সোমবার, ১০ মার্চ ২০২৫, ০৯:৩১ অপরাহ্ন

সোনায় সোহাগা

Coder Boss
  • Update Time : সোমবার, ১০ মার্চ, ২০২৫
  • ৪ Time View

লেখকঃ ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।

বিশ্বে কোন দেশের কাছে কত সোনা জমা আছে? আমি আপনাকে বিশ্বের ১৯৬ টা দেশের স্বর্ন মওজুদের পরিমান বলতে পারবো কিন্তু আপনি অধৈর্য হবেন কারন এমনি ছাত্র জীবন থেকে পড়াশোনা একটা কষ্টকর বিষয় মনে করেন তাই বাবা-মা সন্তানদের আদর স্নেহ বকা গালি দিয়ে পড়ার টেবিলে বসান! এখন তো আর তারা তা করেন না, কারো বাবা-মা গত হয়েছেন, কারো বাবা-মা সেই ধমক দেয়ার অধিকার হারিয়েছেন ! আপনি এখন ও সেই মানসিকতায় আছেন, পড়াশোনা আপনার কাছে কষ্টের বিষয়, মাটি কাটবেন কিন্তু পড়াশোনা করবেন না, ফেজবুকের বদৌলতে আপনার মুখের কাছে কবিতা, রাজনৈতিক সামাজিক আর্টিকেল এসে যায় কিন্তু আপনি ছাত্র জীবন চরিত্র ছাড়তে পারেন নাই, কে পড়ে, জেনে কি লাভ?
যদি পড়ার কষ্টে স্কুলে না যান, হ্যা আর একটা পথ আছে, রাজনীতি করা! আপনি মাস্তান হতে পারেন, হাত-পা রগ কাটতে পারেন, মানুষ খুন করে খুনি হতে পারেন, আপনার কদর আছে! যদি এলাকার সাংসদ ভালোমানুষ হোন, আপনার ঘাড়ে হাত রাখবেন, সেই ছবি ফেজবুক টুইটার ব্লগ পত্রিকায় দিবেন, আপনি হয়ে গেলেন নেতা! এরপরে যদি কোন সামরিক সরকার দেশে এসে নতুন দল করেন, লেগে গেলো জুয়া! আপনার মত হাত-পা কাটা খুনখারাবি করা লোক তারা খুঁজবেন এবং সাংসদ হতে আপনাকে কে ঠেকায়! শোনেন নাই কবিতা, “লেখাপড়া করে যে গাড়ীর নিচে পড়ে সে!” !
অথবা কর্ম জীবনে এসে আপনি হয়তো অত্যাধিক পড়ুয়া হয়েছেন, আফসোস করেন, “তখন যদি মন দিয়ে পড়াশোনা করতাম, ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, অধ্যাপক বা চার্টার হতাম, কেরানি হতে হতো না! সে যাক —

প্রিয় পাঠক, এতক্ষণ কিছুটা সাহিত্য রস নিংড়ালাম, আপনাকে ধাতস্থ করার জন্য। পড়বেন, সিংগাড়া কাগজে মুড়িয়ে যদি অফিস পিয়ন এনে দেয় তা ও পড়ে দেখবেন পেলে ও পেতে পারেন অমূল্য কিছু আর যদি অফিসের বড় স্যার হন ঠেলায় পড়ে অনেক পড়তে হয়, সিংগাড়া এনে খেতে পারবেন না! ইজ্জতে বাঁধবে ! বড় সাহেব সিংগাড়া পেয়াজ কাঁচা মরিচ কাগজে মুড়ি আনায় খেতে পারে না, এসি রুম, দারুন চেয়ার —

স্বর্ন মওজুদ সে দেশের economy strength বুঝা যায়! আপনার দেশ, মানে বাংলাদেশের স্বর্ন মওজুদ মাত্র ১৪ টন! এমনি তার আপন ভাই পাকিস্তান প্রায় কাছাকাছি, সর্বোচ্চ স্বর্ন মওজুদ আমেরিকা – ৮১৩৩ টন, জার্মানি – ৩৩৫৫ টন, ইতালি — ২৪৫২ টন এরপরে রাশিয়া চীন সুইজারল্যান্ড যথাক্রমে ভারত নবম! এসব আইএমএফ রিপোর্ট। স্মর্তব্য, কোন কোন দেশ স্বর্ন মওজুদ কম হলেও স্বর্নের বাবা আছেন, তেল-গ্যাস ইউরেনিয়াম মিনারেল, যেমন রাশিয়া!

