জহিরুল ইসলাম ইসহাকী।
================
স্বাধীনতা কোনো দয়ার দান নয়, কোনো ক্ষমতার দাপটেও আসেনি এই মুক্তি।
এটি এসেছে লাল-সবুজের মাটির বুক চিরে, শহীদের রক্তের বিনিময়ে।
এখানে প্রতিটি ঢেউয়ের গর্জনে, প্রতিটি বাতাসের স্পন্দনে উচ্চারিত হয়—
এই ভূমি স্বাধীন, এই ভূমি মুক্ত, এই ভূমি স্বৈরাচারকে কখনোই জায়গা দেবে না!
যে ভূমির বুকে সূর্য ওঠে রক্তের সিঁড়ি বেয়ে,
যে মাটিতে শুয়ে আছেন অকুতোভয় বীরেরা,
সেই মাটিতে কখনো স্বৈরাচারের বিষাক্ত ছায়া পড়তে পারে না।
স্বাধীনতার শপথ যার প্রতিটি গাছের পাতায়,
গানের সুরে, শিশুর হাসিতে, কৃষকের মাঠে,
সেই মাটিতে কি কখনো স্বৈরাচার টিকে থাকতে পারে?
তুমি জানো না, শাসকের কণ্ঠ যতই কঠোর হোক,
প্রতিবাদী কণ্ঠরাও ততটাই দুর্বার হয়ে ওঠে।
জালিমের হাতে যতই দমন-পীড়ন থাকুক,
স্বাধীনতার মশাল কিন্তু একবার জ্বললে আর নেভে না!
একাত্তরের কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, জনতা
রক্ত দিয়ে এঁকেছে যে স্বাধীনতার ছবি,
সেই ছবির রঙ মুছিয়ে দেবে কে?
স্বৈরাচারের রক্তচক্ষু ভয় পায় না এই দেশের সাহসী যুবকেরা।
তারা জানে, অন্যায় কখনো টিকে থাকতে পারে না,
বুকের রক্ত ঢেলে দিয়ে হলেও তারা রুখে দাঁড়াবে,
প্রতিরোধের পাহাড় গড়ে তুলবে শহর থেকে গ্রামে,
আকাশ-বাতাস কাঁপিয়ে বলবে—
স্বৈরাচার নিপাত যাক! এই ভূমি কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নোয়াবে না!
যতদিন পদ্মা-মেঘনা-যমুনার ঢেউ বয়ে চলবে,
যতদিন এই মাটি কথা বলবে বাংলায়,
ততদিন স্বৈরাচারের জন্য এই মাটিতে কোনো জায়গা হবে না।
এই মাটি আমাদের, এই স্বাধীনতা আমাদের,
আমরা জানি কীভাবে রক্ষা করতে হয় আমাদের অধিকার।
স্বৈরাচারের কালো হাত ছিঁড়ে ফেলে,
আমরা এগিয়ে যাবো সাহসের আলোয়, মুক্তির পথে!
স্বাধীনতা অমর, জয় ছাত্র জনতা।