আজ ২৫ শে মার্চ, কাল ২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস! আজ অপারেশন সার্চলাইটের নামে বাঙালি নিধন শুরু হয়! রাজধানীতে ই ১০ হাজারের উপর বাঙালি হত্যা করে, খুলনা রাজশাহী চাটগাঁ একসাথে এ হত্যা চালু করে পাক সেনারা!
কেন ২৬ শে মার্চ বাঙলাদেশের স্বাধীনতা দিবস? কারন
টুঙ্গিপাড়ার সেই পান্তা ভাত খাওয়া ছেলেটা ১২ বছর জেল-জুলুম ভোগ করে ১৯৭০ সালে জনগণের নির্বাচন এনে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েও বাঙালি বলে ক্ষমতায় বসতে পারেন নাই তাই তিনি ৭ ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানে কয়েক লক্ষ মানুষের সামনে চাতুর্যপূর্ন ভাবে পরোক্ষ স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলেন! কেন পরোক্ষভাবে স্বাধীনতা ঘোষণা করলেন, কারন তিনি জানতেন সরাসরি স্বাধীনতা ঘোষণা করলে মুজিব কে দেশদ্রোহী বলে পাঞ্জাবের অমৃতস্বরের “জানিওয়ালা বাগের” মত সভায় উপস্থিত সব জনগন কে হত্যা করবে এবং স্বাধীনতা বানচাল করে এতদিনের সংগ্রাম কে ভিন্ন
খাতে প্রবাহিত করে সব ধামাচাপা দিবে পাকিস্তান, কারন পিছে আছে আমেরিকা!
তিনি অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি পূর্ব পাকিস্তানকে পরিচালনা করতে থাকেন! তিনি সামনে কি হলে কি করবেন, কে কোথায় যাবেন, কার সাথে দেখা করবেন, এমনকি কর্নেল ওসমানী কে ৩২ নাম্বারে ডাকায় নিয়ে কথা বলেন! পাশাপাশি তিনি গনতান্ত্রিক ভাবে ইয়াহিয়া ভুট্টার সাথে আলোচনা চালিয়ে যান!
তিনি পাকিস্তানের ঘাড়ে দোষ রেখে স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন বিধায় ইপিআর ওয়ারলেসের সংযোগ বাসায় নিয়ে রাখেন! ২৫ শে মার্চ ভূট্টা ইয়াহিয়ার নির্দেশে “অপারেশন সার্চলাইট” নামে গনহত্যা শুরু করলে বিশেষ করে প্রথম আক্রমণ করে রাজারবাগ পুলিশ লাইন, পিলখানা ইপিআর, পুরাতন টাউন ও বিশ্ববিদ্যালয় হল গুলো। একযোগে এ আক্রমণ খুলনা,
চিটাগং, রাজশাহী চালানো হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আক্রমণ শুরু হলেই স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। যা “নিউইয়র্ক টাইমস” নিউজ করে এই বলে,” পাকিস্তানের বিরোধী দলের নেতা মুজিব স্বাধীনতা ঘোষণা করেছে (Mujib of Pakistan Proclaimed Independence of Bangladesh at –).
বঙ্গবন্ধুর ঘোষণা হুবাহু ছেপে দেয় নিউইয়র্ক টাইমস!
পাকিস্তানের “ডন” পত্রিকা একই ভাবে নিউজ ছাপায়!
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করতে আসা মেজর ও তার বাহিনী
বঙ্গবন্ধুর ঘোষণার শেষ অংশ শুনতে পান যা তিনি তার
লিখিত বই “The way it was” এ লিপিবদ্ধ করেছেন!
রাও ফরমান তার লেখা বই “How Pakistan got devided” লিখেছেন, “মুজিব রাত দেড়টায় গ্রেফতার হওয়ার আগে বাংলাদেশ নামে স্বাধীনতা ঘোষণা করে!
এ ঘোষণা পাকিস্তানের সাথে ‘গাদ্দারি’!
এ্যান্হনি তার বই ” The Rape of Bangladesh” ও এমন টা উল্লেখ করেছেন।
ইয়াহিয়া খানের পূর্ব পাকিস্তান প্রেস সেক্রেটারি ‘মেজর
সিদ্দিক সালিক তার বই “Witness of Surrender”
এ অপারেশন সার্চ লাইট ও বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা উল্লেখ আছে!
বৃটিশ লেখক Gray J Bus তার লেখা বই A forgotten
Genocide এ মাচ কিলিং এবং বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষণার কথা উল্লেখ আছে!
১৯৭২ সালের একটা দৈনিক পত্রিকা, “রবিবারের দৈনিক ” কে স্বাধীনতা ঘোষণার পেক্ষাপট উল্লেখ করে বঙ্গবন্ধুর ২৫ শে মার্চ লেট নাইট স্বাধীনতা ঘোষণার কথা
উল্লেখ আছে! “জিয়া” ১৯৭৪ সালে নিজে সাপ্তাহিক বিচিত্রা স্বাধীনতা সংখ্যায় একটা আর্টিকেল লিখেছিলেন, সেখানে তিনি বলেছেন, “জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব, বার বার এমন সন্মান দিয়ে লিখেছেন, এটা একটা দুর্লভ কালেকশন। জিয়া এও বলেছেন, ” বঙ্গবন্ধুর ৭ ই মার্চের ঘোষণায় আমরা এলার্ড
হই এবং প্রস্তুতি নেই! ” সেই পত্রিকায় জিয়ার পরিবার সহ একটা ছবিও ছাপা হয়!
১৯৭২ সালে স্বাধীনতার ইতিহাস লিপিবদ্ধ হয় তখন তো
জিয়া নিজেও বলন নাই, “আমি স্বাধীনতা ঘোষণা করেছিলাম”! A Tale of Milliners বইতে ‘মেজর রফিক ‘ জিয়াকে মুক্তিযোদ্ধা ই স্বীকার করেন নাই!
তিনি লিখেছেন, ” Zia was freedom fighter by chance! ” এই বইটা বাংলাদেশের সেরা ইংরেজি ভার্সন
এবং জিয়ার শাসন আমলে প্রকাশিত।
ভাল থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালবাসেন।
ইতিহাস জানুন, নিজ সন্তান কে জানান এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা শকুনির খাবলে খাওয়া থেকে
রক্ষা করুন !