লেখকঃ অথই নূরুল আমিন
বাংলাদেশটাকে সাজাতে হবে। বতর্মান প্রজন্মের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে এবং আগামী প্রজন্মের জন্য আলোকিত সুন্দর সমাজ গঠন করতে হবে। সুন্দরভাবে সমাজ সাজাতে একমাত্র ইসলামী মনা রাজনৈতিক দলগুলার নেতৃত্ব আজকে অনেক বড় প্রয়োজন। তাদেরকে এককভাবে ক্ষমতায় আনতে হবে। সকলের ঐক্যবদ্ধ হতেই হবে।
গত তিন যুগ ধরে যারাই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। তারা সবাই মিশ্র প্রক্রিয়া সৃষ্টি করে রেখেছিল গোটা সমাজে। যার ফলে সমাজের শান্তি – শৃঙ্খলা আজকে বিনষ্ট হয়েছে চরমে। বিশেষ করে গত দেড় যুগ ধরে,প্রতিদিন গড়ে তিনত মন্দ খবর নিয়ে আমাদের দেশের সংবাদপত্র গুলো প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় কারণ হলো ডান পন্থী দলগুলো ক্ষমতায় থেকেছে বলে। আর বাম পন্থী দলগুলো তাদেরই সহযোগী ছিল সারাজীবন।
যার ফলে দেশে প্রকৃতপক্ষে ইসলামের আইন, ইসলামের আদব, ইসলামের মননশীলতা সমাজের মানুষের কাছে খুব গভীরে পৌঁছনো যায়নি। ডান পন্থী দলগুলো, তারা সবসময় দেশের সিংহভাগ জনগণের অর্থ সংকট, বেকারত্ব, এবং কর্মহীনতা বাড়িয়ে রাখার ফলে, সমাজে অসামাজিক কার্যকলাপ গুলো সবচেয়ে বেশি হচ্ছে। কথায় আছে ক্ষুধার্থ মানুষেরা সবসময় পথ ভ্রষ্ট থাকে। এবং সহজেই তাকে মন্দ কাজে লিপ্ত করানো সম্ভব। অনাহারীরা আপন থেকেও খারাপ কাজে জড়িয়ে যায়।
ডান পন্থী দলগুলো মনে করে তাদের জন্য সমাজের একটা বড় অংশ গরিব থাকা চাই, গরিব একটা বড় অংশের সমাজ চাই। যখন তখন যেন তারা ডাক দিলেই সামান্য টাকার বিনিময়ে মিছিল মিটিংয়ে লোক পাওয়া যায়। এদিকে বাম পন্থীরা মনে করে, দেশে যত অভাব থাকবে বিদেশী অনুদান ততই বেশি আসবে। বিদেশী সহযোগিতা ততই বেশি আসবে। এই ধরনের হীনমনা চিন্তার কারণে স্বাধীনতার এত বছর পরেও আমাদের সমাজে মাত্র পনেরো ভাগ পরিবার ধনী।
প্রিয় পাঠক, লক্ষ্য করে দেখবেন। এই পনেরো ভাগ পরিবার তারা প্রায় সবাই ডান পন্থী অথবা বাম পন্থী রাজনৈতিক দলের কর্ণধার বটে।
এই ধরনের চিন্তা চেতনা থেকে যারা বিগত সময়ে রাষ্ট্র চালিয়েছে। তারা দেশের জন্য তথা গোটা জাতির জন্য মহা ক্ষতির কারণ ছিল। এছাড়া পশ্চিমা ব্যবসায়ীরা সবসময় ডান পন্থী এবং বাম পন্থী রাজনৈতিক দলগুলোর সমর্থন দিয়ে থাকে। যেমন অর্থ ব্যয় করে। তেমনি পশ্চিমা বড় বড় মিডিয়া গুলোকেও ব্যবহার করে থাকে। তাদের পক্ষে।
বিশেষ করে পশ্চিমা ব্যবসায়ীরা এবং পশ্চিমা সরকার গুলোও ডান পন্থী এবং বাম পন্থী দলগুলো নিয়ে আড্ডায় মেতে উঠে। এখানে তাদের মোটা অংকের লাভ রয়েছে। অথচ বিশেষ করে বাংলাদেশে প্রায় ৯৫% মুসলমান থাকা সত্বেও ইসলাম পন্থী দলগুলো বিগত চুয়ান্ন বছরেও এককভাবে রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসতে পারেনি। ইসলাম পন্থী দলগুলো ক্ষমতায় না আসার কারণে, আমরা জাতিগত বিভাজন হয়েছি। ভাইয়ের শত্রু হয়েছে ভাই। আত্মীয়র শত্রু হয়েছে আত্মীয়। এক প্রতিবেশির শত্রু আরেক প্রতিবেশি হয়েছে। এখানে কিছু না বুঝেই আমরা নিজেরাই নিজেরার প্রতিপক্ষ আজকে।
যার ফলে সামাজিকভাবে সৌন্দর্য নষ্ট হয়েছে চরমভাবে। আমাদেরকে জাতিগত বিভাজন করে দিয়েছে মিথ্যা তথ্য দিয়ে। ফায়দা লুঠছে কিন্তু এক শ্রেণির বিদেশীরা । মাঝখানে আমরা প্রায় সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি কোন না কোনভাবে।
আসুন আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে। ৯৫% ভাগ মুসলমানদের দেশে ইসলামী দলগুলোকে ক্ষমতায় আনার জন্য ঐক্যবদ্ধ হই। হোক দেশে ইসলামী শাসন। ইসলামী দলগুলো নিয়ে পশ্চিমা মিডিয়ার মিথ্যা প্রচারে কান না দিয়ে আমাদের সমাজ আমরা সুন্দর করি। আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর সমাজ উপহার দেই। বন্ধ করি রাজনৈতিকভাবে দুর্নীতি। বন্ধ করি প্রতিহিংসার রাজনীতি। আগামী নির্বাচনে ইসলামী দলগুলোর প্রতি ভরসা রাখি। গোটা জাতি সাবলম্বির স্বপ্ন দেখি।
অথই নূরুল আমিন,
কবি কলামিস্ট ও রাষ্ট্র বিজ্ঞানী।