প্রিয় পাঠক, আমার উদ্দেশ্য কোন দেশ কত ধনী তা দেখানো না! আমার উদ্দেশ্য জার্মান বা ইতালির যে পরিমান স্বর্ন স্টেট ব্যাংকে জমা আছে সে পরিমান স্বর্ন বিশাল জন সংখ্যার ভারতে নারীদের পরিধানে আছে! বিশ্বাস করুন গহনা হিসাবে যত স্বর্ন এশিয়ায় ভারতের নারীরা ব্যবহার করেন, আর কোন দেশে এত স্বর্ন গহনা ব্যবহার করে না! কোন কোন মহাদেশের নারীরা স্বর্ন ই ব্যবহার করেন না! মুসলমান বা হিন্দু দেশের নারীরা স্বর্নলংকার বিশাল আনন্দে ব্যবহার করেন!
ভারত বহু জন সংখ্যার দেশ তাই তাদের দেশের স্টেট ব্যাংক মওজুদ স্বর্ন ছাড়া মহিলাদের ব্যবহরীত স্বর্নের পরিমান বিশ্বে স্বর্ন মওজুদ তালিকায় তৃতীয় স্হান অধিকারী ইতালির থেকে-ও বেশী! ভারতের গায়ক সুরকার বাপ্পি লাহিড়ী স্বর্ন হহনা ব্যবহার করতেন, তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়ে ৬৯ বছরে পথচলা শেষ করেছেন। তার ব্যবহারিত স্বর্নের পরিমান ছিলো প্রায় এক কেজি!
সোনায় সোহাগা কেন বলেছি একটু খোলসা করে বলি! ১৯৭১ সাল থেকে আমরা ভারত বিদ্বেষী, কারন বাংলাদেশ স্বাধীনতায় ভারত বিশ্বযুদ্ধের ঝুঁকি নিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে স্বাধীন হতে সাহায্য করেছিলো। অর্থ অস্ত্র খাদ্য এককোটি শরনার্থী আশ্রয় সহ সরাসরি যুদ্ধ তাদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়া হবেছিলো কারন বিনা নোটিশে আমাদের পিতৃ রাস্ট্র পাকিস্তান ভারতের ৮ টা বিমানঘাঁটি আক্রমণ করে এবং তারপর —-

স্বাধীনতা পেলাম, বাঙালি সর্বোচ্চ কর্নেল হতে পারতো, একমাত্র ওসমানী সাহেব কর্নেল হয়ে ছিলেন, বাংলাদেশ হলে সব অফিসের বড় সাহেব বাঙালি, আমার ছাত্রজীবনে পশ্চিম পাকিস্তানের অবাঙালী প্রিন্সিপাল ছিলেন, কয়েকজন শিক্ষক ছিলেন ডিপার্টমেন্ট হেড অবাঙালী! সেনা বাহিনীর পোয়াবারো বাংলাদেশ হওয়ায়, মেজর, মেজর জেনারেল স্বঘোষিত অনেকে হলেন তবে ফিল্ডমার্শাল হতে পারেন নাই সেটা অন্য বিষয়।
কেন আমরা ভারতকে ঘৃনা করি, কেন ভারত বিরোধী?
ভারত আমাদের বেহেশতে যাওয়া বন্ধ করেছে! পাকিস্তান মানেই ইসলাম, পাকিস্তান অর্থ পবিত্র স্হান তা থেকে যে বা যাহারা ভাই থেকে আলাদা করেছে ঘৃণা তব দোহে!

ভারত সম্প্রতি স্বর্ন খনি পেয়েছে, ভারতের মোদির বন্ধু ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার রাশিয়ার পূতিন ! তা কি করে সম্ভব? হ্যা ট্রাম্পের তিনি দোস্ত আর পূতিন তাকে মাত্র দুই চারদিন আগে (S – 400 বিক্রি করেছে ২০১৮ সালে) আবার এখন তাকে সেই প্রযুক্তি দেয়ার প্রস্তাব দিয়েছেন! আমেরিকা ইউরোপ চীন তুরস্ক যুদ্ধ বিমান ট্যাঙ্ক বিক্রি করে কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং দেয় না। S — 400 এক মাত্র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্হা যা একটা সরিষা ও দেখতে পায় এবং মাটিতে পড়ার আগে ধ্বংস করে দেয়। তা আছে শুধু ভারত তুরস্ক ও সিরিয়ার কাছে! ভারতকে টেকনোলজি দেয়ার প্রস্তাব কল্পনা করা যায় না! আল্লাহ যাকে দেয় তাকে ছাপ্পর ফেড়ে দেয়! তাতে কিছু যায় আসে না, আমরা পাকিস্তান ভাইদের সাথে থাকবো, বিনা হিসাবনিকাশে বেহেশতে যাবো, প্রয়োজনে ৮০০ টাকায় এক কেজি আটা ১৩০০ টাকায় কেজি গরুর গোশত খাবো !

ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন!

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024 Coder Boss
Design & Develop BY Coder Boss
themesba-lates1749691102