লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
সৌদি আরবে অধিকাংশ শহর ভারি বর্ষনে ডুবে গেছে!
মক্কা মদিনা রিয়াদ আসীর জাজান ইত্যাদি! কোথাও অরেঞ্জ সতর্কতা কোথাও রেড সতর্কতা!
প্রিয় পাঠক, দক্ষিণ এশিয়ার মুসলমানরা আমেরিকা দাবানলে পুড়লে বলে "পাপের শাস্তি" আর মক্কা মদিনা অতি "বৃষ্টিতে পানিতে ডুবলে" বলে "কেয়ামতের আলামত!" অশিক্ষা কুশিক্ষা কুসংস্কারাচ্ছন্ন মুসলমানদের মস্তিষ্কে সব সময় কেয়ামতের আলামত থাকে অথচ তারা জানে না মুসলমান ধর্ম মতে আদম আঃ থেকে দুনিয়ার সৃষ্টি হলে তার বয়স মাত্র সর্বোচ্চ দশ হাজার বছর এমনটা লেখা পেয়েছি কোথাও! আল্লাহ কি মাত্র দশ হাজার বছরের জন্য দুনিয়া সৃষ্টি করেছেন?
বিজ্ঞানের মতে পৃথিবীর বয়স প্রায় ৪.৫ বিলিয়ন বছর!
মানুষ এসেছে (হোমো হ্যাবিলিস এর আবির্ভাব ২০ লক্ষ বছর আগে! ৩ লক্ষ বছর আগে হোমো স্যাপিয়ান্স রূপন্তর হয় আফ্রিকায় যারা দুই পায়ে হাটতো।
ডায়নোসরের বিলুপ্তি ঘটছে ৬ কোটি বছর আগে! এসবই বিজ্ঞানের কথা তবে আদম আঃ এর আগমন ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয় নাই, যিনি শ্রীলঙ্কা থেকে ভারতের কেরালা প্রবেশ করেন! সে সেতু আজ-ও আছে ভাসমান যা হিন্দুদের রাম সেতু নামে পরিচিত! কত বছরে উত্তাপ্ত ভুমি শীতল হলো, কিভাবে ৫ মাইল উচু হিমালয় হলো, কিভাবে সাগর তলদেশ লেবেল থেকে ১১ কিলোমিটার গভীর "মারিয়ানা ট্রেন্স" হলো, এসব জানানো প্রয়োজন বোধ করছে না আমাদের দেশের কিছু শিক্ষা ব্যবস্হা! সে জন্য ই এসব কুসংস্কার আমাদের পিছু ছাড়ছে না!
প্রিয় পাঠক, কেয়ামত আসবে পবিত্র কাবায় তওয়াব বন্ধ হলে, শুনেছেন নিশ্চয়ই! ৬৯২ সালে একবার তওয়াফ বন্ধ হয়েছিলো, ৯৩০ সালে ইয়াজিদ শাসন সময় একমাস তওয়াফ বন্ধ ছিলো, ১৯৭৯ সালে প্রায় ১৩ দিন তওয়াফ বন্ধ ছিলো! জোহাইমান বলে এক লোকের নেতৃত্বে তার ভাই কাহতানি কে ইমাম মাহাদি সাজায়ে ২০০ স্ব সশস্ত্র বাহিনী নিয়ে আক্রমণ করে এবং অনেক লোক মারা যায়। ঐ গোষ্ঠী মনে করতো সৌদি শাসক ভালো মুসলমান না! শেষ পর্যন্ত সম্ভবত ফরাসী সেনা ডেকে ১৩ দিন পর কাবা উদ্ধার করা হয়। প্রায় ৬০ জনকে ফাসি দেয়া হয়। কারাগৃহের উপর শুধু এ্যাটাক হেলিকপ্টার টহল ছিলো! তওয়াফ বন্ধ ছিলো, কোন পাখীও উড়ে নাই কিন্তু কিয়ামত আসে নাই! করোনার সময় ও তওয়াফ বন্ধ ছিলো!
কুসংস্কারে আমরা এতই আছন্ন যা প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বোঝার মত জ্ঞান আমাদের নাই, আল্লাহ বিলিয়ন বিলিয়ন গ্রহ নক্ষত্র ব্লাকহোল সৃষ্টি করেছেন যার মধ্যে পৃথিবী অতি ক্ষুদ্র একটা সৃষ্টি ! এটা বুঝতে হলে বিজ্ঞান পড়া জরুরি তা না হলে "এমনি আবহাওয়া পরিবর্তনে ঝড়বৃষ্টি বন্যা প্লাবন দাবানল দেখলেই আমরা চীৎকার দেবো, " রোজ কিয়ামত এলো"!
বিজ্ঞান শিক্ষা নারী শিক্ষা তো হারাম ফতোয়ায় আবদ্ধ।
বিশ্বে ৭৭ লক্ষ প্রানী আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন, সবার মুখ খোলা কিন্তু নারী নামক জীবের মুখ বের করা হারাম যা পর্দা প্রথায় পবিত্র কুরআনে এমন বলা হয় নাই! নবীর করীম সঃ এর সময় কাপড়ের ও অভাব ছিলো, এখন পর্দা মানে হাত মোজা পা মোজা হিজাব নেকাব বোরকা এসব ২৫০ বছর পরের তৈরী হাদিস থেকে নেয়া হবে হয়তো! বাংলাদেশের বাইরে গেলে বোঝা যায় নারীকে কাপড়ের কতটুকু গায়ে রেখে তল্লাশি করে? নারী পুরুষ উভয়কে নিজ মন দেহ হেফাজত করতে নলা হয়েছে! মানুষ চোখ দিয়ে দেখে না যে কাপড়ে দেখা বন্ধ হবে, মানুষ দেখে মন দিয়ে এটা বোঝার মস্তিষ্ক তৈরি করতে সুদূর চীন যেতে ও বাধা নাই। জ্ঞান বিজ্ঞান শিখতে নবী করীম সঃ চীন ও যেতে বলেছেন!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।