খুলনা আর্ট একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক চিত্র শিল্পী মিলন বিশ্বাস বরিশাল বিভাগে ঝালকাঠি জেলার খাজুরা গ্রামে এক কৃষক পরিবারে ১৯৮০ খ্রিঃ ৫ ই মার্চ জন্মগ্রহণ করেছিলো।১৯৯৯সালে বাড়ি থেকে পালিয়ে খুলনা আর্ট কলেজে আসেন শিল্পচর্চা করার জন্য। আজ ৪৫ তম জন্মদিনে সকাল থেকে প্রতিদিনের মতো খুলনা আর্ট একাডেমির ক্লাসের দায়িত্ব পরিচালনা করে আসছেন। সকাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকের বায়োতে জন্মদিনের তারিখ উল্লেখ করা আছে তাই দেখে বিভিন্ন মহল থেকে শুভেচ্ছা জানায়। ক্লাস শেষ হতে না হতে খুলনা সামাজিক সংগঠন সি ইউ সি পরিচালিত সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করা প্রতিষ্ঠান সি ইউ সি স্কুল এর প্রধান শিক্ষক মুজাহিদ হোসেন মিরাজ,সহকারী প্রধান শিক্ষিকা কারিমা আক্তার,সহকারী প্রধান শিক্ষিকা মীম আক্তার মনিকা।কেক এবং ফুল নিয়ে খুলনা আর্ট একাডেমিতে প্রবেশ করে চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাসকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান এবং জন্মদিন উপলক্ষে ছবি যুক্ত একটি ক্রেস্ট তুলে দেন এবং কেক কেটে জন্মদিন পালন করলেন এ সময় চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস আবেগে আপ্লুত হয়ে তার মনের ভাষা ব্যক্ত করেন সকলের মাঝে। তিনি বলেন আমি আপনাদের কাছে চির ঋণী হয়ে থাকলাম এই প্রাপ্তি আমার জীবনের গতিপথ পরিবর্তন করবে। আমি শিল্পী হতে এসেছি ১৯৯৯ সালে। আমার জন্মদিন এমনভাবে কেউ কখনো পালন করেনি। আজ মনে হল সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের প্রতিষ্ঠানের যিনি সভাপতি এবং তাদের কমিটির ব্যক্তিবর্গ তারা কতটা মানবিক মানুষ।
একজন সাধারন মানুষকেও মূল্যায়ন করে তার দুঃখ ভুলিয়ে দিতে পারে।তার বিশেষ দিনে তারাই এই সমাজের সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের নিয়ে কাজ করার মত মন মানসিকতা তাদের আছে সে বিষয়টা আজ আবারো প্রমাণ হলো। তাই আমি চিত্রশিল্পী হিসাবে যতটুকু সম্ভব পাশে থেকে সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের আলোর পথ দেখাতে সহযোগিতা করব। আমি আমার মনের অনুভূতি ব্যক্ত করলাম। সি ইউ সি স্কুলের সভাপতি এবং উপদেষ্টা মন্ডলী সকল সদস্য এবং আমার সহপাঠী শিক্ষক মন্ডলী সকলের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করছি আমি যেন নিজের শিক্ষা শিক্ষার্থীদের মাঝে বিলিয়ে দিতে পারি এই বলে উপস্থিত সি ইউ সি স্কুলের শিক্ষক বিন্দুদের ধন্যবাদ জানায়। চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস আরো বলেন এই ক্ষণস্থায়ী জীবনের দীর্ঘস্থায়ী সময় বেঁচে থাকার জন্য শিল্পচর্চাই আমার মূল উদ্দেশ্য। একদিন হয়তো হারিয়ে যাব কিন্তু আমার কর্মকাণ্ড বাঁচিয়ে রাখবে এমন প্রত্যাশা চিত্রশিল্পী মিলন বিশ্বাস সকল শিক্ষার্থীদের জন্য মঙ্গল কামনা করে অনুভূতি শেষ করেন।