লেখক: শফিকুল ইসলাম সোহাগ
===================
সাহিত্য শিল্প এক ধরনের মানবিক ক্রিয়া। একজন সাহিত্যিক সচেতনতার পাশাপাশি শিল্প সমাজকে গভীরভাবে উপস্থাপন করেন।তাই লেখকের আদর্শিক জায়গাটা হওয়া উচিত সৎ। তা না হলে সৃষ্টির সৃজনশীলতা আসবে না।
অনুভূতির বিতর্কিত অধ্যায় দিয়ে ভালো কিছু আশাও
করা যায় না। বরং নির্বুদ্ধিতায় বটে।
আজ বুদ্ধিদীপ্ত সৃজনশীল লেখকদের যখন দেখি ঘোলা রাজনৈতিক ব্যক্তিরা তাদেরকে কুক্ষিঘত করে রেখেছে। তখনি হাজার প্রশ্নবিদ্ধতার দেয়াল তৈরি হয়।সুবিধাবাদি চরিত্র দরজায় কড়া নাড়ে। আপস করেন অপরাধ চক্রের কাছে। বিকিয়ে দেন তাদের আত্মসম্মান।
তেলবাজি আর আপসকামি চর্চা দিয়ে ভবিষ্যত আশা করা বোকামিই বটে।
মূলত স্বকীয় নিঃশ্বাসে স্বস্তির বিশ্বাস তৈরি করে পথ চলতে হবে আমাদের।নিবেদিত প্রানের সমস্ত মেধাবীরাই সৃজনশীল দুয়ারে শ্লোগান দেন। মানবিকবোধের প্রখরতায়।
কিন্তু আজ সাহিত্য মননে নৈতিকতা নেই।মিথ্যার ফ্যাসাদে নোংরা হয়ে গেছে মানসিক অবস্থা। আজ লেখকগণ নিজস্ব স্বত্ব বিক্রি করে দিচ্ছেন।
ভবিষ্যত কেমন পৃথিবী চাই তা চিহ্নিত করেন সাহিত্যিকগণ। প্রগতিশীল পথে পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় সীমাবদ্ধতাকে ভেঙে ছুঁটেন তারা। সুন্দর মন ছাড়া সাহিত্য হয়না। সফলতাও আসে না।
শুধু সাহিত্য রচনা করলেই হয়না বরং তা প্রায়োগিক ব্যবহার একান্ত দরকার।স্বার্থক শিল্পকর্মে আসে শক্তিমান কিছু এবং উন্নত কিছু।রচনাশিল্পের মান,সম্মান, বিবেক সম্পূর্ণ আলাদা।তারা জাতিকে দিক নির্দেশনা দেন। তরুণদের দেখান উজ্জীবিত স্বপ্ন আলো।তারাই সভ্যতার সুন্দরের বার্তাবাহক।জাতি রাষ্ট্রকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করেন।খুলে দেন সফলতার চাবিকাঠি।
মনের উৎকর্ষ সাধনের মধ্য দিয়ে প্রেরণা ও উৎসাহ তৈরি করেন।চুলছেরা ভাবানুভুতির অনন্য বিশ্লষণে তৈরি করেন অন্তরাত্মার শক্তি।করেন রহস্যময় আবিষ্কার।কল্যাণবোধের সৌখিনতা নিয়ে নৈতিকতার পিরামিড তৈরিতে গড়েন প্রতিচ্ছবি। এখানেই সহজ জীবনের বন্ধনা এবং মূল্যায়নের প্রদীপ্ত আলোকময় সম্ভার।
সৃষ্টির বিকাশের এই ফাগুনেই তরুণদের নিয়ে ভাবনার সময় এসেছে।ভাবতেই হবে আগামীর জন্য। চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবো রক্তের দাগ শুকিয়ে যায় কেমনে। তবেই সুন্দর প্রচ্ছদের ছবিটি মুক্তি পাবে আমাদের হাতের নাগালে। আলোক জলমলের সুশ্রীরা নৃত্যগীতে সাজাবে হৃদয়ের বাঁক, সুবর্ণরেখায়।
একটা শক্তির অর্গানাইজড আমাদের প্রয়োজন।সুহৃদগণের মহাসড়ক হবে আরো শক্তিশালী।
মাপকাঠির বিচারে গঠিত হবে অপূর্ব বিশ্বাস অনির্বাণ।জয়লাভ আসবে সুন্দর ছুঁয়ে।আজকের বক্তব্য শোভাবর্ধন হবে ভোরের ছবি। তিরস্কারবিহীন একটি প্লাটফর্ম নির্মাণ সময়ের দাবি।
ধ্যান এবং আয়ুর যাতাকলে আমরা মানুষ মুখোশের আড়ালে সৃষ্টি গড়ি।প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত করি বর্ণরেখার অগ্রসরমান আলো। যে আলোতে চোখ পরখ করে মানসের গল্প। সর্বগ্রাসী মেঘ শাখায় রোদের দুপুর।প্রতিদন্ধীতার সৌখিন সখ্যতা গড়ে উঠে একটি কালের রকমফের। সুন্দর করে সাজানো উদ্যানে ফসল বাজার বসে। তারুণ্যের উচ্ছ্বাস প্রকাশে।
অখন্ড শক্তি মান সম্মত মৃত্তিকা ছুঁয়ে আসে বহুজনের বিস্তৃত পরিসরে। অভিনন্দন বার্তায় আগামীরা সৃজনশীল সমাহার টাহর করে বিকাশমান প্রদর্শনে ।ঐতিহ্যের অনুসন্ধানী চোখ।
মহাসড়ক আপনালয়ে খোঁজে উর্বর জমিন।
আজ মানেই আগামীকাল।যুগপৎ ভাবের সন্নিবেশ একজন তরুণের আবেগহীন হলে হবেনা। ভেতরে একটা গহিন আবেদন থাকা জরুরী ।শৈলীর সৌন্দর্য অনুধাবন শক্তির সরলতার অপূর্ব কারিশমার সূক্ষ্ম মোচড় থাকার স্বাভাবিকতার নামই স্বপ্নচর তরুণ।
উপলব্ধির পাহাড় খুঁজে যেতে হয়।
কৃত্রিম খোলস পাল্টে দ্বান্দ্বীক রহস্যকে ছুঁড়ে ছান্দসিক মেলবন্ধনে আগাম সুতীব্র অনুপ্রয়াসেই অবস্থান করা জরুরী।মনে রাখতে হবে পরিশ্রমলব্ধেই দুর্বোধ্যের নির্মাণ সহজ হয়।
একটা সুললিত কণ্ঠস্বর বিরক্তির রোদকে সরিয়ে দেয়।জাগ্রত করে অনন্তর সুন্দর ।প্রকাশের মহিমায় থাকে সুবুদ্ধিপূর্ণের জ্বলোচ্ছ্বাস।অক্ষরের আলোয় শিল্প সাধনায় সুনাম কুড়ায় নতুনত্বের। এক আবাহনি সুস্পষ্টরূপের সিদ্ধতা।
দায়সারা মগজে কখনো গ্রহণযোগ্যতা আসেনা। সীমিত পরিসর থেকে উঠে আসতে হবে। জীবনাঙ্গনে সুদূরপ্রসারী অবস্থানে পৌছতে হলে গড়তে হবে সহজ সমাধানের পথ।
ব্যক্তি, সমাজ এবং রাষ্ট্র নির্মাণের চেষ্টা থাকাই তরুণদের অসাধারণ হয়ে ওঠার মহাসড়ক।