বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৪ অপরাহ্ন

শেষ হয়ে গেলো আওয়ামিলীগ!

Coder Boss
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১২ নভেম্বর, ২০২৪
  • ২৪ Time View

লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।।

মাওলানা ভাসানী, সোহরাওয়ার্দী, মাওলানা তর্কবাগীশ, নবাবজাদা নাসরুল্লা, মুজিবের হাতে তৈরি “আওয়ামীলীগ” নামক রাজনৈতিক দলটা ১০ই নভেম্বর ২০১৪, সমাবেশের নামে জিরোতে পৌঁছে গেলো!কে সেই আওয়ামী নেতা ১০ই নবেম্বর ঢাকায় সমাবেশ ডাকলো? কি তার পরিচয়? কার নির্দেশে এমন ভাবে এত বড় পতনের পর ঘর না গোছায়ে সমাবেশ ডাকলো!? না-কি এখানে ও Over Political game খেললো সুচতুর জ্ঞানী গুনী মাহফুজ সাহেবরা, আওয়ামীলীগ কে চিরতরে হত্যা করতে এবং সমন্বয়ক — বিএনপি — জামাত যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব চলতেছিলো তা আওয়ামীলীগ সমাবেশ ঠেকাতে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার কূটকৌশল ছিলো এই আওয়ামী সেজে সমাবেশের ডাক?
হ’তে ওতো পারে! যে ছাত্র শিবির বছরের পর বছর ছাত্রলীগের এক লেপের নিচে ঘুমিয়ে বেড়ে উঠছে এবং সময় মত কয়েক বছর পর আস্তিন থেকে খঞ্জর বের করে সরকারের পিঠে বসিয়ে দিয়েছে তারা এমন পরিকল্পনা করতে পারে বৈকি? এমন দল এবং দলীয় সরকার যার কোন অর্গান কাজ করে নাই, কাজ করে নাই গোয়েন্দা সংস্থার কোন শাখা!

লেখক, সাংবাদিক হিসাবে দেখতে গেলাম জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পরিবারের লোকদের না জানিয়ে! আওয়ামী অফিস গুলিস্তান টু জিরো পয়েন্ট “শহীদ নূর হোসেন চত্বরে”, কোন আহম্মকের দল না হলে একলক্ষ লোকের সমাগম না করতে পারলে কেন সমাবেশ ডাকবে? কোথায় আওমী মুক্তিযোদ্ধা লীগ, পঙ্গু মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন, নারী আওয়ামী সংগঠন, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, তাতী লীগ, মৎস্য লীগ, শ্রমিক লীগ, সাংস্কৃতিক লীগ? কোথায় ৩৬৫ জন সাংসদ, তাদের কামাই করে দেয়া পুতেরা, কোথাও পেলাম না ৬৪ জন জেলা আওয়ামী সভাপতি, ৬৪ জন জেলা চেয়ারম্যান, ৪৯৫ জন উপজেলা চেয়ারম্যান, ৪৫৭৮ জন নৌকা প্রতীকের পাশ করা চেয়ারম্যান যারা সবাই কোটিপতি!
আওয়ামী নেত্রী নিজ পরিবার থেকে ৮ জন সাংসদ তৈরি করেছেন, যুবলীগ সভাপতি পরিবারের একজনকে করেছেন,মেয়র ছিলেন পরিবারের একজন তারা কেউ জনগণের নেতা হয়ে জনগণের প্রতিরোধে দাড়াতে পারলেন না কেন? তাদের আত্মগোপনে থেকে সবার প্রচেষ্টায় একলক্ষ লোক কেন জোগাড় হলো না নূর হোসেন চত্বরে? বরং ভয় ভেঙে দিলেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের যারা ভাবতো আওয়ামীলীগ একদিন আসবে প্রলয়ঙ্কারী জলোচ্ছ্বাস হয়ে হারিকেন রূপে! রোডে দেখলাম ছাত্র দল, বিএনপি, জামায়াত মিছিল!
এই দলে দু’জন মাওলানা সভাপতি ছিলেন, একটা দেশের স্বাধীনতার স্থপতির দল এই আওয়ামীলীগ, যিনি লাহোর সন্মেলন থেকে ইত্তেফাকের তোফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়াকে নিয়ে ভিন্ন মুদ্রা, ৬টা অঙ্গ রাজ্যের আয় ব্যয় আলাদা, কেন্দ্রের হাতে থাকবে শুধু প্রতিরক্ষা ও বিদেশনীতি! এমন মুজিব প্রস্তাব লাড়কানার ভুট্টা সহ উত্তর পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশের সীমান্ত গান্ধী খান গফ্ফার খান ও সমর্থন করেছিলেন, কিন্তু পাঞ্জাবি মিলিটারি শাসক মেনে না নেয়ায় মুজিব বেরিয়ে আসেন সভা থেকে! এমন ইস্পাত কঠিন সাহসী বক্ষের লোকদের হাতের আওয়ামীলীগ শেষ হলো যাদের দ্বারা তাদের ইতিহাসের কাছে একদিন জবাবদিহি করতে হবে! আমি সেদিন থাকবো না, বাংলাদেশ থাকবে, বাঙালি থাকবে যদি দেশ কোন বেনিয়ার হাতে চলে না যায়!

