লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউক্রেন রাশিয়া যুদ্ধ মিটিয়ে দিলেন!
যে যুদ্ধ বাঁধিয়ে দিয়ে “জো বাইডেন স্যার” বিশ্বে দ্রব্য মূল্য বাড়িয়ে দিয়েছিলেন, গ্রেট বৃটেনের ‘বরিস’, ইতালির ‘দ্রাঘি’র গদি ছেড়ে পালাতে হলো। সারা ইউরোপীয় দেশের লোক তিনগুণ দামে তেল-গ্যাস কিনলো, গ্যাস অভাবে ঠান্ডায় জমে মরলো কিছু দেশে লোক, কোন দেশে আটার কেজি ৮০০ টাকা হলো, N A T O তে ফাটল ধরলো, হাঙেরির প্রধানমন্ত্রী “ভিক্টর আরবান” স্পষ্ট বাইডেনের মুখের উপর ব্রাসেলসে N A T O সম্মেলনে বললেন, “রাশিয়ার সাথে শত্রতা করে আমরা পারিনা কারন আমাদের ৪০% তেল-গ্যাস রাশিয়া থেকে এনে জনগন বাঁচাতে হয়! ” যে যুদ্ধে ৬৫ হাজার লোক জীবন দিয়েছে মতভেদে লাখ, সমৃদ্ধ ইউক্রেন আজ গাজার মত ধ্বংস স্তুপ, শরনার্থী হয়ে দেশ ছেড়েছে ৫০ লাখের উপরে! সেই “যুদ্ধ ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া দীর্ঘ তিন বছর পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের”এক নির্দেশে সমাধান হয়ে গেলো—
প্রিয় পাঠক, ইউক্রেনের একার “আমও ছালা” যায় নাই ইউরোপের অতি গরজী রাশিয়ার মাজা ভাঙতে চাওয়া দেশগুলোও এখন কার খালু অবস্হা! ট্রাম্প কি বলেছেন তা বলছি:
১. রাশিয়া যতদূর দখল করেছে তা রাশিয়ার থাকবে!
২. আলোচনায় যদি জেলে স্কি আসতে চায় আসুক, যা বলবো তা শুধু হা বলবে সে!
৩. ইউক্রেনে কোন N A T O শান্তিরক্ষী নামে সৈন্য পাঠানো হবে না!
৪. ইউক্রেন কোনদিন ও N A T O সদস্য পদের চেষ্টা করতে পারবে না!
যদি মার্কিন সাজেশন না মান্য করো, গত “বাই ডেন সরকারের” দেয়া ২০০ বিলিয়ন ফেরত দাও অথবা ইউক্রেনের যতটুকু তোমার আছে তার মাটির নিচের বিপুল খনিজ সম্পদ ” আমেরিকা কে লীজ দাও শত বছরের জন্য!”
ইউরোপীয় দেশগুলো ইউক্রেন যুদ্ধে “জেলে স্কির” মত ই “আম বস্তা” সব হারিয়েছে! ইউরোপীয় দেশগুলো ‘নেচে নেচে’ অর্থ অস্ত্রে দিয়েছে রাশিয়ার মাজা ভাঙতে! ৫০ লক্ষ শরনার্থী কে ভাত-কাপড়ের যোগান দিয়েছে, জার্মানি যুক্তরাজ্য পোল্যান্ড হাঙ্গেরি রোমানিয়া স্লোভেনিয়া চেক প্রজাতন্ত্র মালদোভা ফ্রান্স আয়ারল্যান্ড বেলারুশ এমন কি খোদ রাশিয়া ৯০ হাজার শরনার্থী কে আশ্রয় দিয়েছে!
ইউরোপীয় দেশগুলো কে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছেন খুবই স্পষ্ট ভাবে, “আগামীতে তোমাদের N A T O পুষতে হলে খরচ আরো ইউরোপ থেকে বাড়িয়ে দিতে হবে মার্কিন আর একা ৪০% খরচ বহন করবে না!
সত্যি কথা, রাশিয়া আমেরিকা মিশে গেলে বিশ্বে কারো সামরিক অস্ত্র কেনার দরকার নাই! বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইবে যে বাতাসে ৭৮% নাইট্রোজেন নয় ২১% অক্সিজেন উন্নত হয়ে নাইট্রোজেন এর অংক দখল করবে, মধুর নহর দুধের শহর না-ও যদি বলি অক্সিজেন বেড়ে গলে হাসপাতালে আর অক্সিজেন সিলিন্ডার কিনতে হবে না! না, মদ খেয়ে মাতাল হইনি, এমন টাই আমার ভাবতে ইচ্ছে হচ্ছে যদি-ও গাজা নিয়ে মিঃ ট্রাম্প মন্তব্য অমানবিক!
প্রিয় পাঠক, মুষ্টিমেয় Less I Q Persons decision এ প্রতিটা দেশ চলে, এখানকার এমন লোকগুলো ই রাজনৈতিক নেতা, এজন্য পাকিস্তান ভেঙে বাংলাদেশ হয় আর বিশ্বে মোট খাবারের ২৫% গম সরবরাহ করা দেশ ইউক্রেনের এমন পরিণতি হয়! পাকিস্তান বাংলাদেশ ইউক্রেনের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন খুব সহজ ভাবে!