লেখক: ইঞ্জিঃ মোঃ সিরাজুল ইসলাম।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় শক্তিশালী দেশ আমেরিকা! আমেরিকার প্রেসিডেন্ট “বিশ্ব মুরব্বি” সন্দেহাতীত ভাবে!
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দারুন অখুশি
দীর্ঘদিনের বিশ্বস্ত বন্ধু গোটা ইউরোপের উপর! কেন?
একটু পিছনে গেলে সব পরিস্কার হয়ে যায় কেন তিনি এত অখুশি ! সারা বিশ্বের শান্তিপ্রিয় মানুষ চেয়েছেন মার্কিন নির্বাচনে “জো বাইডেন প্রার্থী” না হ’ন এবং তার আশির্বাদ পুষ্ট ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামলাহ্যারিস পাশ না করুন ! তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ না হোক! বিশ্বের যে সব দেশ “ডোনাল্ড ট্রাম্প” কে অকৃতকার্য দেখতে অর্থ ঢেলেছেন এবং ক্যাম্পেইনিং করেছেন তাদের সাংসদ পাঠিয়ে, তারা হচ্ছেন ইউরোপীয় দেশগুলো! যদি-ও ট্রাম্প দাবী করেন বাঙলাদেশের কেউ তার বিরুদ্ধে অর্থ ঢেলেছেন —
প্রিয় পাঠক, আরব বিশ্বের ২২ টা দেশ, এশিয়ার ৪৯ দেশের কয়েকটা দেশ বাদে সবাই ট্রাম্পের জন্য সৃষ্টি কর্তার কাছে প্রার্থনা করেছে। আমার মত একজন ক্ষুদ্র লেখক ও তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধে এড়াতে ডেমোক্র্যাটদের পতন চেয়েছি! ইউরোপের গোটা ৫০ দেশের তুরস্ক হাঙ্গেরি বেলারুশ ছাড়া প্রায় সবাই অর্থ ঢেলেছেন ট্রাম্প কে ব্যর্থ করতে! এজন্য এতদিনের Faithful বন্ধু মার্কিনের, তবু ও ট্রাম্প মুখ ফিরিয়ে নিয়েছেন, বলেছেন ‘NATO তে এত টাকা আমেরিকা আর ঢালবে না।’ ‘ ইউক্রেন যুদ্ধ আর চালাবো না!’ বন্ধ করো এত অর্থ অস্ত্র লোক বল সাহায্য! ইউরোপ কে বলেছেন, “নিজ দেশে গনতান্ত্রিক চর্চা করো!”
প্রিয় পাঠক, ট্রাম্প জাতীয়তাবাদী, আমেরিকা কে ভালোবাসেন! তিনি এশিয়ায় সরকার হটাতে বাংলাদেশে ২৯ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ, পাকিস্তান শ্রীলঙ্কায় প্রায় ২০/২২ মিলিয়ন, মোদির বিরুদ্ধে বিনিয়োগ ও তুরস্কের এরদোয়ান বিরুদ্ধে প্রায় ১ বিলিয়ন বিনিয়োগের কড়া সমালোচনা করেছেন!
ইউরোপ সারাবিশ্বের গনতন্ত্র মানবাধিকার তদন্ত করে বেড়ায়, ধরে যদি নেই সে জন্য ইউক্রেনে এত বিনিয়োগ ও নিষেধাজ্ঞা তাহলে “ফিলিস্তিন” প্রশ্নে নীরব কেন?
এটা ইউরোপীয় দেশগুলোর একটা মুখোশ, এই ভন্ডামিতে সবাই তাদের সভ্য ভাবেন! একা ইউরোপের সব দেশ মিলে রাশিয়ার শক্তির সমান নয় যা “জেলে স্কি” তার মিউনিখ ভাষনে বলেছেন! ‘ফায়ারফক্স অস্ত্র তৈরি’ প্রতিবেদন হচ্ছে, সারা ইউরোপ সারা বছর যে অস্ত্র তৈরি করে রাশিয়া মাত্র তিন মাসে তা তৈরি করে! আশ্চর্যজনক হলে-ও সত্য, সারা ইউরোপীয় সামরিক বাজেট প্রায় ২.৪ ট্রিলিয়ন সেখানে রাশিয়ার মাত্র ১৩ বিলিয়ন!
ভালো থাকেন সুস্থ থাকেন নিজ দেশকে ভালোবাসেন।