পয়সার বিনিময়ে হাইব্রিড আওয়ামী নামের দল ভর্তি হয়ে গেছে এমন লেখালেখি আমি সহ অনেকে করেছে অনেক বার, কে-বা আঁখি মেলে, সবার ঘাড়ে টাকার থলে!
প্রিয় পাঠক, আমার চোখের সামনে একজন শিবির ক্যাডার পুলিশ বিরক্ত করে বলে গটা দুই তিন বান্ডিল দিলো আওয়ামী সভাপতি কে এবং সমপরিমাণ দিলো উপজেলার ওসি সাহেব কে, পাক্কা আওয়ামীলীগার হয়ে গেলো! একজন সাংসদের সাথে নিয়ে পরিচয় করায় দিলো, সাংসদের ছবির পাশে নিজ ছবি দিয়ে ব্যানার ফেস্টুনে এলাকা ভরে গেলো! এমন ভাবে কি আওয়ামী কিছু লোক বিএনপি বা নাগরিক শক্তির সদস্য হয়ে যাচ্ছে? তবে জামাতে ঢুকতে পারবে না তা হলফ করে বলা যায়!

প্রিয় পাঠক, কিছু আওয়ামী আহাম্মক, তাদের নেত্রীর ছবি দিয়ে, বঙ্গবন্ধুর ছবি দিয়ে ফেজবুক আইডি খুলে আবোলতাবোল লিখছে আর পূর্বের মিছিলের কাট পিস লাগিয়ে পোস্ট দিচ্ছে, যদি কোনদিন আওয়ামী লীগ ফিরে আসে, বলতে পারবে, আমি জীবন দিয়েছি বিপদের সময়! আসলে তারা সবচেয়ে বড় ক্ষতি করছে স্বাধীনতা আনা দলটার!
সব শেষে বলতে চাই, এই দলের ধারাবাহিক মহাসচিব ছিলেন শামসুল হক (টাঙ্গাইল), মুজিব, তাজউদ্দীন, যারা ছিলেন অকুতোভয় দুঃসাহসী সৈনিক যারা টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া হেঁটে যেতে পারতেন যে কয়মাস লাগুক, মাওলানা ভাসানী বলেছিলেন ন্যাপের সভাপতি থাকাকালীন, “মুজিবরের মত সেক্রেটারি ও পাবো না আর রাজনৈতিক দল করেও শান্তি পাবো না”, নিজ সাইকেলে চড়ে নারায়নগঞ্জ যেয়ে ভাসানীর দেয়া বাস ভাড়া আট আনা আবার ভাসানী সাহেবের হাতে ফিরে এসে ফেরত দিয়েছিলেন “মুজিব”, যার মাথায় আজ আমরা প্রসাব করি!
প্রিয় পাঠক, এমন দলের “নেত্রীর চয়েজে” জেনারেল সেক্রেটারি হিসাবে “ওবায়দুল কাদেরের” মত লোক “One of the worst” তাই এই পরিণতি! এমনি দীপু মণি, মোজাম্মেল হকরা যেন অপরিহার্য হয়েছিলো শেখ হাসিনার কাছে!

ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন! ধর্ম পালন করেন আন্তরিকতা নিয়ে লোক দেখাতে নয়!

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102