লেখকঃ অথই নূরুল আমিন
গত বছরের জুলাই আন্দোলন থেকে বতর্মান পর্যন্ত দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে চরমে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত প্রতিদিনই চলছে কাদা ছড়াছড়ির মত ঘটনা। রাজনৈতিক ভাবে এরকম তর্কাতর্কি এবং মতবিরোধের কারণে। সমগ্র দেশ জুড়ে চলছে নানারকম অসামাজিক কার্যকলাপ।
বেড়ে চলছে খুন গুমের মত ঘটনা। প্রকাশ্যে দিবালোকে লুঠপাট ও মারামারিসহ অপ্রীতিকর হাজারো ঘটনা। ৫ আগস্টের পর থেকে মনে হচ্ছে দেশে কোন সরকার নেই। যারা বিভিন্ন পদে আছেন। তারাও কঠিন ভাবে কোন পদক্ষেপ নিতে পারছে না বলে মনে হচ্ছে।
বতর্মানে সবচেয়ে বড় ঘটনা হলো রাজনৈতিক অস্থিরতা। এখানে দেখছি কেউ কাউকে আর মান্য করছে না। কলেজ পড়ুয়া কিছু ছেলে মেয়েরা যখন তখন মিছিল বা মিটিং করছে। তাদের যা খুশি তাই বলে যাচ্ছে। আজকে যেন সিনিয়র জুনিয়র বলতে কোন কিছুর প্রার্থক্য দেখছি না।
এদিকে সারাদেশ জুড়ে স্থানীয় সরকারের জনবল নেই বললেই চলে। মেম্বার চেয়ারম্যান সহ অনেকেই অফিস করছে না। যার ফলে নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে অসংখ্য জনগণ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কোনোভাবেই সামাল দিতে পারছে না দেশের বিভিন্ন সমস্যা। এই বিশাল জনগুষ্টির বিভিন্ন চাওয়া পাওয়াও আজকে অধরা। এগুলো বিষয় নিয়ে দেশের ছোট বড় রাজনৈতিক দলগুলার উচিৎ বর্তমান সরকারকে সহযোগিতা করা। বর্তমান সরকারের ভুলগুলো ধরিয়ে দেয়া।
বতর্মান সময়ে ঢাকা শহরে বসবাসকারী জনগণের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো যানজট। ঢাকা শহরের এই যানজট যেন সমগ্র ঢাকা বাসীর জন্য দোযখ সম। বতর্মানে এক ঘন্টার পথ তিন ঘন্টায় ও যাওয়া যায় না। এই প্রকট যানজটের জন্য শহরে থাকা জনগণ যেমন ভূক্তভোগী। তেমনি শহরের বাহির থেকে আসা ব্যবসায়ীরা আরো বেশি ভূক্তভোগী। যার ফলে সারা দেশ জুড়ে বাণিজ্য ঘাটতি হচ্ছে। বিশেষ করে লক্ষ লক্ষ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা লোকসানী হচ্ছেন।
দেশের অর্থনৈতিক সচ্ছল করতে হয়তো দ্রুত জাতীয় নির্বাচন দেয়া প্রয়োজন। নতুবা জাতীয় সরকার গঠন প্রয়োজন। এছাড়া যেকোনো মূল্যে বেকারত্ব কমাতে হবে। দেশের বড় একটি সমস্যা বেকারত্ব। এই বেকারত্ব থেকেই বেশিরভাগ মানুষজন আয়ের পথ খুঁজতে গিয়ে মন্দ কাজে জড়িয়ে যায়। যার ফলে নষ্ট হয়ে যায় অসংখ্য প্রতিভা। নষ্ট হয় অসংখ্য স্বপ্ন। নষ্ট হয় অনেক বাবা মায়ের আশা ভরসা। আশাকরি বর্তমান সরকার উল্লেখিত বিষয় গুলোতে সুনজর দেবেন।
অথই নূরুল আমিন,
কফি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।