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট, এবং সেনা প্রধান কি আইনের প্রতি অশ্রদ্ধা দেখাতে পারবেন? ভারতের সেভেন সিস্টার্স অস্হির করে দেবো, চিকেন নেক বন্ধ করে দেবো, এসব হুমকি ধামকি কি আগামী তে চালিয়ে যাওয়া যাবে?
অন্য কিছু না-ই বা বললাম, ২৬ লক্ষ ভারতীয় চাকরি বাংলাদেশে, আয়না ঘর দৈব বানী কি বাংলাদেশের জনগন আর বিশ্বাস করবে, গরুর গোশ ৩০০ টাকা, ইলিশ মাছ কেজি ৩০০ টাকায় খাওয়াবো এখন মুলা খেতে হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি, মানুষ যেমন অমুক ক্ষমতায় এলে মসজিদে উলু ধ্বনি শোনা যাবে এমন কথা এখন আর বিশ্বাস করে না তেমনি আপনারা তিন মাসে দেশ এবং জনগণের জন্য কিছু করতে পারেন নাই শুধু বাগাড়ম্বর ছাড়া তা মানুষ লক্ষ্য করেছে! আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে ও বর্তমান সরকার সমালোচিত! ব্যবসা বানিজ্য সম্প্রসারণ হয় নাই বরং হাত ছাড়া হয়েছে অধিকাংশ রপ্তানী কারক দেশ! অভিজাত এলাকায় চুরি-ডাকাতি ছিনতাই রাহাজানি বেড়েছে শতগুণ! নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে মানুষ! সরকার নির্বিকার, কোন সরকার পরিবর্তনে বিশেষ করে ১৯৭১ এ রাস্ট্র পরিবর্তন, থেকে যতবার সরকার পরিবর্তন হয়েছে মানুষ এত অসহায় ও দ্রব্য মূল্যের মুখোমুখি হয় নাই!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন!